১। নিরাপদ, পরিষ্কার, সহজলভ্য ও সঠিক তাপমাত্রায় পাওয়া যায়।
২। একটি শিশুর স্বাভাবিক সুস্থ জীবনযাপন, শারীরিক গঠনের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবটুকুই মায়ের দুধের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যায়। বিশেষ করে শিশুর ৫ মাস বয়স পর্যন্ত।
৩। মায়ের দুধের ভেতরে রোগ প্রতিষেধক রয়েছে, যেগুলো শিশুর রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে ডায়রিয়া না হতে সাহায্য করে, এমনকি ফুসফুস ও শ্বাস রোগের প্রতিরোধ করে। এই কার্যকারিতা বাজারের কোন দুধে পাওয়া যায়না।
৪। মায়ের বুকের দুধ ছোট্ট শিশু খুব সহজেই হজম করতে পারে।
৫। মায়ের দুধ পান করলে মা ও শিশুর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে যা এই পৃথিবীর সবচেয়ে অমূল্য সম্পর্ক।
৬। শিশু মায়ের দুধ চুষে পান করে বিধায় শিশুর দাঁত উঠতে ও চোয়াল শক্ত হতে সাহায্য করে।
৭। বুকের দুধ তৈরি অবস্থায় পাওয়া যায় বিধায় ঝামেলা ও জীবাণুমুক্ত।
৮। শিশুকে দুধ পান করানোর কারণে মায়ের জরায়ু দ্রুত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সাহায্য করে।
৯। পরবর্তী গর্ভধারণে দেরি করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রনের কাজ করে সাময়িক ভাবে।
১০। মায়ের বুকের দুধে টিউরিন নামক একটি উপাদন আছে, যা শিশুর মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মায়ের বুকের দুধ খেয়ে বড় হওয়া শিশু তুলনামূলক অধিক বুদ্ধিমান হয়।
তথ্যঃ হেলথ ম্যাগাজিন, অধ্যাপক এম এ কে আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ