শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সুষম খাবার হিসেবে দুধের জুড়ি নেই! দুধ দিয়ে তৈরি হয় নানান মজার খাবারও। দুধের স্বাদ ও পুষ্টিগুণের কারণেই প্রায় প্রতিটি পরিবারই খাদ্যতালিকায় দুধ রাখতে চেষ্টা করেন। দুধ দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করা যায় পায়েস, পুডিং, ক্ষীর, ছানা, নানা ধরনের মিষ্টি, দই, পিঠা ইত্যাদি। পুষ্টিগুণে ভরপুর দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস যা দাঁত ও হাড়ের গঠন এবং বিকাশে অপরিহার্য। দুধের আমিষ 'ক্যাসিন' দাঁতের এনামেলের উপর পাতলা স্তর গড়ে তোলে যা অ্যাসিড থেকে দাঁতের ক্যালসিয়াম ও ফসফেট রক্ষা করে। দুধে থাকা উপাদানসমূহ 'ওসটিওপোরোসিস' নামের হাড়ক্ষয়কারী রোগ থেকে রক্ষা করে। গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে, যারা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত গ্রহণ করেন তারা তুলনামূলক ঝরঝরে শরীরের অধিকারী হয়ে থাকেন। তাই দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খান নিশ্চিন্তে। আসুন জেনে নেই দুধসংক্রান্ত কিছু মজাদার তথ্য। এসবের প্রয়োগে যেমনি বাড়বে দুধের স্বাদ, তেমনি সংরক্ষণ করতে পারবেন দীর্ঘ সময় যাবত। আবার নিজেই পরখ করে নিতে পারবেন খাঁটি ভেজালের পার্থক্য। - *কাঁসা, লোহা বা প্লাস্টিকের পাত্রে দুধ রাখবেন না। দুধ রাখার জন্য কাচ বা সিরামিকের পাত্র ব্যবহার করুন। *তীব্র আলোয় দুধ তার ভিটামিন হারায় তাই দুধ সংরক্ষণ করতে চাইলে তা অন্ধকারে রাখুন। *প্রতিদিন একই পাত্রে দুধ জ্বাল দিন। এতে দুধের স্বাদ বাড়বে। *প্রতি লিটার দুধে এক চা চামচ চিনি দিয়ে পাত্রে ঢেলে জ্বাল দিন। এতে সহজে দুধ পুড়বে না, স্বাদও ভালো হবে। *দুধ জ্বাল দেবার আগে পাত্রটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন, দুধ তলায় লেগে যাবার সম্ভাবনা কমে যাবে। *যে পাত্রে দুধ জ্বাল দেবেন তার ভেতর দিকে সামান্য মাখন বা ঘি ঘষে নিন। দুধ জ্বাল দেবার সময় সহজে উপচে পড়বে না। *গরমের দিনে দুধ খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। দুধ জ্বাল দেয়ার সময় প্রতি লিটার দুধে চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ খাবার সোডা দিন। দুধ তাড়াতাড়ি নষ্ট হবে না। *দুধের বিশুদ্ধতা যাচাই করতে চাইলে এক টুকরো পানের বোঁটা দুধের মধ্যে রাখুন। পানি মেশানো দুধে বোঁটা ভাসতে থাকবে আর দুধ খাঁটি হলে ডুবে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ