শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sumya Akter

Call

ইসলাম একটি যুক্তি ভিত্তিক গতিশীল জীবন ব্যবস্থা। জীবন জিজ্ঞাসার সাথে সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান ইসলাম প্রদান করছে। হযরত মুহাম্মদ (স) জানতেন সময়ের বিবর্তনে মানব সমাজে নানারকম সমস্যার উদ্ভব ঘটবে। সে সব সমস্যা হতে তাঁর উম্মতকে বাঁচানাের জন্য তিনি সমাধানের পথ হিসেবে ইজমা ও কিয়াসের পথ খুলে রেখেছেন।।

রাসূল (স)-এর জীবদ্দশায়ও কিয়াস সংগঠিত হয়েছে। তখন কোন সংকট দেখা দিলে কুরআন ও সুন্নাহের আলােকে ঐ সমস্যার সমাধান দিতেন। মহান আল্লাহ বলেন-

“তাদের কাজকর্ম সম্পন্ন হয় তাদের মধ্যকার পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে।”

রাসূল (স)-এর ইন্তিকালের পর আসমানী বার্তা প্রেরণ বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া মুসলিম সাম্রাজ্যের পরিসীমা উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। নব বিজিত মুসলিম সাম্রাজ্যের সাথে নতুন সংস্কৃতি ও সভ্যতার পরিচয় ঘটে। ফলশ্রুতিতে নতুন নতুন নানা সমস্যার উদ্ভব হয়। এমতাবস্থায় সাহাবাগণ কুরআন ও সুন্নাহ অনুসারে বিচার-বুদ্ধি প্রয়ােগ করে নতুন সমস্যার সমাধান দিতে থাকেন।

প্রথম হিজরী শতাব্দীর শেষ দিকে ফিকহ শাস্ত্রের বিকাশ ঘটে। ফকিহগণ কুরআন ও হাদীসের নিরিখে চিন্তা ও গবেষণার সমন্বয় ঘটাতেন। সম্ভবত ইমাম শাফিঈ প্রথম ব্যক্তি যিনি উসূলে ফিকহের সংকলন চেষ্টা করেন এবং ইসলাম ধর্মীয় ও বিচার ব্যবস্থায় কিতাব, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের গুরুত্ব ও প্রয়ােজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন- 

“কিয়াসের ব্যবহার সে সময় করা যাবে যখন কিতাব, সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা কোন সমস্যার সমাধান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।” 

(আর রিসালাত-পৃ. ৬৫)

সুতরাং কুরআন, হাদীস, ইজমা দ্বারা সমাধান বের করতে না পারলে কেবল কিয়াসের আশ্রয় নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ