শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sumya Akter

Call

ইসলামী আইন শাস্ত্রের মূলনীতিকে যে চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে কিয়াস হল তার সর্বশেষ স্তর । কোন সমস্যার সমাধানে যখন কুরআন ও হাদীস হতে সরাসরি কোন নির্দেশনা না পাওয়া যায় তখন ইসলামী পণ্ডিতগণ কিয়াসের আশ্রয় নিয়ে উদ্ভূত সমস্যাটি সমাধান করেন।

শরীআতের যে সমস্ত বিধি-বিধানের সমস্যার স্পষ্ট কোন সমাধান কুরআন বা হাদীস বা ইজমায় পরিষ্কার উল্লেখ নেই এরূপ ক্ষেত্রে কিয়াস প্রয়ােগ হয়ে থাকে। দৃষ্টান্তস্বরূপ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) যখন তাঁর বিশিষ্ট সাহাবী হযরত মুআয ইবন জাবাল (রা)-কে ইয়েমেনের শাসনকর্তা মনােনীত করে পাঠান, তখন তিনি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে কোন নতুন সমস্যার উদ্ভব হলে তিনি (মুআয) কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন?

তিনি জওয়াব দিলেন যে, তিনি আল-কুরআনের অনুসরণ করবেন। মহানবী (স) তাঁকে প্রশ্ন করলেন, “যদি কুরআনে সুস্পষ্ট নির্দেশ না থাকে?” তখন মুআয (রা) উত্তর দিলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (স)-এর সুন্নাহর (হাদীসের) অনুসরণ করবেন। আর রাসূল (স)-এর সুন্নাহর দ্বারা ফায়সালা করতে না পারলে তিনি তাঁর নিজস্ব বিচার-বুদ্ধি প্রয়ােগ করবেন। রাসূলে করীম হযরত মুহাম্মদ (স) তাঁর (মুআযের) এ জবাবে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করলেন। তার জন্য দুআ করলেন এবং ব্যক্তিগত বিচার-বুদ্ধি প্রয়ােগে তাঁকে উৎসাহিত করলেন।

অন্য একটি হাদীসে আছে, হযরত মুহাম্মদ (স) আবু মূসা আল-আশআরীকে বললেন, “আল্লাহর কিতাব (কুরআন) অনুযায়ী বিচার কর। তােমার যা প্রয়ােজন, তা যদি এতে না থাকে তবে মহানবী (স)- এর সুন্না হতে খোঁজ কর , সেখানেও যদি না পাও তখন নিজের মতামত ব্যক্ত কর।”

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ