শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

ডাঃ জাকির নায়েকঃ লাইলাতুল ক্বদর আরবি শব্দ। লাইলাতুন শব্দের অর্থ হল রাত, আর ক্বদর শব্দের অর্থ হল মহিমা, সর্বোত্তম ইত্যাদি। সুতরাং লাইলাতুল ক্বদর শব্দের অর্থ হল মহিমান্বিত রাত, শ্রেষ্ঠ রাত। লাইলাতুল ক্বদরের গুরুত্ব বা মাহাত্ম্য হলো এটি রমযান মাসের এমন একটি রাত যেটি বছরের অন্যান্য রাতের চেয়ে অনেক অনেক উত্তম এবং এটাই সেই রাত, যে রাতে ক্বুর’আন অবতীর্ণ হয়েছিলো। ক্বুর’আনে উল্লেখ আছে, “আমি এই ক্বুর‘আনকে নাযিল করেছি শবে-ক্বদরের রাতে। আপনি কি জানেন শবে-ক্বদর কি? শবে-ক্বদর হল হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।” (আল-কদর, আয়াত ১-৩) সুতরাং লাইলাতুল ক্বদর হলো বছরের সর্বোত্তম রাত এবং এই রাতে পবিত্র ক্বুর’আন নাযিল হয়েছে। এ রাত সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে যে, এই রাতে করা কোনো নেক আমল অন্য হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই হাজার মাসকে যদি ১২ দিয়ে ভাগ করা হয় তাহলে হিসাব দাঁড়ায় ৮৩ বছরের চেয়েও কিছু বেশি এবং এটা মানুষের গড় আয়ুর চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ শুধু এই একরাতে ইবাদত করা হলে তার মর্যাদা সারা জীবন ইবাদত করার চেয়ে আরো অনেক বেশি। এটা এমন এক রাত যেখানে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত আল্লাহ্‌র বিশেষ রহমত এবং শান্তি বর্ষিত হতে থাকে। ক্বুর’আনে আল্লাহ্‌ বলেছেন, “আমি এ ক্বুর’আনকে নাযিল নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে, [কেননা] আমি [মানুষকে] সতর্ককারী। এই রাত হলো সেই ভাগ্য রাত; যাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরিকৃত হয়।” (আদ-দুখান, আয়াত ৩-৪) মহান আল্লাহ্‌ অন্যত্র বলেন, “আমি ক্বুর’আনকে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি, অতএব কোনো চিন্তাশীল আছে কি?” (আল-ক্বামার, আয়াত ৪০) মুহাম্মাদ [ﷺ] বলেন, “লাইলাতুল ক্বদরের রাতে যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে পুরস্কারের আশায় ‘ইবাদাত করে আল্লাহ্‌ তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন।” (সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০১৪) সুতরাং এটা হলো দয়া ও মহিমার রাত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ