নফল নামাজের সূরা কিরাত নীরবে পড়তে হয়; তবে রাতের নফল নামাজ ইচ্ছা করলে সরবেও পড়া যায়।
ফরজ ছাড়া নফল যে নামাজগুলো আছে, সেগুলোতে আপনি ইচ্ছা করলে উচ্চ স্বরেও পড়তে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে নীরবেও পড়তে পারেন।
তবে অনেক বেশি আওয়াজ করে পড়াও উত্তম নয়, আবার একবারে ক্ষীণ আওয়াজে পড়াও উত্তম নয়; বরং মাঝামাঝি আওয়াজের মধ্যে যদি কেউ নামাজ আদায় করে থাকেন, তাহলে এটাই তার জন্য সবচেয়ে উত্তম। বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রী জামাতের সহিত দুই রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। এই নামাজ পড়া মুস্তাহাব।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, স্ত্রী স্বামীর কাছে গেলে স্বামী দাঁড়িয়ে যাবে এবং স্ত্রী তার পিছনে দাঁড়াবে। অতঃপর তারা একসঙ্গে দুই রাকাত সালাত আদায় করবে এবং বলবে:
اَللّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ و فَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন এবং আমার ভিতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। হে আল্লাহ! আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযিক দিন আর আমার থেকে তাদেরকেও রিযিক দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্রে রাখুন। আর আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলে কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটান।
(তাবারানী, মু‘জামুল কাবীর, হা/৮৯০০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৭৫৪৭; সিলসিলাতুল আছার আছ-ছহীহাহ হা/৩৬১; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ২৪।)
হাদীসের ভাষা থেকে বুঝা যায়, বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করার পর স্বামী এ দুয়াটি পাঠ করবে।
যদি রাতের বেলায় উক্ত নামাজ পড়া হয় তাহলে একটু উঁচু স্বরে আর দিনের বেলায় পড়লে নিম্ন স্বরে পড়বে। সাধারণ যে কোন নফলের ক্ষেত্রে এটিই সাধারণ সুন্নত। সুতরাং এ বিধান এখানেও প্রযোজ্য ইনশাআল্লাহ। ©