শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

সাগরে জোয়ারের সময় শামুক-ঝিনুকগুলো সমুদ্রের উপকূলে ভেসে আসে। ভোরে এগুলো সংগ্রহ করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে কাঁটা শামুক, কড়ই, কালো প্রবাল, করতাল, আংটি শঙ্খ, ছাদক শঙ্খ, জিঙ্গর শামুক, ক্যাঙ্গারু, রাজমুকুট, বিচ্ছু, বাঘমাড়ি, মালপুরি, নীল শামুক ও লাল শামুক। সারা বছরই এগুলো দিয়ে নানা ধরণের উপকারী ও দৃষ্টিনন্দন জিনিস তৈরি করেন  শিল্পীরা।

এগুলো সব মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দান। সুতরাং আমরা এগুলোকে নারীদের অলঙ্কার, বাড়ির ব্যবহার্য সামগ্রী বা ঘরের শোভা বর্ধনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারি। ইসলামের দৃষ্টিতে ‌দৃষ্টিতে এতে কোনো আপত্তি নেই ইনশাআল্লাহ। তাহলে আল্ল্লাহ বলেন,

أَنَّ ٱللَّهَ سَخَّرَ لَكُم مَّا فِي ٱلۡأَرۡضِভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে আল্লাহ্‌ তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন।" Surah Al-Hajj, Ayah 65।

সুতরাং সাগরবক্ষ থেকে সংগৃহীত আল্লাহর দেয়া এসকল নেয়ামত দ্বারা প্রস্তুতকৃত মালা, দুল, চুড়ি, ব্রেসলেট, ক্লিপ, ল্যাম্পশেড, ঝাড়বাতি ইত্যাদি তৈরি,‌ ক্রয়, বিক্রয়, ঘরে সংরক্ষণ ও ব্যবহারে কোন আপত্তি নাই। 

অনুরূপভাবে এসব দ্বারা তৈরিকৃত দৃষ্টিনন্দন ওয়ালমেট বা ওয়াল হ্যাংগিং দ্বারা ঘর সাজাতেও কোন অসুবিধা নেই। তবে শর্ত হলো, তা যেন মানুষ, পশুপাখি, জীবজন্তু বা কোন বিচরণশীল প্রাণীর ছবি, প্রতিকৃতি, অমুসলিমদের ধর্মীয় প্রতীক, অশ্লীলতার ইঙ্গিতবাহী কোন ডিজাইন ইত্যাদি না হয়।

ইসলামে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ, পশু, পাখি ইত্যাদি বিচরণশীল প্রাণীর ছবি অংকন করা, প্রতিকৃতি নির্মাণ করা ও‌ ঘরে‌ সংরক্ষণ করা নিষেধ। এগুলো ঘরে থাকলে তাতে রহমত ও বরকতের ফেরেস্তারা প্রবেশ করে না। সবচেয়ে বড় কথা হল, হাদিসে এ কারণে আখিরাতে কঠিনতর শাস্তির হুঁশিয়ারি উচ্চারিত  করা হয়েছে।ধন্যবাদ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Bulbul10

Call

আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন |

“রোগ সংক্রমণ, কুলক্ষণ, পেঁচা এবং সফর মাস বলতে কিছু নাই।” (সহীহু বুখারী, হা/৫৭০৭)
মুহাদ্দিসগণ বলেন, উক্ত হাদীসে পেঁচা ও সফর মাসের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয় নি বরং জাহেলী যুগে পেঁচার ডাক এবং সফর মাসকে কুলক্ষণে মনে করা হত (বর্তমানেও মূর্খ লোকদের মাঝে এ কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে) এই বাতিল ও ভ্রান্ত বিশ্বাসকে অস্বীকার করা হয়েছে। অনুরূপভাবে সংক্রমন রোগের অস্তিত্বকেও অস্বীকার করা হয় নি বরং একটি ভ্রান্ত বিশ্বাসের অনোদন করা হয়েছে। তা হল, জাহেলী যুগে কোনো কোন ব্যাধিকে এমন মনে করা হত যে, তা নিজে নিজেই সংক্রমিত হয়। কিন্তু ইসলামের সৃষ্টিভঙ্গী হল, রোগ কখনও নিজে নিজে সংক্রমিত হতে পারে না। বরং তা আল্লার ইচ্ছার সাথে সংম্পৃক্ত। তার লিখিত তাকদীর ছাড়া কোন কিছুই ঘটে না।

❑ উক্ত হাদীসের এই ব্যাখ্যাটি নিন্মোক্ত হাদীস থেকে স্পষ্ট হয়:

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নাই বললে জনৈক বেদুঈন আরব জিজ্ঞেস করলো, ইয়া রসূলুল্লাহ! তবে সেই উটপালের অবস্থা কি যা কোনো বালুকাময় প্রান্তরে অবস্থান করে এবং সুস্থ-সবল থাকে? অতঃপর তথায় কোনো খুজলী-পাঁচড়ায় আক্রান্ত উট তাদের মধ্যে এসে পড়ে এবং সবগুলোকে ঐ রোগে আক্রান্ত করে ছাড়ে?
(এর জবাবে) তিনি বললেন, তাহলে প্রথম উটটিকে কে রোগাক্রান্ত করেছিলো?” (সহীহ মুসলিম)

এ হাদীসের অর্থ হল, যে মহান আল্লাহ প্রথম উটটিকে আক্রান্ত করেছিলেনে তিনিই অন্যান্য উটকেও আক্রান্ত করেছেন। অর্থাৎ রোগ-ব্যাধী নিজে নিজে সংক্রমিত হয় না যদি আল্লাহর হুকুম না থাকে।

মোটকথা, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে রোগাক্রান্ত হওয়া একটি বাস্তব বিষয়। তবে সংক্রমনের এই ক্ষমতা রোগের নিজস্ব নয়; বরং আল্লাহপ্রদত্ত। তাই তিনি চাইলে সংক্রমণ হবে নতুবা হবে না এবং এটি যেহেতু রোগাক্রান্ত হওয়ার একটি বাস্তব কারণ তাই রোগাক্রান্ত হওয়ার অন্যান্য কারণ থেকে বেঁচে থাকতে যেমনিভাবে কোনো দোষ নেই তেমনি এক্ষেত্রেও উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দোষের নয়। বরং কিছু হাদীসে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। [বাযলুল মাজহূদ ১৬/২৪২; শরহুন নববী ২/২৩০; ফয়যুল কাদীর ৬/৪৩৩)

❑ ইসলামে ছোঁয়াচে রোগকে অস্বীকার করা হয় নি:

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ