শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পুরুষের বিবাহের বয়স শরীয়তে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। তবে ইসলামী আইন অনুযায়ী একজন ছেলে যদি বালেগ হয় তাহলে সে বিয়ে করতে পারে, এক্ষেত্রে তার বয়স ৯ হোক, ১১ হোক বা ১৫ হোক। তার বিয়ের বয়স যদি ১১ কিংবা ১২ বয়সে তার শারীরিক গঠন বিয়ের যোগ্যতা বহন করে, তাহলে বিয়ে দিতে পারবে।

আমাদের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ছেলে ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিবাহ দেওয়া দ্বীন দুনিয়া উভয়ের জন্যই কল্যাণকর। আর তাই ইসলাম বালেগ হওয়ার পর ছেলে-মেয়েদের বিবাহ দেয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদেরকে নির্দেশ দিয়েছে।

তবে সরকারি বিধি-অনুসারে একজন মেয়ে ১৮ বছর পার হওয়ার পর এবং একজন ছেলে ২১ বছর পার হওয়ার পর বিয়ে করতে পারবে। ১৮ বৎসরের কম বয়ষ্ক কোনো ছেলে এবং ১৬ বৎসরের কম বয়ষ্ক কোনো মেয়ের বিয়ে আইনতঃ নিষিদ্ধ।

সরকারি আইনে ছেলেমেয়ে পরিপক্ব বয়সের দিকে লক্ষ রাখা হয়েছে। তবে একজন ছেলে ও মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দেয়াই উত্তম।

আলেম জামাআতের খেয়াল এই যে, যে ব্যক্তি বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে তার জন্যে বিয়ে করা ওয়াজিব।

আল্লাহ বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়েহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছলতা দান করবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিয়ে করতে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। (সুরা নুর : আয়াত ৩২-৩৩)।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ