আমার পরিবারে সকলে মিলে শাহজালাল মাজারে নামাজ পড়তে যেতে চাইছে..... আমার ভাই নাকি মানত করছিলো যে সেখানে গিয়ে নামাজ পড়বে..তাই সবাই মিলে ওই মাজারে নামাজ পড়তে চাইছে।আমার প্রশ্ন হলো মাজারে কি নামাজ পড়া বা মানত করা ঠিক?

আর আমার ভাই মনে করে ইদানিং আমাদের অনেক বিপদআপদ আসছে... যদি মাজারে গিয়ে নামাজ পারে তাহলে এগুলো কমবে...এ বিশ্বাস সম্পর্কে কি বলবেন?

দয়া করে রেফারেন্স দিয়ে এবং একটু বুঝিয়ে উত্তর দিবেন।এবং এর পরিণতি বা শাস্তি সম্পর্কেও একটু বলবেন।

আমি এটা আমার ভাইকে দেখাতে চাই।

জাযাকুমুল্লাহু খয়রান।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বুঝা যায় যে, পীর বা মাজারে যে কোনো ধরনে সেজদা করা হারাম। কোনোভাবেই তা বৈধ নয়। এসব কাজকে স্পষ্ট ভাষায় হারাম ও নাজায়েয।

কেননা সেজদার উপযুক্ত একমাত্র আল্লাহ তাআলা। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা সম্পূর্ণ হারাম। আর ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সেজদা করলে সে মুশরিক হয়ে যাবে। আর গাইরুল্লাহকে সেজদা করা কুরআন-হাদিসে অকাট্য হারাম প্রমাণিত।

সহিহ মুসলিমের এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী কতক উম্মত নিজ নবী ও বুর্জুদের কবরকে সিজদার স্থান বানিয়েছে। সাবধান! তোমরা কবরকে সিজদার স্থান বানাবে না। আমি তোমাদেরকে এ কাজ করতে নিষেধ করছি। (সহিহ মুসলিম: ১/২০১)।

সুতরাং মাজারে নামাজ পড়া বা মানত করা ঠিক নয়। এছাড়াও ভাই মনে করে ইদানিং অনেক বিপদ আপদ আসছে যদি মাজারে গিয়ে নামাজ পড়ে তাহলে এগুলো কমবে। এ বিশ্বাস শিরকে আকবার।

আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে ভাগ্য সুপ্রশস্তকারী হিসেবে সাব্যস্ত করা ঠিক নয়।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অসংখ্য আয়াতে মানুষকে তাঁর ইবাদত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং শিরক করা থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। শিরককারী জন্য রয়েছে ভয়াবহ পরিণতি।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ