শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সিগারেট খাওয়ার বিষয়ে আলেমদের দুইটি মত রয়েছে।

❏ ইসলামী আইনজ্ঞরা ধূমপান করাকে মাকরুহ বলে থাকেন। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/৪০৬)।

❏ তবে বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে, সিগারেট খাওয়া হারাম। এটি মাকরুহ নয়। মাকরুহ হচ্ছে, যেটা অপছন্দনীয়, আর হারাম হচ্ছে যেটা নিষিদ্ধ। কোরআনুল কারিমে যে মূল নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তার মধ্যে সিগারেট অবশ্যই পড়ে। নিকৃষ্ট জিনিসগুলো, ক্ষতিকর জিনিসগুলো ইসলামে হারাম করে দেওয়া হয়েছে।

সিগারেট খাওয়া এমন একটি বদ অভ্যাস যা নিজের ক্ষতির পাশাপাশি অন্যের ক্ষতি করে থাকে। সিগারেটের বর্জনকৃত ধোঁয়া অন্য মানুষের নাকে দিয়ে তার ফুসফুসে প্রবেশ করে ফলে সেই লোকটির ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা খায় তাদের মুখের গন্ধে অন্য মানুষ তাদের সাথে কথা বলতে কষ্ট হয়। আর বিনা কারনে অন্যকে কষ্ট দেয়া ও ক্ষতি করা একটি মারাত্মক কাবিরা গোনাহ।

মহান আল্লাহ্‌ বলেন, যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সুরা আল আহযাবঃ ৫৮)।

সিগারেট খাওয়া যে হারাম তার দলীলঃ-

মহান আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে আর অপবিত্র বস্তু হারাম করা হয়েছে। (সূরা আরাফঃ ১৫৭)।

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। (সুরা নিসাঃ ২৯)।

আমরা সবাই জানি আত্মহত্যা করা মহাপাপ।

অথচ এটাও আমরা সবাই জানি যে, সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে, ধূমপান মৃত্যু ঘটায়। ধূমপানের কারনে স্ট্রোক হয় ইত্যাদি।

সিগারেটের মূল উপাদান হচ্ছে, তামাক। তামাক একটি খুবই ঘাতক বস্তু। এই তামাক মানুষের শরীরে কান্সার হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আর তামাকের ধোঁয়াতে নিকোটিন ছাড়াও আরো প্রায় চার হাজার রকমের রসায়নিক দ্রব্য থাকে। এইগুলি উৎপন্ন হয় তামাকের পোড়ার জন্য, তাছাড়া সিগারেট তৈরীর সময় তামাক পাতায় নানারকমের কেমিক্যাল বা রসায়নিক দ্রব্য মেশান হয়, সেইসব কেমিক্যালের পোড়ার সময় নানা প্রতিক্রিয়ার জন্য হাজার রকমের রসায়নিক দ্রব্য তৈরী হয়।

যেটা সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করে সেটা হল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনিকা যেগুলি বায়বীয় বা গ্যাসের আকারে বেরিয়ে আসে। এ ছাড়া কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস ও টার (অনেকটা আলকাতরার মত) রসায়নিক জিনিষও বেরিয়ে আসে সেটাও মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।

গবেষণায় জানা গেছে,

১। ধূমপানের কারনে ফুসফুসে ক্যান্সার, কিডনীতে ক্যান্সার, ব্ল্যাড ক্যান্সার ইত্যাদি হয়।

২। হাই ব্লাড প্রেশার,

৩। অ্যাজমা,

৪। ইম্পাইসেমা,

৫। ব্রঙ্কাইটিস,

৬। ব্রেন ষ্ট্রোক ইত্যাদি এমন আরো মারাত্মক রোগ হয়।

তাই এমন মরন ঘাতী একটা বস্তু কি করে হালাল হতে পারে?

অতএব তামাক, বিড়ি, সিগারেট, খাওয়া হারাম। ©


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিড়ি খাওয়া হারাম। এটি মাকরুহ নয়। মাকরুহ হচ্ছে, যেটা অপছন্দনীয়, আর হারাম হচ্ছে যেটা নিষিদ্ধ। কোরআনুল কারিমে যে মূল নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তার মধ্যে বিড়ি অবশ্যই পড়ে। নিকৃষ্ট জিনিসগুলো, ক্ষতিকর জিনিসগুলো ইসলামে হারাম করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, ধূমপান হারাম হওয়ার বিষয়ে আলেমদের মধ্যে কোনো বিতর্ক নেই এবং এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
YousufAsraf

Call

সাধারণত এটা মাকরূহ, তবে মাকরুহ কাজ বার বার করলে বা নেশা হয়ে গেলে বা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হলে সেটা মাকরুহ থাকে না বরং হারাম হয়ে যায়৷ সে হিসেবে সিগারেট হারাম। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ