শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হতাশা এক ধরনের মানসিক অবস্থা। যখন ব্যক্তি জীবনের প্রতি সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, আশা দেখতে না পায়, নিজের সম্বন্ধে, অন্যের সম্বন্ধে,কোনো কিছু করার সম্পর্কে অবস্থাকে হতাশা বলে । 

কুফর হলো দ্বীন’-সর্বজনবিদিত বিষয়সমূহের অন্তর্ভুক্ত কোনো বিষয়কে অস্বীকার করা।‘জরুরিয়াতে দ্বীন’ বলা হয় সে সকল বিষয়কে, যা সন্দেহাতীতভাবে যুগপরম্পরায় আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং উম্মতের সাধারণ দ্বীনদার শ্রেণীও যে সকল বিষয়কে নবীজীর শিক্ষা বলে জানে। আলিমগণের পরিভাষায় এ ধরনের বিষয়কে ‘জরুরিয়াতে দ্বীন’ বলা হয়।

ইসলাম হলো একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা যেটা মানুষের জন্য সর্বদিক দিয়ে উপকারী। কেউ ঈমান আনার পর যদি ইসলামের কোন বিধান কে অস্বীকার করে অথবা বিধান না মেনে চলে তাকেই কাফের বলা হবে। তবে কাফেরের কিছু শ্রেণীবিন্যাস আছে। একজন কাদের ঈমান আনার পরেও ইসলামের বিধান গুলো অস্বীকার করে জীবন যাপন করছে। আর কাফেররা সবসময় হতাশায় ভোগে কারণ-

  • যেমন একজন ডাক্তার জানেন তার রোগীর জন্য ভালো কোন ওষুধ। তাহলে আল্লাহ তাআলা যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি অবশ্যই জানেন বান্দার ভালো হবে কোন পথ অনুসরণ করলে। আল্লাহর দেয়া বিধান (পথ ) অনুসরণ করলে কোন ব্যক্তি হতাশায় ভোগে না। কারন সে ব্যক্তি জানে এবং বিশ্বাস করে এই পথ অনুসরণ করলে তার ক্ষতি হবে না। কিন্তু একজন কাফের সে কোন পথ অনুসরণ করবে তা নিয়ে হতাশায় ভোগে। 
  • এছাড়াও আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তিনি আমাদের রিযিকদাতা পালনকর্তা ,রক্ষাকর্তা, সুতরাং মহান আল্লাহ তাআলা কে অবিশ্বাস করা কিংবা তার বিধান কে অস্বীকার করা একজন বান্দার জন্য মোটেই উচিত নয়। এটা এক ধরনের অকৃতজ্ঞতার। 
  • একজন কাফের কখনোই সঠিক পথ এর দিকে ধাবিত হবে না। সে আস্তে আস্তে খারাপ পথের দিকে ধাবিত হবে। যদিও সে একটি বিষয় অস্বীকার করে তারপরও তারমধ্যে অন্যান্য বিধান অস্বীকার করার প্রবণতা সৃষ্টি হবে। এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক পথ বেছে নিতে হতাশায় ভুগতে হবে ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ