Call

আল্লাহ তায়ালা বলেন, যমীনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোন মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। (আল হাদীদঃ ২২)।

এখানে আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টির পূর্ব নির্ধারিত তাকদীরের বর্ণনা দিচ্ছেন। পৃথিবীতে যত বিপর্যয় ও বালা-মসিবত এবং মানুষের ব্যক্তিগত যে রোগ-ব্যাধি, কষ্ট- ক্লেশ ও অভাব-অনটনসহ ভাল-মন্দ যা কিছু আসে সব কিছুই সমস্ত সৃষ্টিকে সৃষ্টি করার পূর্বেই লিপিবদ্ধ আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আকাশ-জমিন সৃষ্টি করার এক হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ তাআলা তাকদীর নির্ধারণ করে রেখেছেন। (সহীহ মুসলিম হা. ২৬৫৩, তিরমিযী হা. ২১৫৬)।
আয়াতে ‘পূর্বেই আমি তা কিতাবে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি’ কিতাব বলতে লাওহে মাহফূয উদ্দেশ্য।

সাহাবী আলী (রাঃ) বলেনঃ আমরা বাকি গারকাদ নামক স্থানে এক জানাযায় ছিলাম, সেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগমন করলেন। (জানাযা শেষে) তিনি বসলেন, তার সাথে একটি লাঠি ছিল, লাঠি দ্বারা মাটিতে খোঁচাচ্ছিলেন, তারপর মাথা তুলে বললেনঃ তোমাদের এমন কেউ নেই যার ঠিকানা জান্নাতে অথবা জাহান্নামে লিখে রাখা হয়নি। এমনকি কে সৌভাগ্যশীল ও কে দুর্ভাগা তাও লিখে রাখা হয়েছে। মানুষের মধ্যে একজন লোক বললঃ হে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা কি আমাদের লিখিত তাকদীরের ওপর ভরসা করে থাকব না এবং আমল ছেড়ে দেবো না? কারণ, যে সৌভাগ্যশীল সে সৌভাগ্যবান হবেই আর যে দুর্ভাগা সে দুর্ভাগা হবেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমরা আমল করে যাও, প্রত্যেককে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তা তার জন্য সহজ করে দেওয়া হবে। (আবূ দাঊদ হা. ৪৬৯৬, তিরমিযী হা. ৩৩৪৪)।

অতএব প্রত্যেক মু’মিন ব্যক্তিকে তাকদীরের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং বিপদাপদে আল্লাহ তা‘আলার ফায়সালাকে মেনে নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ