মোটেও না। বিনা কারণে হত্যা একদমই নিষিদ্ধ। একটা ব্লগের একাংশ দিই (প্লিজ সময় করে পরে পুরোটা পড়ে নেবেন): 

রেফারেন্স: কুরআনের কথা

“তোমরা তাদেরকে যেখানে পাও সেখানেই হত্যা করো”, “যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই করে যাও” — কুর’আনে এরকম কিছু আয়াত রয়েছে, যা দেখলে কিছু অমুসলিমদের খুশিতে দাঁত বের হয়ে যায়। তারা এই আয়াতগুলো পড়ে ভাবে, “এই তো পেয়েছি! এইবার মুসলিমরা যাবে কই?” এই ধরনের আয়াতগুলোর আগে-পিছে কিছু না পড়েই, আয়াতগুলোকে কাটছাঁট করে ব্যাপক প্রচার করে, যেন তারা মানুষকে দেখাতে পারে যে, ইসলাম একটি অসহনীয়, আগ্রাসী, অশান্তির ধর্ম, আর তারা নিজেরা কত সাধু।

আসুন দেখি, তারা কী প্রচার করে, আর কুর’আনে আসলে কী বলা আছে—

"যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে লড়াই করো, কিন্তু সীমা অতিক্রম করবে না। যারা সীমা অতিক্রম করে, তাদেরকে আল্লাহ কখনোই ভালোবাসেন না। তাদেরকে যেখানে পাও সেখানেই হত্যা করো। আর সেখান থেকে বের করে দাও, যেখান থেকে ওরা তোমাদেরকে একদিন বের করে দিয়েছিল। অন্যায় বাঁধা, নির্যাতন (ফিতনা) হত্যার চেয়েও খারাপ। তবে মসজিদুল হারাম-এর কাছে ওদের সাথে লড়াই করবে না, যদি না তারা সেখানে তোমাদের সাথে লড়াই শুরু না করে। আর যদি তারা সেখানে লড়াই করেই, তাহলে তাদেরকে হত্যা করো — অবিশ্বাসীদের এটাই উচিত প্রাপ্য। কিন্তু ওরা যদি বন্ধ করে, তবে অবশ্যই, আল্লাহ অনেক ক্ষমা করেন, তিনি নিরন্তর দয়ালু। যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যায় বাঁধা, নির্যাতনের (ফিতনা) অবসান না হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই করে যাও। কিন্তু ওরা যদি বন্ধ করে, তাহলে কোনো বিরোধ থাকা যাবে না, শুধু মাত্র অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ছাড়া।" [আল-বাক্বারাহ: ১৯০-১৯৩]

অন্যায় বাঁধা, নির্যাতন (ফিতনা) হত্যার চেয়েও খারাপ

ইসলাম অন্যায় সহ্য করে না। মুসলিমদের উপর অন্যায় নির্যাতন, নিপীড়ন হচ্ছে, আর মুসলিমরা অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করে থাকবে, এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। কারণ এভাবে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে অন্যায় বাড়তেই থাকবে। একটা সময় গিয়ে অন্যায়কারীরা এতটাই শক্তিশালী এবং বেপরোয়া হয়ে যাবে যে, তারা আইনের পরোয়া না করে প্রকাশ্যে অন্যায় করতে থাকবে। কেউ আর তখন প্রতিরোধ করতে সাহস করে এগিয়ে আসবে না। একারণে অন্যায়কে যদি ছোট থাকতেই নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তখন তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অন্যায় প্রতিহত করতে তখন অনেক রক্তপাত ঘটাতে হয়।

মানুষকে হত্যা করা অবশ্যই জঘন্য কাজ। কিন্তু মুসলিমদেরকে আল্লাহর ইবাদত করতে বাঁধা দেওয়া, শুধুই মুসলিম হওয়ার জন্য তাদের উপর অত্যাচার করাটা তাদেরকে হত্যা করার থেকেও খারাপ। হত্যা করলে বরং সেই মুসলিমরা শহীদ হয়ে তাদের প্রভুর কাছে ফিরে যেতে পারে। কিন্তু হত্যা না করে তাদেরকে জীবিত রেখে নির্যাতন করাটা তাদের জন্য বরং আরও বেশি কষ্টের।

যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যায় বাঁধা, নির্যাতনের (ফিতনা) অবসান না হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই করে যাও
অনেক অমুসলিমরা এই আয়াত দেখিয়ে বলে যে, “দেখেছ? কু’রআন মুসলিমদের বলে যুদ্ধ করতে, যতক্ষণ না তারা সব দেশের মানুষকে মুসলিম বানিয়ে ছাড়ে। সাধে কী আর আমরা বলি যে, ইসলাম প্রসার হয়েছে তলোয়ারের জোরে?”

যারা এই দাবি করেন, তাদের জন্য এই পরিসংখ্যানটি কাজে লাগবে—

১৫০ হিজরিতে (৭৬৭ খ্রিস্টাব্দ) ইরাক ও এর সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত মুসলিমদের সংখ্যা ছিলো সেখানকার মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ১৫%-২০%। ২৫০ হিজরিতে (৮৬৪ খ্রিস্টাব্দ) সেখানকার মোট জনসংখ্যার ৩৫%-৪০% ছিলো মুসলিম। প্রথমবারের মতো সেখানকার জনসংখ্যার ৫০%-এর অধিক মুসলিম ছিলো ৩০০ হিজরির কাছাকাছি সময়ে। আর ৩৫০ হিজরির দিকে (৯৬১ খ্রিস্টাব্দ) স্থানীয় মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ৭৫% ছিলো মুসলিম [Dr. Sherman Jackson]।

আজকালকার বেশিরভাগ মুসলিমই সেই সময়ের এই চমকপ্রদ পরিসংখ্যানের সাথে পরিচিত নন। এই পরিসংখ্যানই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিচ্ছে যে, তলোয়ারের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটেনি। ইসলামী সাম্রাজ্যের রাজধানী ও এর সংলগ্ন এলাকার অবস্থাই যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে গোটা সাম্রাজ্যের বাদবাকী অঞ্চলের অবস্থা কেমন ছিলো, তা অনুমান করতে আমাদের খুব বেশি কষ্ট হওয়ার কথা নয়।

এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, যতক্ষণ ফিতনা বন্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ লড়াই করে যেতে হবে। ফিতনা শব্দটি বিভিন্ন অর্থে কু’রআনে ব্যবহার হয়েছে: কঠিন পরীক্ষা, নির্যাতন, অন্যায় বাঁধা, মতবিরোধ, আগুনে পোড়া, কামনার হাতছানি ইত্যাদি।

ইসলাম মেনে চলতে মুসলিমদের যত বাঁধা, সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেগুলোই ফিতনা। যা কিছুই মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে নিয়ে যায়, সেটাই ফিতনা। সেটা আজকের যুগে চারিদিকে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া অশ্লীলতা, অপসংস্কৃতি থেকে শুরু করে সিরিয়াতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণ, উপমহাদেশে মুসলিমদের উপর সরকারের ব্যাপক অন্যায় আচরণ —এই সব কিছুই ফিতনা।

মক্কার মুশরিকরা মুসলিমদেরকে ইসলাম ত্যাগ করানোর জন্য নানা নির্যাতন করতো। তাদেরকে নামাজ পড়তে দেখলে আক্রমণ করতো। ইসলাম গ্রহণ করেছে শুনলে মরুভূমির প্রখর রোদে তপ্ত বালুতে ফেলে মারধোর করতো। খেতে দিত না। ব্যবসা করতে দিত না, যেন তারা আয় রোজগার শূন্য হয়ে ফকির হয়ে যায়। বাড়ি থেকে বের করে দিত। যতভাবে সম্ভব তারা চেষ্টা করেছে মুসলিমদেরকে ইসলাম ত্যাগ করানোর। এসব ছিল মুসলিমদের জন্য ফিতনা। এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন: এই সব ফিতনা দূর না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না মুসলিমরা বিনা বাঁধায় আল্লাহর দ্বীন অনুসরণ করতে না পারছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংগ্রাম করে যেতে হবে। দ্বীন অর্থ হচ্ছে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য থেকে গড়ে ওঠা জীবন ব্যবস্থা। ফিতনা মানুষকে দ্বীন অনুসরণ করা থেকে দূরে নিয়ে যেতে চায়, বাঁধা দেয়। একারণে ফিতনা দূর না হওয়া পর্যন্ত মুসলিমরা ঠিকমতো দ্বীন অনুসরণ করতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলিমদের আল্লাহর দ্বীন মানতে বাঁধাগুলো দূর না হচ্ছে, যাতে করে মুসলিমরা নির্বিঘ্নে দ্বীন পালন করতে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা শুধুই প্রত্যক্ষ বাঁধার বেলায় প্রযোজ্য।

ইসলাম ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা মানে এই নয় যে, সব অবিশ্বাসীদের জোর করে ইসলাম গ্রহণ করানো।

কু’রআনে পরিষ্কার বলা হয়েছে—

ধর্মের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। সত্য পথ মিথ্যা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।… [আল-বাক্বারাহ ২:২৫৬]
যদি তোমার প্রভু চাইতেন, তাহলে পৃথিবীতে সবাই অবশ্যই বিশ্বাস করত। তাহলে তুমি কি মানুষকে জোর জবরদস্তি করবে বিশ্বাস না করা পর্যন্ত? [ইউনুস ১০:৯৯]
আহলে কিতাবের মানুষদের সাথে সুন্দরভাবে ছাড়া যুক্তিতর্ক করবে না। তবে যারা অন্যায় করে, তাদের কথা আলাদা। বল, “আমরা বিশ্বাস করি যা আমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে, এবং যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে; আমাদের এবং তোমাদের উপাস্য প্রভু একই সত্তা, আমরা তাঁরই প্রতি নিজেদেরকে সমর্পণ করি।” [আল-আনকাবুত ২৯:৪৬]
কোনো মুশরিক (মূর্তি পূজারি, যারা শিরক করে) যদি তোমাদের কাছ নিরাপত্তা চায়, তাহলে তাকে তা দেবে, যেন সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়। তারপর তাকে একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবে। আসলে তারা এমন একটা জাতি, যাদের জ্ঞান নেই। [আত-তাওবাহ ৯:৬]

ইসলাম অন্য সকল ধর্মের মানুষদেরকে নিশ্চয়তা দেয়, যেন তারা তাদের ধর্ম পালন করতে পারে। মুসলিমদের উপর আদেশ হলো বিধর্মীদেরকে ভালো করে বোঝানো, তাদের সাথে সুন্দর ভাষায় যুক্তিতর্ক করা, ইসলামের সৌন্দর্য তাদের কাছে কথা, কাজ, আচরণের মাধ্যমে তুলে ধরা, যেন বিধর্মীরা ইসলামের সৌন্দর্য উপলব্ধি করে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়।

জোর করে ইসলাম গ্রহণ করানো ইসলাম এবং মুসলিম এই দুটো শব্দের সংজ্ঞারই পরিপন্থী। মুসলিম শব্দের অর্থ: যে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করেছে। কাউকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করানো যায় না —এটা স্ববিরোধী, অযৌক্তিক কথা। একইভাবে অন্য ধর্মের লোকেরা যেন তাদের ধ্যান, ধারণা, বিশ্বাস, সংস্কৃতি জোর করে মুসলিমদের উপর চাপিয়ে না দেয়। যদি দেয়, সেটা ফিতনা হবে, এবং সেই ফিতনা দূর করতে মুসলিমরা সংগ্রাম করতে পারবে। তবে শর্ত হলো—

কিন্তু ওরা যদি বন্ধ করে, তাহলে কোনো বিরোধ থাকা যাবে না, শুধু মাত্র অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ছাড়া

কল্পনা করুন, আপনি একজন হিন্দু, ভারতের এক গ্রামে থাকেন, যেখানে মাত্র গুটি কয়েকজন মুসলিম হয়েছে। একদিন আপনি ইসলামের সত্য শিক্ষা খুঁজে পেয়ে নিজে মুসলিম হয়ে গেলেন। গ্রামের মোড়লরা জানতে পারলো যে, আপনি মুসলিম হয়ে গেছেন। ব্যাস, শুরু হলো আপনার উপর অত্যাচার। প্রথমে তারা আপনাকে রাস্তায় দেখলে গালি দিত, ঢিল ছুঁড়ে মারত। তারপরও আপনাকে টলাতে না পেরে, রাস্তায় একদিন আপনাকে একা পেয়ে ব্যাপক মার দিলো। তারপর আপনাকে একদিন মাঠে নামাজ পড়তে দেখে আপনার উপর চড়াও হয়ে আপনাকে টেনে হিঁচড়ে বাজারে নিয়ে গেল, লোকজনদের সামনে আপনাকে চরম অপমান করলো। শেষ পর্যন্ত একদিন রাতের অন্ধকারে কয়েকজন লুকিয়ে এসে আপনার বাড়ি আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিলো। আপনাকে পরিবার সহ বাড়ি ছেড়ে অন্য এক মুসলিমের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হলো। এভাবে বছরের পর বছর ধরে আপনার উপর তারা অত্যাচার করতে থাকলো।

এদিকে গ্রামে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছুল যে, মুসলিমরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপর অত্যাচার প্রতিহত করা শুরু করলো। তাদেরকে গ্রামের হিন্দুরা আক্রমণ করলে, তারাও আত্মরক্ষায় উচিত জবাব দেওয়া করা শুরু করলো। এভাবে একসময় মুসলিমরা বেশ শক্তিশালী হয়ে গেল। একটা পর্যায় গিয়ে মুসলিমরা গ্রামের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী হয়ে গেল। তারা এখন ইচ্ছা করলেই গ্রামের হিন্দুদের উপর চড়াও হয়ে বছরের পর বছর ধরে চলা অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে পারে, সব হিন্দুকে গ্রাম ছাড়া করে ছাড়তে পারে। কিন্তু এখন আর হিন্দুরা তাদেরকে আক্রমণ করছে না, ইসলাম মেনে চলতে মুসলিমদেরকে কোনো বাঁধা দিচ্ছে না। তারা মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা মেনে নিয়েছে। সেই অবস্থায় মুসলিমরা ইচ্ছে করলেও প্রতিশোধ নিতে পারবে না, কারণ আল্লাহ নিষেধ করে দিয়েছেন। প্রতিশোধ নেওয়া তো দূরের কথা, তাদের সাথে কোনো বিরোধ রাখা, কঠোর হওয়া পর্যন্ত যাবে না। শুধুমাত্র যেই হিন্দুরা তখনো অন্যায় করে যাবে, শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে পারবে। এতদিন ধরে যারা মুসলিমদেরকে এত কষ্ট দিয়েছে, এত অন্যায় করেছে, তাদেরকে আল্লাহ ছেড়ে দিলেন, শুধুমাত্র এই কারণে যে, তারা এখন আর মুসলিমদেরকে বাঁধা দিচ্ছে না। শুধু তাই না, তাদের জন্য আল্লাহর বাণী—

কিন্তু ওরা যদি থামে, তবে অবশ্যই, আল্লাহ অনেক ক্ষমা করেন, তিনি নিরন্তর দয়ালু।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামে এমন কথা সরাসরি বলা হয়নি যে অমুসলিমদেরকে হত্যা করা সওয়াবের কাজ। বরং কাউকে অবৈধ ভাবে হত্যা করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। হত্যার ভয়াবহতার কারনে আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র এক ব্যক্তির হত্যাকারীকে সকল মানুষের হত্যাকারী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘’এ কারনেই আমি বানী ইসরাইলের জন্য বিধান দিয়েছিলাম, যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা যমিনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারন ব্যতীত কাউকে হত্যা করবে সে যেন তামাম মানুষকেই হত্যা করল; আর যে কোন মানুদের প্রান বাঁচালো, সে যেন তামাম মানুষকেই বাঁচালো। তাদের কাছে আমার রাসুলগন সুস্পষ্ট প্রমান নিয়ে এসেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে বাড়াবাড়ি করেছিল’’ মায়িদাহ ৫/৩২)।

অমুসলিমদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা নিষিদ্ধ হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধি ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়। (বুখারি, হাদিস : ৩১৬৬)।

যুদ্ধের ময়দানেও এভাবে ইসলাম ন্যায় ইনসাফের নির্দেশ দিয়েছে। মোটেও সকল অমুসলিমদের হত্যা করার নির্দেশ দেয়নি।

যারা বলতে চায় ইসলাম সকল অমুসলিমকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়, ব্য অমুসলিমদেরকে হত্যা করা সওয়াবের কাজ। তারা এক মারাত্মক নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়। সকল অমুসলিমকে যদি হত্যাই করা হয়, ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হবে কাকে বা ইসলামের বিস্তার হবে কিভাবে? 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ