শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

 

খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে গৌতমবুদ্ধ বর্তমান নেপালের কপিলাবস্তুর লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ করেন। পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের পর সর্বপ্রাণীর কল্যাণের জন্য বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করে তিনি ধর্ম প্রচার করেছেন। গৌতম বুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সেসব স্থান তীর্থস্থানের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে লুম্বিনী, বুদ্ধগয়া, সারনাথ, কুশিনগর, রাজগৃহ, শ্রাবস্তী, কপিলাবস্তু, নালন্দা, বৈশালী, কোশাম্বী ইত্যাদি। এসব স্থানে বুদ্ধ অনেক মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেছেন। অনেকবার বর্ষাবাস

উদ্যাপন করেছেন। অনেক ধর্মোপদেশ প্রদান করেছেন। বৌদ্ধধর্মের অনুসারী এবং পৃষ্ঠপােষক রাজা ও মহারাজারা বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এসব স্থানে বিহার, সঙ্ঘারাম, চৈত্য, স্তম্ভ ইত্যাদি নির্মাণ করেছেন। কিন্তু গৌতম বুদ্ধের জীবনের চারটি প্রধান ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল চারটি স্থানে। যেমন, তিনি জন্মগ্রহণ করেন নেপালের লুম্বিনী কাননে। বুদ্ধের

সময়কালে স্থানটি মগধ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। বুদ্ধত্ব লাভ

করার পর বুদ্ধ তাঁর নবলব্ধ ধর্ম প্রথম প্রচার করেন সারনাথে। বুদ্ধের সময়কালে সারনাথ কাশী রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন কুশীনগরে। বুদ্ধের সময়কালে স্থানটি মল্ল রাজ্যের অন্তর্গত

ছিল। বুদ্ধের জীবনের চারটি প্রধান সংঘটিত হয়েছিল বলে এ চারটি স্থানটি মহাতীর্থস্থান বলে। বৌদ্ধরা জীবনে অন্তত পক্ষে একবার হলেও চারি মহাতীর্থস্থান দর্শন করতে চেষ্টা করেন।


(রেফারেন্স: অষ্টম শ্রেণি র বৌদ্ধধর্ম পাঠ্য বইয়ের দশম অধ্যায়)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ