আমরা অনেকই শিশু অবস্থায় দীক্ষাস্নান বাপ্তিস্ম সাক্ৰামেন্ত গ্রহণ করেছি। প্রভু যীশু বড় হয়ে দীক্ষাস্নান গ্রহণ করেছেন। তবে প্রভু যীশুর দীক্ষাস্নান আমাদের দীক্ষাস্নান থেকে ভিন্ন রকমের ছিল। তিনি দীক্ষাগুরু যােহনের কাছে মন পরিবর্তনের দীক্ষাস্নান গ্রহণ করেছেন। আমরা যে দীক্ষাম্মান গ্রহণ করি সেই দীক্ষাস্নান বলতে আমরা বুঝি প্রভু যীশু খ্রিষ্ট করুক স্থাপিত ও মণ্ডলী করুস্তৃক স্বীকৃত বাহ্যিক চিহ্ন বা প্রতীক। এর মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ বা অনুগ্রহ লাভ করি। প্রভু যীশু
খ্রিষ্ট নিজে দীক্ষাস্নান গ্রহণ করে দীক্ষাস্নান সংস্কারের একটি নতুন রুপ দান করেছেন। তা হলাে জল ও আত্মায় নতুন জীবন লাভ।
প্রভু যীশু তার প্রকাশ্যজীবন শুরু করেছেন জর্ডন/যর্দন নদীতে দীক্ষাগুরু যােহনের দ্বারা দীক্ষাস্নান গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে। দীক্ষাগুরু যােহন মানুষকে পাপমােচনের উদ্দেশ্য মন পরিবর্তনের আহবান করেন। তিনি এই বলে
তার মন পরিবর্তনের বাণী প্রচার করেন, তােমরা মন ফেরাও। তিনি মানুষকে মনের আকা-বাঁকা সমস্ত চিন্তা দূর করে সত্য ও সুন্দরের সহজ-সরল পথে চলতে আহবান করেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে অনেক করুনগ্রাহক, ফরিসি, সাদুকি ও পাপী মানুষ মন পরিবর্তন করে
দীক্ষাস্নান গ্রহণ করেছিলেন।
(রেফারেন্স :সপ্তম শ্রেণীর বৌদ্ধধর্ম পাঠ্যবইয়ের পঞ্চম অধ্যায়)