Call

এলার্জি বস্তুগত কোন কিছু নয় যে শরীরে উপস্থিত থাকবে।

বিষয়টা হচ্ছে মানুষের শরীরে রক্তে রোগ প্রতিরোধী বা ঐ মানুষের শরীরের জন্য যা ক্ষতিকর তা প্রতিরোধী এন্টি বডি ও এন্টিজেন সৃষ্টি হয়। এই এন্টিজেন ও এন্টিবডি একটি ব্যক্তির শরীরে প্রতিরক্ষামূলক সকল ক্রিয়া বিক্রিয়া করে থাকে।

মানুষ সৃষ্টি বা গর্ভাশয়ে ভ্রূন গঠনের সময়ে যখন দুটি জনন কোষের মিলনে জিনগুলো একিভূত হয় তখন নানা উপাদান, জিনের কার্যকারিতা, প্রভাব, প্রকটতা ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন মিউট্যান্টে যেতে পারে। এই জিন বিন্যাস ও কার্যকারীতার জন্যই এক এক মানুষের গঠন বৈশিষ্ট বা শারীরিক প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যদিও বেশিরভাগ কমন গুলো একই। কিন্তু বিশেষ কিছু পার্থক্য থাকেই।

এই পার্থক্যের জন্য এক এক মানুষের শরীর এক এক পদার্থের প্রতি সেন্সিটিভ হয়ে থাকে। কারন ঐ দেহের জীন বিন্যাসে ভিন্ন প্রভাবক পদার্থ এসে পড়লে কোষের কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে। ঠিক এই প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তি যদি পরিবেশের বিশেষ কোন কিছু সহ্য করতে না পারে বা তার প্রভাবে শরীরে ফোস্কা পড়া। লাল গুটি বা ফুলে যাওয়া সৃষ্টি করে তবেই এই বিষয়কে এলার্জি বলা হয়।

যেমন কারও বেগুন খেলে ত্বক চুলকায়। অর্থাৎ ঐ ব্যক্তি বেগুনের কোন একটি উপাদানের জন্য ব্যক্তির রক্তের প্লাজমামেমব্রেন এক ধরনের এন্টিবডি তৈরি করে যা উপাদান থেকে কোষগুলোকে রক্ষা করতে চাই। এর ফলে ঐ এন্টিবডি নির্দিষ্টি ঐ পদার্থকে নিষ্ক্রি করে  দেয়। কিন্তু নিষ্ক্রিয় করার আগেই ঐ পদার্থ শরীরে ত্বকের কোষে সমস্যা সৃষ্টি করে ফুলে চুলকানির সৃষ্টি করে।

শুধু খাবার নয়, আলো, বাতাস, গন্ধ, তেল ইত্যাদি যেকোন কিছু এক এক ব্যক্তির জন্য এলার্জি তৈরি করতে পারে। আবার অনেকের হয়ত এসব কিছুই হয়না।


তাই বলা যেতে পারে যে, সকলের এলার্জি থাকেনা। আবার কিছু মানুষের এমন জিনিসে এলার্জি যে ঐ জিনিসটাই পাওয়া যায় খুবই কম, তাহলে ঐ ব্যক্তি কিন্তু এলার্জিতে পড়বেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ