Call

ইসলামে জামাআতে নামাজ পড়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটা আহনাফের কাছে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হলেও আমলগতভাবে ওয়াজিব।

এটা ইসলামের বড় একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এর দ্বারা ইসলামের শান প্রকাশ পায়। পরস্পরে দেখা সাক্ষাৎ হয়। ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ঐক্যবদ্ধতা প্রকাশ পায় এবং তা আরো নিবিড় হয়। পারস্পরিক খোঁজ-খবর নেয়া সহজ হয়। সাহাবায়ে কেরামগণ যখন আজান শুনতেন, দোকানপাট বন্ধ করে মসজিদে হাজির হতেন।

আর যে ব্যক্তি জামাআত ছেড়ে দেয়ার অভ্যাস বনিয়ে নেবে, সে সাংঘাতিক গোনাগার, ফাসিক। তার সাক্ষ্য অগ্রহণযোগ্য। যে তার প্রতিবেশিকে জামাআত ছাড়ার কারণে সতর্ক করে না, তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করে না, সে গোনাগার হবে। (কবীরী)।

যে এলাকার লোকেরা জামাআত পরিত্যাগ করে ঘরে নামাজ পড়ার অভ্যাস করবে, তাদের সে বদঅভ্যাস দূর করতে প্রয়োজনে অস্ত্রের মাধ্যমে জেহাদ করা ওয়াজিব। (মিরকাত শরহু মিশকাত)।

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এই নামাজগুলো জামাতে পড়ার প্রতি বিশেষভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। জামাতে নামাজ আদায় করার তাগিদ দিয়ে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৩)।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, জামাআতে নামাজের ফজিলত একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি। (সহিহ বুখারি)।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সারা জীবন জামাতের সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি ইন্তেকালপূর্ব অসুস্থতার সময়ও জামাআত ছাড়েননি। সাহাবায়ে কেরামের পুরো জীবনও সেভাবে অতিবাহিত হয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬২৪)।

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাআতে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে দুটি পুরস্কার দান করবেন। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। দুই. মুনাফিকের তালিকা থেকে তার নাম কেটে দেবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১)।

অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সাঃ) বলেন, আমার প্রাণ যার হাতে, তার শপথ করে বলছি, আমার ইচ্ছা হয় আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিই আর নামাজের আজান দেওয়ার জন্য হুকুম দিই। তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করি, যেন সে লোকদের নামাজের ইমামতি করে। আর আমি ওই সব লোকদের দিকে যাই, যারা নামাজের জামাআতে হাজির হয়নি এবং তাদের বাড়িঘরগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিই। (বুখারি, হাদিস : ৬১৮)।

অতএব আমাদের ওপর কর্তব্য হল পাঁচ ওয়াক্ত জামাআতে নামাজ পড়া। শৈথিল্য না করা। তাকবিরে উলা না ছাড়া। প্রথম সারিতে ইমামের পেছনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা। প্রথম কাতার দ্বিতীয় কাতার থেকে উত্তম। দ্বিতীয় কাতার তৃতীয় কাতার থেকে উত্তম। এভাবে শেষ কাতার পর্যন্ত। আগের কাতারে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা। ▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ