আমি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চাই। ওয়েব সাইট বানাবো এমনি ইচ্ছা কিন্তু আমি জানি এখানে মানে ইন্টারনেটের জগতে ১০০ ভাগ হালাল রোজগার করা প্রায় অসম্ভবই । কারন একটা ওয়েব সাইট বানাতে গেলে দেখা যায় ক্লাইন্ট মাঝে মাঝে বল্তে পারে তার এখানে মেয়েদের ছবি লাগাবে যেটা তখন বাধ্য হয়ে করা ছাড়া উপায় থাকে না। তখন ত আমার জানামতে টাকা হারাম মিশ্রিত হয়ে যায়। আমি যদি ১০০ ভাগ হালাল ভাবে বাচতে চাই তাহলে কি এই পথ ছেড়ে দেওয়াই ভালো ? অথবা যাকাতের মাধ্যমে কি টাকাটা শুদ্ধ হবে ? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনি চাইলে ব্লগিং করতে পারেন। কারন পারসনাল ব্লগিং করে এডসেন্স বা অন্য সব এড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করতে পারেন এতে আপনার খারাপ কোন ইস্যু না থাকলে খুব সহজে কাজ করে আর্নিং করতে পারবেন এবং এটি আপনি প্রতিষ্ঠান এর উপর ডিপেন্ড করে পারবেন।নিচু স্বভাবের ধর্মীয় মনোনিবেশ পরিত্যাগ করুন।পৃথিবীর সব কাজই হালাল যদি আপনি ভাবেন যে আপনি যে কাজ টি করে আর্নিং করতে বা পেশা হিসাবে নিয়ে থাকেন।

চাইলে আইডিয়া নিতে পারেন এখানে ক্লিক করে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

আগের হারাম টাকাগুলো দান করুন সওয়াব পাবার আশা করবেন না, সে সমস্ত কাজ শরীয়ত অনুমোদন দেয় শুধুমাত্র সেগুলো করে ইনকাম করতে পারেন, তবে এই কাজটা ছেড়ে দিলে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন,

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Islam Sotto

Call

ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তলব অনুযায়ী কাজ করার নাম হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। এ জগতে হাজার হাজার কাজ আছে। সেগুলো থেকে যদি আপনি কিছু শর্ত সাপেক্ষে হালাল কর্মের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন তাহলে নি:সন্দেহে তা হালাল।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَا أكَلَ أَحَدٌ طَعَاماً قَطُّ خَيْراً مِنْ أنْ يَأكُلَ مِنْ عَمَلِ يَدِه، وَإنَّ نَبيَّ الله دَاوُدَ عليه السلام كَانَ يَأكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدِهِ ». رواه البخاري
‘‘নিজের হাতের উপার্জন থেকে উত্তম খাবার কেউ কখনো খায় নি। আল্লাহর নবী দাউদ আলাইহিস সালাম নিজ হাতের উপার্জন থেকে খেতেন।’’(সহীহুল বুখারী ২০৭২, ইবনু মাজাহ ২১৩৮, আহমাদ ১৬৭২৯, ১৫৭৩৯)

তবে সর্বদা হালাল-হারামের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে এবং হারাম ও সন্দেহপূর্ণ বিষয় থেকে দূরে থাতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
«إنَّ الحَلاَلَ بَيِّنٌ، وَإنَّ الحَرامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبَهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ، اسْتَبْرَأَ لِدِينهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ في الحَرَامِ
‘‘অবশ্যই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দুটির মাঝখানে রয়েছে কিছু সন্দেহপূর্ণ বস্তু; যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব যে ব্যক্তি এই সন্দেহপূর্ণ বিষয় সমূহ হতে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করবে এবং যে সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পতিত হবে সে হারামে পতিত হবে।” (সহীহুল বুখারী ৫২, ২০৫১, মুসলিম ১৫৯৯)

মোটকথা, কাজের উপর নির্ভর করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা কখনো বৈধ আবার কখনো অবৈধ।

এ ক্ষেত্রে মূলনীতি হল, যদি আপনি এমন কাজ করেন যেটা মূলত শরিয়তে হালাল-যাতে হারামের সংস্পর্শ নাই তাহলে তা হালাল এবং সেখান থেকে উপার্জিত অর্থও হালাল আর যদি কাজটা হারাম হয় তাহলে তা করা হারাম এবং সেখান থেকে উপার্জিত অর্থও হারাম।

❑ ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের শর্তাবলী:

কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে ফ্রিল্যান্সিং করা এবং তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা বৈধ। যথা:
১. ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে কাজটি হালাল হওয়া (হারাম না হওয়া)।
২. দেশের প্রচলিত আইন পরিপন্থী না হওয়া।
৩. মানুষ, সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতি কারক না হওয়া।
৪.কারো অধিকার খর্ব না করা। (যেমন: কপিরাইট লঙ্ঘন করা)।
৫. আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সুদ, ঘুস বা দুর্নীতির আশ্রয় না নেয়া।
৬. মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও প্রতারণার আশ্রয় না নেয়া ইত্যাদি।

যদিও এগুলো অনলাইন-অফলাইন সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু অনলাইনে
আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ ক্ষেত্রে প্রতারণা ও অন্যায়-অপকর্মের সুযোগ বেশি থাকে।

❑ কয়েকটি উদাহরণ:

◈ গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্সে ডিজাইনে যদি কোন অশ্লীলতা না থাকে এবং পুরুষ-মহিলা বা অন্য কোনো প্রাণীর ছবি যুক্ত করা না করা হয় বা কপিরাইট কৃত কোন ছবি ব্যবহার না করা হয় তাহলে তা হালাল; অন্যথায় হারাম।

◈ ডাটা এন্ট্রি বা (লেখা)। এতে যদি শরিয়ত বিরোধী কিছু না থাকে তাহলে কোন আপত্তি নাই; অন্যথায় হারাম। যেমন: কোনো লেখকের কপি রাইট কৃত বই থেকে নকল করা, নাস্তিকতা ও ইসলাম বিরোধী প্রপাগাণ্ডা মূলক লেখা, অবৈধ প্রেমভালবাসা ও নোংরা-সেক্সুয়াল বিষয়ে লেখা ইত্যাদি। এগুলো লিখে অনলাইনে পয়সা কামানো হারাম।

◈ অনলাইন ভিত্তিক সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ/বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা। পণ্যটি যদি হালাল হয় তাহলে তা হালাল কিন্তু পণ্যটি হারাম হলে তা অবশ্যই হারাম। যেমন: মদ-নেশা, বিড়ি-সিগারেট, মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক, খাঁটি পণ্যের লেভেল লাগানো নকল পণ্য, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ পণ্য ইত্যাদি। এগুলো অনলাইনে বিক্রয় সেবা দিয়ে পয়সা কামানো হালাল নয়।

এভাবে হালাল-হারামের বিষয়টি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, SCO, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম), প্রশাসনিক সহায়তা, মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা (Customer Service) ইত্যাদি যতপ্রকার কাজ আছে সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
আল্লাহু আলাম।

মহান আল্লাহ আামাদেরকে বৈধ পন্থায় কাজ করে অর্থ উপর্জন করার এবং সকল প্রকার হারাম ও অসদুপায় অবলম্বন থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ