ফজরের নামাযের জন্য নির্দিষ্ট সময় হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত। কেননা, রাসুলুল্লাহ বলেছেন, ফজরের নামাযের সময় শুরু হয় ফজর বা উষার উদয় থেকে শুরু করে সূর্যোদয় পর্যন্ত। (মুসলিম, হাদিস: ৬১২)।
সূর্য যখন উদয় হয়, যতক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায় এই সময়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নামায পড়তে নিষেধ করতেন।
নিদ্রা থেকে জেগে কোন ব্যাক্তি দেখতে পেল সূর্যোদয়ের সময় আর বেশি বাকি নেই অযু সেরে কোন রকম ফরয নামায আদায় করা যাবে। এমতাবস্থায় ঐ ব্যাক্তি শুধু ফরয নামায আদায় করে নিবে।
এই সময় শুধু ফরয নামায আদায় করলে পরে সুন্নাতের কাযা আদায় করতেও পারবেন।
আর যদি ফরয সুন্নাত উভয় নামাযই সূর্যোদয়ের পূর্বে আদায় করার সময় না পায়, তবে ফরয ও সুন্নতের কাযা উভয়ই আদায় করতে পারবেন।
কোনো ব্যক্তি যদি ফজর নামাযের পূর্বে সুন্নত পড়তে না পারে তাহলে এক্ষেত্রে দলীল-প্রমাণের আলোকে শক্তিশালী মত হল, এ ব্যক্তি ফজরের সুন্নত সূর্যোদয়ের পর আদায় করবে। ফরযের পর সূর্যোদয়ের পূর্বে আদায় করবে না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের সুন্নত আদায় করতে পারেনি সে যেন তা সূর্যোদয়ের পর আদায় করে নেয়। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ৪২৩)।
স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ফজরের সুন্নত ছুটে গেলে তিনি সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে নিতেন।
যেমন বিশুদ্ধ সূত্রে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ঘুমের কারণে পড়তে পারেননি, তিনি তা সূর্যোদয়ের পর আদায় করে নিয়েছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস: ১১৫৫)।