ভাই আমি আগে অনেক গুনাহ করতাম, নামাজ পড়তাম না ঠিকভাবে, অশ্লীল কাজ করতাম, মেয়েদের দিকে বাঝে দৃষ্টিতে তাকাতাম, বাজে কথা বলতাম, মানুষের গীবত করতাম ইত্যাদি । এটি আমাকে অনেক আনন্দ দিত।। কিন্তু আল্লাহ পাক আমার উপর রহম করেছেন, আমি যখন বুজতে পারলাম যে, আমি ভুল পথে আছি তারপর আমি আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে তওবা করেছি, আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছি আল্লাহ আমাকে যাতে হেদায়েত দেয় আমি যাতে ভুল পথ থেকে ফিরে আসতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ, গত ৩/৪ মাস থেকে আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছি, বাজে সব কাজ ছেড়ে দিয়েছি, নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াতও করছি, মেয়েদের দিকে খারাপ দৃষ্টিতেও তাকাচ্ছি না। আর ভালো কাজ বেশি বেশি করার চেষ্টা করছি। আমি বর্তমানে খুব ভালো আছি। কিন্তু এই ২/৩ টা দিন আমাকে একটা জিনিস খুব ভাবাচ্ছে তা হলো গীবত। আমি আগেই বলেছি ভাই আমি আগে অনেক মানুষের গীবত করতাম। কিন্তু গীবত যে একটা কবিরা গুনাহ, এটা যে মদ্য পান ও যেনা করার মতই কবিরা গুনাহ এটা জানতাম না। আর গীবত তো এমন এক গুনাহ যে এটা বান্দার হকের সাথে সম্পৃক্ত। অন্য সব গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করলে আল্লাহ মাফ করেন। কিন্তু গীবত এমন এক কবিরা গুনাহ যা, যার গীবত করা হয়েছে তার কাছে ক্ষমা না চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না আর আমি এখানেই চিন্তিত।। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাদের গীবত করেছি তাদের কাছে ক্ষমা চাইব। কিন্তু কথা হচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই যদি আমাকে ক্ষমা না করে তাহলে আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবে না? ২/ ধরুন আমি গীবত করি নাই, কিন্তু ইচ্ছা অনিচ্ছায় গীবত শুনেছি তাহলে যাদের গীবত শুনেছি তাদের কাছেও কি ক্ষমা চাইতে হবে? ভাই প্লিজ ভালো ও কার্যকরি পরামর্শ দিবেন। কোনো মন গড়া উত্তর দিবেন না?