রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যেখানে দু'জন বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হয়, সেখানে তৃতীয়জন হয় শয়তান।"– [সহীহ্ তিরমিযী, ১১৭১] . এখানে নির্জনে নারী-পুরুষ কে একত্রিত হতে স্পষ্টত নিষেধ করা হয়েছে। . এখন ধরুন, আপনি বা আমি যদি কারো সাথে মোবাইলে কথা বলি, সেটাও নির্জনে একত্রিত হওয়া নয় কি? কারন, আমরা মোবাইলে কথা বলার সময় নির্জনেই কথা বলি। নির্জনে SMS আদান-প্রদান করি। এবং তখন দুজনের মধ্যে কোনোরুপ বাঁধা থাকে না। . একসময় কথাবার্তা কতটা অশালীন মূহুর্তে পৌছায়)। যার দ্বারা মুখের ও অন্তরের যিনা হয়। যা স্পষ্ট হারাম। . আল্লাহ বলেন, "তোমরা অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেও না"–[আল ইসার ১৭:৩২] এ বিষয়ে আরো দ্রষ্টব্য→ [সহিহ্ বুখারী: ৬৩৪৩ ও সহিহ্ মুসলিম:২৬৫৭] . অশ্লীলতা তো দূরের কথা, এক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে শালীন ভাবে কথাবার্তা বলারও বৈধতা নেই মুহাররাম নারী-পুরুষের মধ্যে। না প্রেম হিসেবে, না বন্ধুত্ব আর না দোস্ত-দোস্ত বলে ডাকা। কোনোটার ই বৈধতা নেই। . আপনি কিভাবে অপর একটি মেয়েকে বা ছেলেকে "Love You Jan" বলার সাহস রাখেন..? আপনি তো মুসলমান তাইনা? একটা সাধারন মেয়ে বা ছেলে কিভাবে আপনার জান্ (জীবন) হতে পারে..? আর যদি তাই হয়, তাহলে আপনি ১০০% শিরকের মধ্যে নিমজ্জিত আছেন। . ড. বিলাল ফিলিপ্স (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন, "স্রষ্টার চাইতে সৃষ্টিকে বেশি ভালোবাসার নাম ই শিরক।" . সুতরাং কোনো non-মাহরাম (যার সাথে বিবাহ সম্পর্ক হালাল) নারী বা পুরুষের সাথে নির্জনে একত্রিত হওয়া যাবে না। . ইহা স্পষ্ট হারাম ও ব্যাভিচারের শামিল। ব্যভিচার না করেও আপনার আমলনামায় ব্যাভিচারের পাপ লিপিবদ্ধ হবে। আল্লাহ বলেন, "আমি আমার বান্দা দের যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করবো, কিন্তু শিরকের গুনাহ ব্যতীত।"--[আন নিসা, ৪৮] যেটা হারাম সেটা হারাম ই। আপনি যায় করুন না কেন। অশ্লীল কথা বললেও হারাম পাপ হবে না বললেও সম্পর্ক টা হারাম পাপ হবে। আপনি তার সাথে দেখা করলেও পার হবে না করলেও পাপ হবে। কারণ আপনি তো হারাম কাজে লিপ্ত আছে। বিয়ের আগে কোন সম্পর্ক ই হালাল নয়। নিজেকে এই পথ থেকে বের করে আনুন। উনাকে সহ বোঝান। উনি একটি হারাম কাজে লিপ্ত থেকে আল্লাহ্ তালার ইবাদত করতে পারেন না। এতে আল্লাহ্ অখুশি হন। সময় এখন ও আছে তাওবা করে ফিরে আসুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবে। জাযাকাল্লাহ্ খায়রান/ ধন্যবাদ।