স্যামুয়েল হানেমান নামের এক চিকিৎসক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন৷ এই চিকিৎসার তত্ত্ব হচ্ছে, কোনো একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে কোনো একটি ‘সাবস্টেন্স’ বা উপাদান প্রয়োগ করা হলে যে প্রতিক্রিয়া হয়, সেই একই প্রতিক্রিয়া দেখানো রোগীকে সুস্থ করতে সেই সাবস্টেন্স ব্যবহার করতে হবে৷
কোন কোন রোগে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো উপকার পাওয়া যায়। যেমন: আঁচিল, চর্মরোগের মতো সমস্যাগুলোয় হোমিওপ্যাথি ওষুধে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। হাসপাতালে গেলে এগুলোর জন্য সার্জারি বা লেজার করা লাগে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে কিছুদিনের মধ্যে এগুলো ভালো হয়ে যায়।
হোমিওপ্যাথি ওষুধে ভালো হতে কিছুদিন সময় লাগে।তবে সাধারণ কিছু ক্ষেত্রে, অকার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে একজন রোগী যে সময় ব্যয় করেন, সেই সময়ের কারণে তাঁর রোগ আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে৷ যেমন, একজন ক্যানসার রোগী যদি কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির বদলে হোমিওপ্যাথিক উপায়ে রোগ সারানোর পথ বেছে নেন, তাহলে পরবর্তীতে তাঁর ক্যানসার চিকিৎসা করা দুরূহ হয়ে পড়তে পারে৷ আর এ ধরনের ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়৷
আসলে রোগ হলেই বা শারীরিক কোন সমস্যা হলেই যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে হবে তা কিন্তু নয়।বা সব চিকিৎসা কিন্তু হোমিওপ্যাথিক দাড়া সম্ভব না।
কেনো না এমনো সমস্যা আছে যা এলোপ্যাথি চিকিৎসা নেওয়া জরুরী কিন্তু এলোপ্যাথি বললেই হবে না। আপনার সমস্যা বুঝে উক্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
আর হ্যা আপনি কি কারনে বা কি সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন সেটা জানা জরুরী।
পরবর্তীতে প্রশ্ন করার আগে আপনার সমস্যা গুলো উল্লেখ্য করবেন।আশা করি চেস্টা করবো পরামর্শ দিতে ও চিকিৎসক রেফার করতে।