F.Rahman

Call

ক্লেয়ারমাউন্ট গ্র্যাজুয়েট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গ্রসবার্গ, অধ্যাপক মার্সিল ও অধ্যাপক জ্যাক মানুষের সুখের ওপর ভিত্তি করে একটি বায়োলজিক্যাল মডেল বানিয়েছিলেন। তাতে দেখানো হয়েছিল হরমোন মাত্রার ৫০% বিচ্যুতিতে কোনও মানুষের জীবনে সুখের মাত্রা কিভাবে প্রভাবিত হয়।

এই মডেলের প্রাথমিক ফোকাল পয়েন্ট ছিল অক্সিটোসিন নামের হরমোন ও নিউরোট্র্যান্সমিটার। একজন মানুষের সহমর্মিতা বা সংবেদনশীলতার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সঙ্ঘাতের সম্পর্কে জড়িয়ে আছে অক্সিটোসিন। এককথায় অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক ও সামাজিক আচরণের সঙ্গে এই হরমোনটি সম্পৃক্ত হয়ে আছে।

মহিলাদের ঋতুচক্রে প্রোজেস্টেরন ও এস্ট্রাডিওল-এর পরিবর্তন অক্সিটোসিনের রিসেপটারের ওপরে জোরালো প্রভাব ফেলে। মহিলাদের কাছ থেকে যে রিপোর্ট পাওয়া মিলেছে তাতে এই এই প্রভাবের স্বপক্ষে সমর্থন পাওয়া যায়। দেখা গেছে, লেট ফলিকুলার ফেজ অর্থাৎ ওভ্যুলেশন (ডিম্বানু নিঃসরণ পর্যায়) হওয়ার আগে যখন শরীরে উচ্চমাত্রার ইস্ট্রোজেন থাকে তখন তাঁদের জীবনের প্রতি তৃপ্তি বা সুখের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে প্রিমেনস্ট্রুয়াল ফেজ-এ তাঁদের মধ্যে সুখের অভাব দেখা যায়।

সুখের বায়োলজিক্যাল মডেল থেকে জানা যাচ্ছে, অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ আমাদের মুড, বিশেষ করে সুখের ওপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই হরমোন সেরিটোনিন ও ডোপামাইন নামের নিউরোট্র্যান্সমিটার দুটির সঙ্গে সম্পর্কিত। অক্সিটোসিনের নিঃসরণ উদ্বেগ (সেরাটোনিন) এবং অনুভুতি (ডোপামাইন) কমিয়ে ইতিবাচক অবস্থান হিসেবে সামাজিক বিস্তারকে সুদৃঢ় করে।

দেখা গেছে, বিশ্বস্ততা, অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য, উদারতা এবং সহানুভুতি দেখানোর সময় অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়। একটি পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে ৪১০ ইউ পরিমান অক্সিটোসিন কারও শরীরে প্রবেশ করানোর কিছুক্ষণ পরে, অন্যকে সাহায্য করার জন্য মানুষটির টাকা দান করার প্রবণতা ৪৮% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ