ইসলামী যৌনশাস্ত্রঃ ইসলামের দৃষ্টিতে যৌনতা এবং ইসলামে স্ত্রী সহবাসের নিয়ম।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সন্তান প্রসবের পর স্ত্রীলোকের জরায়ু থেকে যে রক্ত বের হয় তাকে ইসলামী শরীআতের পরিভাষায় নেফাস বলা হয়।

নিফাসের সময় নারীদের হায়েজ বা ঋতুর মতোই সালাত সাওম বন্ধ থাকে এবং এসময় স্বামীর সাথে সহবাস করা হারাম এবং কবীরাহ গুনাহ।

নিফাসের সময়সীমাঃ নারীদের নিফাসের সর্বোচ্চ সময় হচ্ছে ৪০ দিন, কিন্তু নিফাসের সর্বনিম্ন কোন সময় নেই। অর্থাৎ, ৪০ দিনের পূর্বে যেইদিন রক্তপাত বন্ধ হবে সেইদিন থেকেই সালাত-সাওম শুরু করতে হবে। কিন্তু সন্তান জন্মের ৪০ দিনের মধ্যে যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় তাহলে ৪০ দিন পর স্বাভাবিক সালাত সাওম শুরু করতে হবে। ৪০ দিন পরে যেই রক্তপাত তাকে "ইস্তিহাজা" বা নারীদের ঋতু সংক্রান্ত বিশেষ রোগ ধরতে হবে।

ইসলামে নেফাস বিশিষ্ট স্ত্রীর সাথে সহবাস করা স্বামীর জন্য জায়েয নয়। কিন্তু কেন?

বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে যে, মাসিক, নেফাস অবস্থায় মেয়েদের জরায়ু থেকে যে স্রাব আসে, তাতে রয়েছে বিষাক্ত কিছু যৌগ এতে পুরুষদের সিফিলিস, গোনোরিয়া, নানা রোগ হয়।

এই দুসময়ের মধ্যে সহবাস করলে উভয়েরই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা এ সময়ের রক্তের প্রচুর পরিমাণ বিষাক্ত জীবানু থাকে। যার দ্বারা ভয়ানক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রমাণিত। অনেক পুরুষকে দেখা যায় যে, এসয় সহবাস করার কারণে লজ্জাস্থানে এলার্জী জাতীয় বিভিন্ন রোগ হয়।

লজ্জাস্থানে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়, আবার কারো ধাতু দুর্বলতা দেখা দেয়। এ সময়ের সহবাস দ্বারা সন্তান জন্ম নিলে অনেক ক্ষেত্রে সন্তানের শরীরে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। শরীরে বিভিন্ন ধরণের ঘা হয়, যা থেকে অনবরত পানি ঝরতেই থাকে এবং বাচ্চাদানী বাহিরে বের হয়ে আসে। আবার অনেক সময় মহিলাদের ভ্রুণ নষ্টের রোগ হয়ে থাকে। এ ছাড়াও এ সময়ের সহবাসে নারী পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন ধরণের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ