আসসালামু আলাইকুম ।


ভাইয়ারা ইদানিং শয়তানে আমাকে কুফরের ওসাওয়াসা দিচ্ছিল , মানে ইসলামিক বিষয়ে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিচ্ছিল , আমি অনেক কষ্টে তা নিবারন করে যাচ্ছি , কিন্তু এখন তেমন ওসাওয়াসা না থাকলেও ইবাদত বা অনান্য জিকির করলে কেমন জানি প্রশান্তি পাই না ............ আগে অন্তর থেকে কেমন জানি প্রসান্তি আসত এখন আর আগের মতো শান্তি আসে না ???? শয়তানে আমাকে কুফরের ওসাওয়াসা দিচ্ছিল বলে কি আল্লাহ আমার অন্তর ভারি করে দিয়েছেন ???????


কি করলে আবার আগের মত হবো ...........................

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

না । শয়তান ওয়াসওয়াসা দিলে আল্লাহ অন্তর ভারি করে দিবেন না । এটা প্রকৃত ঈমানদারদের লক্ষণ । যাদের ঈমান সঠিক, তাদেরকেই শয়তান ওয়াসওয়াসা দিবে । আর আগের মত হতে, আল্লাহর কথা সবসময় স্মরণে রাখবেন । প্রশান্তি আসুক বা না আসুক, ইবাদাত অবশ্যই করবেন । ইবাদাত ছাড়বেন না । আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখুন । ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার সমাধান। চিন্তার কোন কারন নাই। মনোযোগ সহকারে পড়ুন: আপনার এ সমস্যাই মুমিনদের প্রথম সমস্যা নয় এবং শেষ সমস্যাও নয়; বরং দুনিয়াতে একজন মুমিন অবশিষ্ট থাকলেও এই সমস্যা বর্তমান থাকবে। সাহাবীগণও এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত,  جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ قَالَ وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ قَالُوا نَعَمْ قَالَ ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ                                                                 “সাহাবীদের একদল লোক রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে আগমণ করে জিজ্ঞাসা করল, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন মনে হয়। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যে, সত্যিই কি তোমরা এরকম পেয়ে থাক? তাঁরা বললেন হ্যাঁ, আমরা এরকম অনুভব করে থাকি। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটি তোমাদের ঈমানের স্পষ্ট প্রমাণ”। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শয়তানের ওয়াস্‌ওয়াসা থেকে বাঁচার উপযুক্ত ঔষধও আমাদের জন্য বর্ণনা করেছেন। এসব ধারণা থেকে বিরত থাকা এবং শয়তানের ধোকা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। মুমিন ব্যক্তি যদি ওয়াস্‌ওয়াসা থেকে বিরত থেকে আল্লাহর সন'ষ্টি কামনায় এবাদতে লিপ্ত হয়, আল্লাহর ইচ্ছায় অন্তর থেকে উহা চলে যাবে। সুতরাং আপনার অন্তরে এ জাতীয় যা কিছু উদয় হয়, তা থেকে সম্পূর্ণ বিমুখ থাকুন। আপনি তো আল্লাহর এবাদত করেন, তাঁর কাছে দু’আ করেন এবং তাঁর বড়ত্ব ঘোষণা করেন। আপনার অন্তরে যে সমস্ত কুধারণার উদয় হয়, তার বর্ণনা যদি অন্যের কাছ থেকে শুনেন, তাহলে আপনি তাকে হত্যা করে ফেলতে ইচ্ছা করবেন। তাই যে সমস্ত ওয়াস্‌ওয়াসা মনের মধ্যে জাগে, তার প্রকৃত কোন অসি-ত্ব নেই; বরং তা ভিত্তিহীন মনের কল্পনা মাত্র। এমনিভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পবিত্র কাপড় পরিধানকারী কোন ব্যক্তির মনে যদি এমন ওয়াস্‌ওয়ার জাগ্রত হয় যে, হয়তোবা কাপড়টি নাপাক হয়ে গেছে, হয়তোবা এ কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করলে নামায বিশুদ্ধ হবে না, এমতাবস্থায় সে উক্ত ওয়াস্‌ওয়াসার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না। উপরোক্ত আলোচনার পর সংক্ষিপ্ত নসীহত এই যেঃ ১)      ওয়াস্‌ওয়াসার আক্রান্ত ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর আদেশ মোতাবেক ওয়াস্‌ওয়াসা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবেন এবং আল্লাহর কাছে শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। ২)      বেশী করে আল্লাহর যিকির করবেন। ৩)      আল্লাহর  সন্তুষ্টি অজ'নের লক্ষ্যে অধিক হারে এবাদতে লিপ্ত থাকবেন। যখনই বান্দা পরিপূর্ণরূপে এবাদতে মশগুল থাকবেন, ইনশাআল্লাহ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Emranhasmi

Call

ঈমান দুর্বলতার আলামত, কারণ গুলি কি?
ও এর চিকিৎসা কিভাবে করবেন?
=============================
❖ প্রথম: ঈমান দুর্বলতার কতিপয় আলামত (১৯টি)
১) পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া
২) অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া
৩) মজবুতভাবে ইবাদত না করা 
৪) ইবাদতে অলসতা করা
৫) অন্তরে সংকীর্ণতা অনুভব করা
৬) কুরআনের আয়াত, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, আযাব-গযব এবং কিয়ামতের বিবরণ শুনে প্রভাবিত না হওয়া
৭) আল্লাহর যিকির-আযকার, দুয়া ইত্যাদির ব্যাপারে অমনোযোগী থাকা
৮) আল্লাহ বিধান লঙ্ঘিত হতে দেখলেও মনে রাগ বা ক্ষোভ সৃষ্টি না হওয়া
৯) নিজেকে লোক সমাজে প্রকাশের মনোবাসনা সৃষ্টি হওয়া
১০) প্রচণ্ড অর্থলিপ্সা ও কৃপণতা করা
১১) এমন কথা বলা যা সে নিজে করে না।
১২) কোন মুসলিমের বিপদ দেখে আনন্দিত হওয়া
১৩) কল্যাণকর কাজকে তুচ্ছ মনে করা বা ছোট ছোট নেকীর কাজকে গুরুত্ব না দেয়া
১৪) মুসলিমদের বিভিন্ন ঘটনাবলীতে গুরুত্ব না দেয়া
১৫) বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়া 
১৬) বিপদাপদ বা সমস্যায় মুষড়ে পড়া
১৭) তর্ক-বিতর্ক ও ঝগড়াঝাঁটি করা
১৮) দুনিয়ার প্রেমে মগ্ন থাকা
১৯) খাদ্য-পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদিতে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া।
--------------------------
❖ দ্বিতীয়: ঈমান দুর্বলতার কারণ (৮টি)
১) দীর্ঘ সময় ঈমানী পরিবেশ থেকে দূরে থাকা
২) সৎ, আদর্শবান ও অনুসরণীয় মানুষের সংশ্রব থেকে দূরে থাকা
৩) দ্বীনের ইলম (জ্ঞান) অন্বেষণ থেকে দূরে থাকা
৪) পাপ-পঙ্কিল পরিবেশে বসবাস করা
৫) দুনিয়াবি ব্যস্ততায় নিমগ্ন থাকা
৬) ধন-দৌলত, সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রী-পরিবার নিয়ে ব্যস্ততায় ডুবে থাকা
৭) সুদীর্ঘ আশা
৮) অতিরিক্ত পানাহার,অতিরিক্ত ঘুম অথবা নিঘূর্ম রাত কাটানো। অনুরূপভাবে মানুষের সাথে মেলামেশা ও উঠবসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় অপচয় করা।
--------------------------
❖ তৃতীয়: ঈমান দুর্বলতার চিকিৎসা (১৯টি)
❂ ১) আল কুরআন অধ্যয়ন করা
❂ ২) মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ব অনুধাবন করা,তাঁর নাম ও গুণাবলীগুলো সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করার পর সেগুলোর মর্মার্থ জেনে-বুঝে সেগুলোকে অন্তরে গেঁথে নেয়া এবং কাজে-কর্মে তার প্রতিফলন ঘটানো।
❂ ৩) দ্বীনের ইলম অন্বেষণ করা
❂ ৪) যে সকল বৈঠকে আল্লাহর যিকির তথা আল্লাহ এবং আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেগুলোতে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া
❂ ৫) অধিক পরিমাণে নেকীর কাজ করা এবং সব সময় নেকীর কাজে লেগে থাকা
❂ ৬) বিভিন্ন প্রকারের ইবাদত করা
❂ ৭) অধিক পরিমাণে মৃত্যুর কথা স্মরণ করা
❂ ৮) ঈমান নবায়নের অন্যতম উপায় হল,আখিরাতের বিভিন্ন মনজিলের কথা স্মরণ করা
❂ ৯) প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘটনাবলীতে প্রভাবিত হওয়া
❂ ১০) আল্লাহর যিকির
❂ ১১) আল্লাহ তাআলার কাছে নিজের দীনতা তুলে ধরে দুয়া-মুনাজাত করা
❂ ১২) বেঁচে থাকার লম্বা আশা না করা
❂ ১৩) এ কথা চিন্তা করা যে, পার্থিব জীবন খুবই নগণ্য
❂ ১৪) আল্লাহর বিধি-বিধান ও-নিদর্শনাবলীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা
❂ ১৫) আল ওয়ালা ওয়াল বারা (ঈমানদারদের সাথে বন্ধুত্ব এবং কাফেরদের সাথে শত্রুতা পোষণ করা)
❂ ১৬) বিনয় অবলম্বন করা
❂ ১৭) অন্তরের কতিপয় বিশেষ কাজ 
❂ ১৮) আত্মসমালোচনা 
❂ ১৯) ঈমান নবায়নের জন্য দুআ
মূল: শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ