এই মূহুর্তে আপনাকে কি বলা উচিত জানিনা। তবে আপনার পাপের বোঝা অনেক বড় তাই বলে আপনি আত্মহত্যা করে নিজেকে মুক্তি দিতে যাবেন না বরং আপনি আপনার পাপের জন্য অনুঃতপ্ত হয়ে খাঁটি মনে আল্লাহর কাছে তওবা করুন আর ভবিষৎ এ এই পাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। একবার ভেবে দেখুন আপনি যদি এই মূহুর্তে আত্মহত্যা করেন তাহলে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনি কিছুই করতে পারবেন না। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,"নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না। এতদ্ব্যতীত যেকোন পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন"(সূরা আন-নিসা,আয়াত ৪৮) সুতরাং আল্লাহর উপর আস্থা রেখে খাঁটি মনে তওবা করুন।
আল্লাহ মহান দয়ালু। আপনি পবিত্র মনে ক্ষমা চেয়ে তওবা
করে এসব কাজ থেকে সম্পূর্ন নিজেকে সরিয়ে নিয়ে
ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করুন। আর কখনও এসব কাজ
করবেননা। আত্বহত্যা করা মহাপাপ। আপনি যে পাপগুলো
করছেন মারা গেলে আপনার পাপমোচন হবেনা।
"সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান তারা, যারা নিজের সমালোচনা করে
এবং নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।"
( আল-হাদিস)।
১. যেহেতু লিঙ্গ যোনিতে ঢুকাননি, তাই এটা বড় যিনা তথা ব্যভিচার বা ধর্ষণ হয়নি। পাপের কাজ হয়েছে অবশ্যই, কিন্তু এটা যিনা নয়। ২. আপনার এত খারাপ কাজ করার কারণ হল- খারাপ ভিডিও দেখা। আপনার ওগুলো থেকে বেঁচে থাকা কর্তব্য ছিল। আর কখনোই এসব দেখবেন না। ৩. বিয়ে করবেন না কেন? আসলে হাদিসের ভাষায় আপনার চিকিৎসাই হল বিয়ে। বিয়ে ছাড়া আপনি ঠিক থাকতে পারবেন না। যৌবন পবিত্র রাখতে হলে বিয়ের বিকল্প নেই। এখন বিয়ের আগ পর্যন্ত যথাসম্ভব রোজা রাখতে পারেন। কেননা, যৌবনকে দমিয়ে রাখার ওষুধ হিসেবে রোজার কথা বলা হয়েছে। ৪. আপনি বিয়ে না করে হস্তমৈথুন করছেন। হস্তমৈথুনও কিন্তু কবিরা গুনাহ। তাই এসব গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য আপনার ওপর বিয়ে করা ওয়াজিব। ৫. আল্লাহ তাআলা দয়ার আধার। তাঁর দয়ার তুলনায় বান্দার গুনাহ কিছুই না। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, বান্দা তাওবা করলে তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনার চেয়ে বেশি হলেও আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আপনি যেহেতু তাওবা করেছেন এবং খুব অনুতপ্ত হয়েছেন, তাই আশা করা যায়, আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিন। ৬. কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, তিনি শিরক ছাড়া সব গুনাহই ক্ষমা করেন। আপনার গুনাহ তো শিরক নয়; কবিরা গুনাহ। আল্লাহ অবশ্যই আপনার গুনাহ ক্ষমা করবেন। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হতে নেই। ৭. আত্মহত্যা করা মহাপাপ। এক পাপকে ঢাকতে আরেক পাপ করার কোনোই মানে নেই। আর আপনার বর্তমান গুনাহের কারণে চিরস্থায়ী জাহান্নামে জ্বলতে হবে না। কিন্তু আত্মহত্যা করলে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। ৮. মৃত্যু কামনা করা কিংবা নিজে নিজে মৃত্যু ঘটানো উভয়টিই হারাম। তাই এক গুনাহের প্রায়শ্চিত্ত্ব করতে আরেক গুনাহ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ৯. আপনার মা বাবা ঠিকই বলেছেন। চরিত্র ঠিক করুন, দেখবেন পৃথিবীর সবকিছুই ঠিক। ১০. আপনার বোনের কাছে গুনাহটা গোপণ। আর গোপণ গুনাহকে প্রকাশ করাও গুনাহের কাজ। তাই তার কাছে এসব বলার কোনোই দরকার নেই। আপনি এমনিতে তার কাছে বলতে পারেন যে, "আমি একটা অপরাধ করেছি, তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস।" এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে যাবেন না। ১১. আপনি পাপ কাজ করে ফেলেছেন বলে বিয়ে করবেন না- এটা ঠিক নয়। বরং বিয়েই হল আপনার চিকিৎসা। আর ভুল মানুষের হতেই পারে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। তাছাড়া আপনি তাওবা করেছেন, অনুতপ্ত হয়েছেন— এখন তো আপনি পবিত্র পুরুষ! ১২. স্ত্রীর হক নষ্ট করেছেন কিংবা সন্তান যদি খারাপ হয়- এসব খোঁড়া যুক্তিতে বিয়ে না করা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। সন্তান ভালো হওয়ার গ্যারান্টি কেউই দিতে পারবে না। প্রমাণ- নুহ্ আলাইহিসসালামের ছেলে কাফের ছিল! তাই ভবিষ্যতের চিন্তায় বিভোর হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে। ১৩. অতীত কাহিনি এবং গুনাহের কথা ভুলে যান। সুন্দর একটা জীবনের স্বপ্ন দেখুন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, ধর্মকর্মে মনোযোগী হোন। ইনশাআল্লাহ আপনিও একজন সফল ও আদর্শ পুরুষ হতে পারবেন। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দিন।
মহান আল্লাহতায়ালা শিলাজিত অন্য সকল গুনা যাকে ইচ্ছা তাকে মাফ করে দেন আপনার উচিত দৃঢ় চিত্তে তাওবা করা নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী প্রার্থনা কবুলকারী আল্লাহ যদি আপনার সকল পাপ মাফ করে দেন আপনাকে হেদায়েত দেন তাহলে আল্লাহকে কেউ ঠেকাতে পারবে না আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আজিজুল হাকিম তিনি আল্লাহ তাঁর শক্তি অসীম তিনি সর্বশক্তিমান সবচেয়ে ক্ষমাশীল তার শেষ নেই