সমস্যা হলেই কেবল বোঝা যায়, কতটা বিরক্তিকর বিষয়টি। অস্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম না করা,পানি শূন্যতা,অতিরিক্ত ধূমপান করা,মানসিক চাপ, অপুষ্টি, ঘুমের অসুবিধা ইত্যাদি কারণে হজমে সমস্যা হয়।
টানা হজমের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে এর আগে হজমের সমস্যা সমাধানে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।
আদা
হজমের সমস্যা সমাধানে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই আদা রাখুন। এটি বমি এবং বমিবমি ভাব প্রতিরোধেও কাজ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও প্রদাহরোধী উপাদান হজমে সাহায্য করে।
হজমে সমস্যা হলে দিনে দুই থেকে তিন কাপ আদার চা খেতে পারেন। দেড় কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি দিন। একে চুলায় ১০ মিনিট ফুটতে দিন। পানীয় থেকে আদা কুচিকে বের করে ফেলুন। সামান্য মধু দিন। এরপর পান করুন।
দুই চা চামচ আদার রস এবং এক চা মামচ মধুর দুই কাপ গরম পানিতে মেশান। দিনে দুই বা তিন বেলা এটি খান।
হজম ভালো করতে খাওয়ার পর ছোট একটি আদার টুকরোও চিবুতে পারেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
এর মধ্যে থাকা পেকটিন বাউয়েল মুভমেন্ট ভালো করে, হজমে সাহায্য করে।
এক টেবিল চামচ কাচা, অপরিশোধিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এক কাপ গরম পানিতে দিন।
এর মধ্যে মধু মেশান।
হজমের সমস্যা সমাধানে একে দিনে দুই থেকে তিন বার পান করুন।
আপনি কারমিনা টেবলেট খেতে পারেন নয়ত কারমিনা সিরাপ খেতে পারেন এটি হামদার্দ কম্পানির একটি ঔষধ নির্ধানিত মাত্রাই সেবনে কোনো সাইড ইফেক্ট নাই। এটি কাজ করে কারমিনা পাকস্থলীর দুর্বলতা, লিভারের দুর্বলতা, হজমের দুর্বলতা, অম্লাধিক্য, পেট ফাঁপা, বায়ুজনিত পেট ব্যথা, অরুচি, চুকা ঢেকুর, বমিভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যে কার্যকরী। কারমিনা হজমের যাবতীয় গোলযোগ ও রোগ ব্যাধি দূর করার কাজে বিশেষভাবে কার্যকরী। কারমিনা লিভারের বিপাকীয় কার্যক্রম অত্যন্ত সুন্দরভাবে সংশোধন করে। কারমিনা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং লিভার ও পাকস্থলীর কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের ছন্দ নিয়ন্ত্রন করে। এটি সেবন করলে আশাকরি উপকার পাবেন।
আপনি ঔষুধের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করুন- *খাবার সময় খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে খাবেন *খাওয়ার সময় পানি না খেয়ে খাওয়া শেষে ২০ মিনিট পর পানি খান। *খাওয়ার পর হালকা একটু হাটতে পারেন *নিয়মিত খাবার ও পরিমিত খাবেন এছাড়াও চর্বি/তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন। *খাওয়ার পর আদা বা জিরা চিবাতে পারেন *আশ জাতীয় খাবার ও পানি প্রচুর খাবেন * প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন