বিয়ের সঠিক সময় এবং সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে উপযুক্ত বয়সে স্ত্রীর ভরণ-পোষণের ক্ষমতা অর্জনের পর পিতা-মাতার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপযুক্ত পাত্রীকে বিয়ে করা। সময়ের পূর্বে পিতা-মাতার অজান্তে বিয়ে করা একেবারেই অনুচিত। কেননা তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনে। এক্ষেত্রে এখন আপনার করণীয় হচ্ছে পরিণত বয়সে পিতা-মাতার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিয়ে করা এবং সকল প্রকার অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকা। তবে যদি কমপক্ষে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে করেই ফেলেন, তাহলে যদিও শরিয়তের দৃষ্টিতে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবেÑ কিন্তু সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে তা সম্পূর্ণ অনুচিত হবে। আপনি আখেরাত ও জাহান্নামের কথা স্মরণ করে গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজনে অভিভাবকদের জানিয়ে তাদের পরামর্শক্রমেই বিয়ে করুন। দায়-দায়িত্বহীনভাবে গোপনে বিয়ে করা ইসলামের দৃষ্টিতে পছন্দনীয় নয়। তাছাড়া মেয়ের অভিভাবকদের না জানিয়ে বিয়ে করা তার জন্যও চরম ক্ষতির কারণ হতে পারে। [আদ দুররুল মুখতার : ৩/৫৬, আল বাহরুর রায়েক : ৩/১৯২] উত্তর প্রদান : মুফতি হিফজুর রহমান, সহকারী মুফতি, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা
উভয়পক্ষের পিতামাতার উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পূর্ণ করা উচিত।কোন পক্ষের পিতামাতা যদি এই বিয়েতে রাজি না থাকে তবে বিয়ে বৈধ হবে না।পিতামাত কিন্তু এই মহুতে বিয়ে দিতে সম্মত ছিল না।তাদের না জানিয়ে বিয়ে করা সঠিক হয় নি।তাছাড়া মেয়ে পক্ষের সম্মতি সম্পর্কে জানান নি।তারা যদি এই বিয়েতে সম্মতি না দেন।তাহলে এই বিয়ে বৈধ হবে না।