নারকেল তেল: চুলের যত্নে সবার প্রথমে আসে নারকেল তেল। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন দামের নারকেল তেল পাওয়া যায়। নারকেল তেল চুলের যত্নের জন্য আবশ্যক। ব্যস্ত থাকলে বাড়ি ফিরে গোসলে যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে নারকেল তেল লাগান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সময় থাকলে চুলের গোড়ায় এবং চুলে ভালো করে নারকেল তেল লাগান। একটা শুকনো টাওয়েল কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে পুরো মাথার চুল ঢেকে মুড়িয়ে রাখুন। ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নারকেল তেল লাগিয়ে ঘরে বানানো যে কোনো ধরনের হেয়ার প্যাক লাগাতে পারেন। আলমন্ড অয়েল বা বাদাম তেল:: নারকেল তেলের মতো বাদাম তেল চুলের জন্য অনেক উপকারী হলেও আমাদের দেশের বাজারে বাদাম তেলের প্রাপ্যতা কম। বাদাম তেল চুলের নানা উপকারে আসে। অনেক সময় ধুলাবালি লেগে চুল অনেকটা নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের শাইন বাড়াতে বাদাম তেল ব্যবহার করুন। শুষ্ক চুলের যত্নে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার বাদাম তেল ব্যবহার করা উচিত। কালার কিংবা রিবন্ডিং করা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বাদাম তেল কাজে দেয়। চুল আয়রন করালে চুলকে সুস্থ রাখতে ম্যাসাজ করে লাগান বাদাম তেল। যদি বাদাম তেলে অ্যালার্জি থাকে তাহলে এই ধরনের তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। আমলা বা আমলকীর তেল:: আমলা বা আমলকীর তেলের গুণাগুণের শেষ নেই। আমলা তেল সহজেই চুলের গোড়ায় প্রবেশ করতে পারে। চুল পেকে যাওয়া রোধ করে। রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ যা চুলে খুশকি, উকুন এবং ইনফেকশন হওয়া প্রতিরোধ করে। ক্যাস্টর অয়েল:: ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন এক ধরনের আঠালো তেল। একে মূলত হালকা কোনো তেল যেমন নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক স্ক্যাল্পে ময়েশ্চার জোগাতে এই তেল ব্যবহার করা উচিত। এতে থাকে প্রচুর মিনারেলস এবং ভিটামিন। চুলের ফেটে যাওয়া রোধ করতে ক্যাস্টর অয়েল উপকারে আসে। শুষ্ক চুল এবং স্ক্যাল্পের জন্য এই তেল সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করা উচিত। তবে চুল খুবই তৈলাক্ত হলে এই তেল বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।