প্রয়োজন পূরণের নামাজ মানুষের প্রয়োজনের যেমন শেষ নেই, তেমনি আশারও কোনো পরিমাপ নেই। আশা- নিরাশা, সুখ-দুঃখ ও দুশ্চিন্তা-হতাশা নিয়েই মানব জীবন। এতকিছুর পরও মানুষ স্বপ্ন দেখে, উন্নত জীবনের খোঁজে প্রতিনিয়ত চেষ্টা-তদবির করে। ইসলাম এ চেষ্টা তদবিরের বিরোধী নয়। বরং ইসলাম এমন পরিস্থিতিতেও মানুষকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে। যা নামাজের মাধ্যমে অর্জিত হয়। এ নামাজকে সালাতুল হাজত বা প্রয়োজনের মুহূর্তের নামাজ বলা হয়। মানুষের বিশেষ কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। এ নামাজ আদায়ের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। নামাজ শেষে আল্লাহতায়ালার হামদ ও ছানা (প্রসংসা) এবং নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে। দোয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে হাদিস শরিফে নিন্মোক্ত দোয়া পাঠের বর্ণনা আছে। দোয়াটি হলো— উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আছআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক; ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাঅলি- জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান- ইল্লা কাজাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন। [তিরমিজি, ইবনে মাজা ও নাসায়ি]
যে ছোট্ট সূরা পাঠ করলে আল্লাহ মনের বাসনা পূরণ করেন
আবু সোলায়মান দারানী বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন প্রার্থনা করতে চায়, তার উচিত, প্রথম দরূদ পাঠ করা এবং দরূদ দ্বারা দোয়া শেষ করা কেননা, আল্লাহ উভয় দরূদ কবুল করেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন তোমরা আল্লাহর নিকট চাও তখন আমার প্রতি দরূদ পাঠ কর। আল্লাহর শান এরূপ নয় যে, কেউ তার কাছে দুইটি জিনিস চাইলে একটি পূর্ণ করবেন এবং অপরটি করবেন না।
সূরা এখলাছ তিনবার পাঠ করে আল্লাহ্’র দরবারে দোয়া করলে আল্লাহ্ নেক আশা পূর্ন করেন।
যে ব্যক্তি দৈনিক এশার নামাজ পর এই পাক নামটি ইয়া জাহিরু ১০০বার পাঠ করে তার মনের সকল নেক বাসনা পূর্ণ হয়।সূত্র:প্রতিদিনের আমলের কিতাব ।