কতটুকু লম্বা হবেন সেটা বেশিরভাগ ই নির্ভর করে জিনগত ও বংশগতর উপর। পুরুষদের 18 বছরের পর হাড়ের বৃদ্ধি ঘটেনা বলেই জানিয়েছে চিকিত্সকগন। অনেক ক্ষেত্রে 25 বছর পর্যন্ত পুরুষদের শরীরের বৃদ্ধি ঘটে, তবে তার সম্ভাবনা খুবই কম।
18 বছরের আগ পর্যন্ত লম্বা হতে হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে কিছুটা ফলাফল পাওয়া যায়। আপনার লম্বা হওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নাই। দৌড়, লাফ, হ্যাংগিং, সাইকেলিং, সাঁতার ইত্যাদি ব্যায়াম গুলো করে দেখতে পারেন উপকৃত হবেন।মোটা হওয়ার বিষয়ে এই লিংকে দেখুন
০১. সুষম খাদ্য গ্রহণ করাঃ এক জন লোক অনেক খাটো দেখায় যদি তার শরীর ফাঁপা থাকে। তাই ফিট থাকতে হয় সঠিক খাবার খেয়ে। - প্রচুর পরিমাণে লীন প্রোটিন খেতে হবে। যেমন সাদা ফার্মের মুরগীর মাংস, মাছ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর লীন প্রোটিন থাকে। যা পেশী গঠনে সাহায্য করে ও হাড্ডির ক্ষত পূরণ করে। - কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। যেমন – ভাত, আলু, কেক ইত্যাদি। অতিরিক্ত মিষ্টি ও সোডা থেকে দূরে থাকুন। - প্রচুর ক্যালসিয়াম খান যা সবুজ শাকসবজীতে পাওয়া যায়। দুধ, দই -এ প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। - যথেষ্ট পরিমাণে জিংক থেতে হবে। জিংক পাওয়া যায় কুমড়া, ওয়েস্টার ও গম, ও চিনাবাদামে। - ভিটামিন ডি খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এটি পেশী ও হাড্ডি গঠনে ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে শিশুদের গ্রোথ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং তরুণীদের ওজন বাড়ে। মাছে, মাশরুমে ও সূর্যের আলোতে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি। ০২. ব্যায়ামঃ তরুণরা বিশেষ করে বয়ঃসন্ধি কালে হাইট বাড়ানোর ব্যায়াম করে। লাফান, যেমন – দড়ি লাফান, সাঁতার কাটুন, সাইকেল চালান, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট। জিমে জয়েন করুন পারলে। খেলাধুলা করুন। ০৩. ঘুমঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান প্রতিদিন। ঘুমের সময় শরীর বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমালে শরীর লম্বা হওয়ার মতো সময় পায়। কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমান যদি আপনার বয়স ২০ এর কম হয়। শরীরের হরমোন গভীর ঘুম এর সময় উত্পন্ন হয়। পিটুইটারী গ্লান্ড থেকে গ্রোথ হরমোন বের হতে সাহায্য করে। ০৪. গ্রোথ যেসব কারণে প্রভাবিত হয় তা পরিহার করার চেষ্টাকরুন। আপনার ন্যাচারাল হাইট যাতে পরিবেশ গত কারণে না কমে তার চেষ্টা করবেন। এলকোহল বা স্মোকিং করা যাবেনা। এগুলো কম বয়সে খাওয়া উচিত্ নয়। যারা অপুষ্টিতে ভোগেন তাদের স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খাটো দেখায়। যারা একটু খাটো তারা সোজা হয়ে থাকার চেষ্টা করবেন সব সময়। কুঁজো হয়ে হাঁটবেন না। ঘাড়টা একটু পেছনে বাঁকিয়ে সোজা হয়ে হাঁটার অভ্যেস করুন। এতে কিছুটা লম্বা লাগবে। একটু টাইট কাপড় পরার চেষ্টা করবেন। নিজেকে চিকন দেখাতে পারলে কিছুটা লম্বা লাগবে। ডার্ক রঙের ড্রেস যেমন – কালো, নীল, সবুজ পরার চেষ্টা করবেন। মেয়েরা বাইরে গেলে হাইহিল পরবেন। এছাড়া ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যদি দেখেন যে আপনার সন্তানের সঠিক গ্রোথ হচ্ছেনা। ডাক্তার রা অনেক রকম টিট্টমেন্ট দিয়ে থাকেন। গ্রোথ হরমোন থেরাপি ছোট বেলায় নিলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। তাই আপনার শিশুর সঠিক গ্রোথ হচ্ছে কিনা তা জানতে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ রাখুন। কিছু ব্যায়ামঃ ছোট বেলা থেকে এ ব্যায়াম গুলো নিয়মিত করা ভালো। তবে দেখা যায় আমরা অনেকে ব্যায়াম করি টানা ১সপ্তাহ, অতিরিক্ত করে অল্প সময়ে ফল পেতে চাই। এটা ঠিক না। অল্প অল্প করে প্রতি দিন ব্যায়াম করা উচিত্। আর যেকোন ব্যায়াম করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত্। আর ব্যায়াম করার আগে শরীর গরম করে নেয়া উচিত। নিচে কয়েকটি সহজ ব্যায়ামের উপায় দেয়া হলো। ০১. মেঝেতে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরের উপরের অংশটি আস্তে আস্তে তুলুন। মেরুদন্ড বাঁকা করে মাথাটা পেছনের দিকে যতটা পারা যায় বাঁকান। ০২. হাঁটু ভাঁজ করে, হাতের তালু ও হাঁটুতে ভর দিয়ে বিড়ালের মত হোন। মাথা উপরের দিকে বাঁকিয়ে পিঠ নিচের দিকে বাঁকিয়ে নিন। এরপর মাথা নিচু করে মেরুদন্ড বা পিঠ উপরের দিকে বাঁকা করুন। ৮ সেকেন্ড পর এভাবে কয়েক বার করুন। ০৩. মেঝেতে বসুন। দু পা দুদিকে ছড়িয়ে দিন। এরপর ডান হাঁটু তে নাক লাগানোর চেষ্টা করুন, হাঁটু ভাঁজ না করে যতটা পারা যায়। ৮ সেকেন্ড থাকুন এভাবে। এরপর বা পায়ে একই ভাবে করুন। ০৪. উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর হাতের তালু ও পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে শরীরটি উপর দিকে বাঁকিয়ে উঁচু করে তুলে ধরুন মাথা নিচে রেখে। এভাবে ৮ সেকেন্ড থাকুন। ০৫. মেঝেতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাটু ভাঁজ করে পায়ের গোড়ালী নিতম্বের কাছে নিয়ে আসুন। এরপর গোড়ালী হাত দিয়ে ধরুন। এরপর কোমড় সহ নিতম্ব উপরের দিকে উঠান। মাথা নিচে থাকবে। এভাবে ১০ সেকেন্ড থাকুন। কনফিডেন্ট থাকুন। মনে রাখবেন মানুষের শারীরিক গঠনটাই মূখ্য নয়। মানুষ হিসেবে আপনি কেমন তাই মূখ্য। কোন বিষয় নিয়েই ছোট হবেন না। নিজেকে মূল্য দিন। ভালোবাসতে শিখুন নিজেকে।
আপনি কিছু হাইট গ্রো এক্সসারসাইজ করতে
পারেন, যেমন-
1. Bar Hanging:
2. Dry Land Swim:
3. Pelvic Shift:
4. Cobra Stretch:
(গুগুল থেকে ফটো পেয়ে যাবেন)
আার মোটা হওয়ার জন্য -
আপনি বেশি বেশি করে ক্যালোরিযুক্ত খাবার
খান। ভাতের বদলে ডাল এবং সবজিসহ রান্না
করা খিচুড়ি খান । ভাত খেতে হলে বসা ভাত
রান্না করুন কিংবা রাইস কুকারে রান্না করা ভাত
খান । ফ্যান বা মাড় ঝরানো ভাত খাবেন না ।
রুটি খাবেন না । পাউরুটি খেলে জেলি/জ্যাম
অথবা মাখন সহ খান । প্রতিদিন ১০০ গ্রাম
বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে
২৫০ গ্রাম দুধ খান । দিনে ২ টি ডিম খান ।
অতিরিক্ত চা কফি খাবেন না । কখনই খাবার
বাদ দেবেন না । দ্রুত কোথাও যেতে হলে বা
কাজ থাকলে পথে খাবারটা খেয়ে নিন ।
খাবার বাদ দিলে শরীরের ক্ষতি হয় । তিনবেলা
খাওয়ার সাথে সাথে বিকালে নাস্তা করুন ।
এতেই আপনি মোটা হয়ে উঠবেন।
ভাই মোটা হওয়ার আগে লম্বা হউন।আমি আপনাকে কিছু লম্বা হওয়ার টিপস দেব,আশা করি মেনে চললে মাএ এক মাসে আপনার উচ্চতার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পারবেন। ১।প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটু ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন।যেমন,আপনি আপনার পায়ের পাতা স্পর্শ করুন।হাটু যেন ভাজ না হয়।ঠিক ৪ সেকেন্ড পরপর এই ব্যায়াম করুন ২।কোবরা সাপের মত আপনি আপনার হাটু এবং পায়ের পাতা মেঝেতে ছাড়িয়ে দিন,এবার হাতের উপর ভর দিয়ে মাথা উপরের দিকে দিয়ে তাকিয়ে থাকুন।৫ সেকেন্ড পরপর করুন। ৩।এবার এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।আর ঘুমানোর সময় হাটুর নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমাবেন।কারন ঘুমের মাধ্যমে আপনার শরিরের হরমোন আপনার বৃদ্ধি ঘটাবে। ৫।সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই পুর্বের ব্যায়াম গুলো একই নিয়মে করেন।আর ব্যায়াম শেষ হলে কোন গাছের ডালে ধরে ঝুলতে থাকুন।এতে আপনার হাত দেহের সাথে লম্বা হতে সাহায্য করবে। ৬।আর গোসলের সময় প্রচুর পরিমানে সাতার কাটবেন।কারন সাতার আপনার লম্বা হতে অনেক অনেক সহায়তা করবে। আর ৯~১০ ঘন্টা ঘুমাবেন।আমার এই নিয়ম মাএ ১ মাস নিয়মিত মেনে চললে আপনার হাইট আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।আশা করি আপনি ফল পাবেন!