আমি বিগত কয়েকদিন যাবত স্বপ্নদোষ নিয়ে ভুগছি, কোন কাম বাসোনা ছাড়া সাপ্তাহে ৩-৪ দিন পযর্ন্ত স্বপ্নদোষ হয়ে যায়। দিনে আমি নারী নিয়ে কোন চিন্তা করিনা তার পর ও স্বপ্নদোষ হয়। আমার শরীর এখন খুব দুরবল হয়ে গেছে। আমি এখন কি করবো। দয়াকরে জানাবেন কিন্তুু
ভরা কলসিতে পানি ঢাললে তা উপচে পড়ে।স্বপ্নদোষ ব্যাপারটিও একই রকম।তবে এটা যখন কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায় তখন তা একটা বড় ধরনের রোগ বা সমস্যা হয়ে দাড়ায়।আপনার সমস্যা টা আমি পড়ে বুঝতে পারলাম যে আপনি Normal condition এ নেই।এটা আপনার একটা রোগ হয়ে দাড়িয়েছে।কিন্তু এতে ভয়ের কোন কারন নেই।।সম্পূর্ন দুশ্চিন্তা দুর করুন।নিয়মিত ব্যায়াম করুন।খারাপ চিন্তা ভাবনা মনে পাত্তা দিবেন না।ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন।আর যেটা করতে হবে সেটা হল ভাল কোন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের শরনাপন্ন হন এবং এই ব্যাপারে পরামর্শ করুন।হস্তমৈথুন বা অন্যান্য অবৈধ যৌন কর্মকান্ড ও চিন্তা ভাবনা থেকে দুরে থাকুন।।আশা করি সুফল পেতে বেশি দেরি হবে না।।।
একটি বিষয় মনে রাখবেন স্বপ্নদোষ হলো প্রতিটি পুরুষের একটা প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা না করলেও চলবে। প্রতিটি পুরুষ তাদের দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকে বীর্য পেয়ে থাকে এবং বীর্য থলিতে যখন মাত্রাতিরিক্ত বীর্য জমা হয় তখন বাকিটা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এই ঘটনা না ঘটলে আপনার মাথা ভারী মনে হবে এবং অন্যান্য কাজ কর্ম করতে ততটা মনোযোগী হতে পারবেন না। তাই এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি সিস্টেম। স্বপ্নদোষ যদি সপ্তাহে ১ বারের অধিক এবং মাসে ৫ বারের অধিক হতে থাকে তাহলে এটা রোগের পর্যায়ে পড়ে যাবে। তখন এর যথাযথ চিকিত্সা নিতে হবে। কিন্তু আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং রাতে গুরুপাক খাবার খেয়ে ঘুমান তাহলেও আপনার স্বপ্নদোষ হতে পারে। এক্ষেত্রে রাতেহালকা প্রকৃতির সহজে হজম হয় এই রকম খাবার গ্রহণ করতে হবে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে প্রতিদিন সকালে ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য ক্রনিক হলে হোমিও চিকিত্সা নিন, এর থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।যদি মনে হয় আপনার অধিক স্বপ্নদোষ হচ্ছে এবং তা রোগের পর্যায়ে পড়ে যাচ্ছে তাহলে ভালো একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন, কিছু দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাব