শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মায়ের মাথায় হাত রেখে কসম করা শিরক। আমাদের সমাজে অনেককেই দেখা যায় মায়ের কসম, বাবার কসম, কুরআন ছুয়ে কসম, মসজিদ ছুয়ে কসম, সন্তানের মাথায় হাত রেখে কসম, এছাড়াও অনেক ভাবে কসম করতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেনঃ ''যে বেক্তি আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্যের নামে কসম করে সে শিরক করলো।'' (হাদিসঃ তিরমিজি, আবুদাউদ, মিশকাত হা/২৯৬) যারা এই ভুলগুলো করেছেন তাদের আজকেই আগের ভুলগুলোর জন্য তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কসমের কাফফারা : কসম ভাঙ্গার জন্য কাফফারা দেওয়ার তিনটা উপায় আছে। যার সামর্থ আছে তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটাকে বেছে নিবেন। আর এই তিনটা না পারলে চতুর্থ আরেকটা আছে সেটা করতে হবে। কিন্তু তিনটার সামর্থ থাকলে তার মধ্য থেকে যেকোনো একটাকেই বেছে নিতে হবে। ১. দশজন মিসকীনকে খাবার দিতে হবে। খাবার এমন মানের দিতে হবে যা তার পরিবারের জন্য ব্যয় করে থাকেন। ২. অথবা দশজন মিসকীনকে পোশাক দিতে হবে ৩. অথবা একজন দাস মুক্ত করতে হবে ৪. কারো পক্ষে যদি উপরের তিনটা কাজ করার মতো আর্থিক সামর্থ্য না থাকে তাহলে তিনদিন রোজা রাখতে হবে। এই সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, “আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরকে বস্ত্র প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।” সুরা আল-মায়িদাহ, আয়াত ৮৯। উল্লেখ্যঃ কাফফারা টাকা দিলে হবেনা। যেটা দিয়ে কাফফারা আদায় করতে চাচ্ছেন (খাবার অথবা পোশাক) ঠিক সেটাই দিতে হবে, তার মূল্য দেওয়া জায়েজ নয়। আর বড় কোনো বিষয় ছাড়া কসম করা উচিত না। আর কথায় কথায় কসম করে কিছু বলার অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ