Call

আমার জানা মতে স্থায়ীভাবে অবাঞ্চিচ লোম দূর করার কোন পদ্ধতি নেই। তবে আপনি ওয়েক্সিং পদ্ধতিতে লোম তুলতে পারবেন যা কয়েকদিন স্থায়ী থাকে। আবার পুনরায় লোম গজায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
TarikAziz

Call

এগুলো দূর করারও রয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতি। তবে প্রায় সব পদ্ধতিতেই দূর করার পর আবার কিছু লোম গজিয়ে ওঠে। স্থায়ীভাবে দূর করা খুব সহজ নয়। পদ্ধতিগুলোর মধ্যে আছেঃ শেভিং--- অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হলো শেভিং। এটি সাময়িক। তবে এটি ভিতরের দিকে দ্রুত গজিয়ে ওঠা চুলের জন্য দায়ী বলে অনেকে মনে করেন বিশেষ করে পেলভিক অঞ্চলে বা নাভীর নীচের অংশে। প্লাকিং---প্লাকিং বা চিমটা পদ্ধতিতে লোম তোলা অনেক সময় পেইনফুল। তবে এটি আপনার জন্য একটি ভাল পদ্ধতি হতে পারে যদি আপনি অল্প লোম তুলতে চান কিংবা লোম বেছে একটু পাতলা করতে চান। বিশেষ করে ভ্রু’কে যখন নির্দিষ্ট শেইপ বা আকার দিতে চান। লোমনাশক ক্রিম--- আজকাল খুব সহজেই ডেপিলেটরি বা লোমনাশক ক্রিম প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা ও ব্যবহার করা যায়। সবগুলোই কিন্তু সব জায়গায় ব্যবহার উপযোগী নয়। তাই কেনা ও ব্যবহারের আগে অবশ্যই মোড়কের গায়ে লেখা পড়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।এধরনের ক্রিমে যেসব কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় সেগুলো লোমকুপ দুর্বল করে দেয়-নষ্ট করে দেয়। ঠিকমত বা নিয়মমত ব্যবহার না করলে কিংবা বেশি পরিমানে ব্যবহার করলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। এছাড়া যদি আপনার এলার্জি থাকে, তাহলে প্রথমে সামান্য অংশে ক্রিম লাগিয়ে দেখুন কোন রি-একশন হয় কি না। এরপর ব্যবহারের নিয়মাবলি যথাযথভাবে অনুসরন করুন। হট ওয়াক্সিং--- আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন কিংবা পেশাদার সেলুনে গিয়ে করাতে পারেন। পদ্ধতিটি একটু নোংরা আর যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। এতে কিছু লোম থেকে যেতে পারে কারন হট ওয়াক্সিংএ কিছু লোম গোড়া থেকে না উঠে ভেঙ্গে যেতে পারে। পরবর্তিতে গোড়া থেকে নতুনভাবে গজাতে পারে। এই পদ্ধতিতে সাবধান না হলে ইনফেকশনের ভয় থাকে। আবার ওয়াক্স বা মোম যদি খুব বেশি গরম হয় তাহলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। থ্রেডিং---থ্রেডিং হচ্ছে লোম তোলার প্রাচীন ভারতীয় পদ্ধতি যা কি না আজকাল অনেক সেলুনেই করে থাকে। দক্ষ বা অভিজ্ঞ লোক দিয়ে করানো হয়ে থাকে। এতে সূতা দিয়ে আবাঞ্ছিত লোম পেঁচিয়ে টেনে তোলা হয়। লেজার রশ্মি---এটি এ পর্যন্ত আলোচিত পদ্ধতিগুলোর চাইতে তুলনামূলক দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকরী পদ্ধতি। কিন্তু এটি বেশ কয়েকবার করাতে হয়। চার বা তার অধিকবারের জন্য চিকিৎসা নিতে হয়। এই পদ্ধতিতে লোমের গোড়ায় বা লোমকুপে লেজার রশ্মি ফেলা হয় যাতে লোমের গোড়াটা নষ্ট হয়ে যায় এবং নতুনভাবে গজাতে না পারে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি একটু ব্যয়বহুল। কখনো কখনো যন্ত্রণাদায়কও বটে। এটি দেহের বিভিন্ন স্থানে করা যায়। তবে তার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হোন যে যার মাধ্যমে করাচ্ছেন সেই ডাক্তার বা টেকনিশিয়ান এব্যাপারে অত্যন্ত জানাশোনা আর দক্ষ। <ধন্যবাদ>

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ