ARZU

Call

প্রশ্নঃ সুরা রুম, আয়াত ৩০,বলা হয়েছে, আল্লাহুর প্রকৃতির অনুসরণ কর, যে প্রকৃতি অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করিয়াছেন। এখন আমার প্রশ্ন মানুষ কি আল্লাহুর প্রকৃতি অনুসরণ করতে পারে না? যদি পারে তাহলে তাকে কি সাধারন মানুষ বলা যায়?

উত্তরঃ মানুষ আল্লাহ প্রকৃতি অনুসরণ করতে পারে। কিন্তু শয়তান তাদেরকে ধর্ম থেকে বিচ্যুৎ করে ফেলে। (মুসলিম 4/2197. মানুষ সবাই সাধারণ মানুষ। তবে মর্যাদার দিক দিয়ে কম বেশি হয়। অসাধারণ মানুষ বলে কিছু নেই। নবী রাসূলগণও মানুষ ছিলেন। তবে তাদের মর্যাদা বেশি। মর্যাদার কারণে কেউ অসাধারণ অতি মানব হয়ে যায় না। মানুষই থাকে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানুষ ছিলেন। হযরত আদম (আঃ) মানুষ ছিলেন।

“যারা নিজেদের দীনে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবংবিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে, প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উৎফুল্ল” সূরা রুম -32নং আয়াত।

আমার নিজস্ব মতামত। এর চেয়ে ভালো ব্যাখ্যা কেউ দিলে আমার মেনে নিতে আপত্তি নেই।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রকৃতি অনুসরন মানে - এখানে আল্লাহ্‌'র সৃষ্টির প্রক্রিয়া অবলোকন বা খেয়াল করতে বলা হয়েছে। স্রষ্টা হবার কথা বলা হয়নি। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সুরা রুম আয়াত নাম্বার ত্রিশে আল্লাহুর যে প্রকৃতির অনুসরণ করতে বলা হয়েছেঃ- একনিষ্ঠ হয়ে নিজের চেহারাকে এদিকে স্থির নিবদ্ধ করো, এরপর আবার অন্যদিকে ফিরে যেও না। জীবনের জন্য এ পথটি গ্রহণ করে নেবার পর অন্য কোন পথের দিকে দৃষ্টিও দেয়া যাবে না। অর্থাৎ এ দ্বীনকে আঁকড়ে থাকো ৷ অন্য কোন মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে নিজেদেরকে কলুষিত করো না। পরবর্তী বাক্যে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর ফিতরত বলে সেই ফিতরত বোঝানো হয়েছে, যার উপর আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তবে এখানে ফিতরত বলে কি বোঝানো হয়েছে এ সম্পর্কে তফসীরকারদের অনেক উক্তির মধ্যে দুইটি উক্তি প্ৰসিদ্ধ।  এক.. ফিতরত বলে ইসলাম বোঝানো হয়েছে। উদ্দেশ্য এই যে, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মানুষকে প্রকৃতিগতভাবে মুসলিম করেই সৃষ্টি করেছেন। যদি পরিবেশ কোন কিছু খারাপ না করে, তবে প্রতিটি জন্মগ্রহণকারী শিশু ভবিষ্যতে মুসলিমই হবে। কিন্তু অভ্যাসগতভাবেই পিতা-মাতা তাকে ইসলামবিরোধী বিষয়াদি শিক্ষা দেয়। ফলে সে ইসলামের উপর কায়েম থাকে না। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রতিটি শিশুই ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে। তারপর তার পিতামাতা তাকে ইয়াহুদী বানায় বা নাসারা বানায় অথবা মাজুসী বানায়। যেমন কোন জন্তুকে তোমরা সম্পূর্ণ দোষমুক্ত জন্ম নিতে দেখ, সেখানে তোমরা তাকে নাক কাটা অবস্থায় পাও না।  দুই.. ফিতরত বলে যোগ্যতা বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিগতভাবে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে স্রষ্টাকে চেনার ও তাঁকে মেনে চলার যোগ্যতা নিহিত রেখেছেন। এর ফলে মানুষ ইসলাম গ্ৰহণ করে যদি সে যোগ্যতাকে কাজে লাগায়।  এ আয়াতের আরো কয়েকটি অর্থ হতে পারেঃ- এক.. তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করো না। দুই.. এখানে আল্লাহর সৃষ্টি বলে আল্লাহর দ্বীনকে বুঝানো হয়েছে। তখন অর্থ হবে, তোমরা আল্লাহর এ দ্বীনকে পরিবর্তন করোনা। তিনি মানুষকে ইসলামের উপর সৃষ্টি করেছেন, তোমরা তাদেরকে অন্যান্য মানব মতবাদে দীক্ষিত করো না। তিন.. অথবা আয়াতের অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ মানুষকে নিজের বান্দায় পরিণত করেছেন। কেউ চাইলেও এ কাঠামোয় কোন পরিবর্তন সাধন করতে পারে না। মানুষ বান্দা থেকে অ-বান্দা হতে পারে না। এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইলাহ বানিয়ে নিলেও প্রকৃতপক্ষে সে মানুষের ইলাহ হতে পারে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ