পীর ধরা এবং মুরীদ হওয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয কাজ। এটি না ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে, না ছিল ছাহাবী, তাবেঈ ও তাবে তাবেঈদের যুগে। পরবর্তীকালে কিছু লোক অমুসলিমদের অনুকরণে নিজেরা পীর সেজে মূর্খ লোকদের মুরীদ বানিয়ে বিনা পুঁজির ব্যবসা করছে। যদিও তাতে কোন মূলধন বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না এবং এই বিশাল ব্যবসায় কোন আয়করও দিতে হয় না। মহান আল্লাহ তার ‘অসীলা’ অর্থাৎ নৈকট্য অন্বেষণ করতে বলেছেন (মায়েদাহ ৩৫)। এর অর্থ ‘পীর’ বা কোন মাধ্যম ধরা নয়। বরং এর অর্থ ‘তাঁর আনুগত্য ও সন্তুষ্টির মাধ্যমে’ তাঁর নৈকট্য সন্ধান করা (ইবনে কাছীর, উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পীর ধরতে বলেননি। বরং তাঁর এবং তাঁর খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত অাঁকড়ে ধরতে বলেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৬৫)।
আপনি যদি সুস্থ্য মস্তিস্কের প্রাপ্ত বয়স্ক সচেতন মানুষ হন তাহলে কোরআন-হাদিসের দেখানো পথ অনুসারে চল্লেই যথেষ্ট আলাদাভাবে কোন স্বঘোষিত মহাজ্ঞানী পীরকে অনুস্বরন করার নুন্যতম কোন প্রয়োজন নেই। আর আমাদের চারিপাশে পীর নামধারী যে সকল স্বঘোষিত মহান ব্যাক্তিদের দেখি তাদের ও তাদের পরিবারের জীবন-যাপন অনেকটা রাজকিয় কায়দায়, তারা সবাই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক কিন্তু তাদের আয়ের উৎসগুলি হচ্ছে অসংখ্য অন্ধ ভক্তের দানের টাকা আর বিভিন্ন স্থানে সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখল করে ব্যাবসা করা।