Call

কোন মুসলমানের জন্য মুশরিক তথা হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করা জায়েয নাই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। (সূরা বাকার: ২২১) আলোচ্য আয়াতে মুশরিক বলতে যারা বিভিন্ন প্রকারে পূজা করে থাকে, যেমর মূর্তিপূজা, দেবতা পূজা ইত্যাদি। অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, সাম্যবাদী বা কমিউনিষ্ট একথায় যাদের কোন আসমানী গ্রন্থ নাই। ইমাম ইবনে জারীর স্বীয় তাফসীর আত তাবারী ৪/৩৬৩ খণ্ডে কাতাদা হতে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন; আলোচ্য আয়াতে মুশরিকাত বলতে ঐসব মুশরিক যাদের নিকট কোন কিতাব অবতীর্ণ হয়নি। মহান আল্লাহ আহলে কিতাবের মহিলাদেরকে তাদেরকে পৃথক করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (সূরা মায়েদা: ৫) তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। (সূরা মুমতাহিনা : ১০) এই আয়াতেও কাফের নারীদের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। হযরত উমর (রা.) এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর দুইজন মুশরিকা স্ত্রীকে তালাক দিয়েদেন। এই তো গেলে মুশরিক বা পূজারী নারীদের বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনা। যে তাদেরকে বিয়ে করা হারাম। পক্ষান্তরে কিতাবধারী খ্রীষ্টান বা ইহুদী নারীদের বিয়ে করা বৈধ এই শর্তে যে, সতী-সাধী হতে হবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের সতী- সাধ্বী নারীকে বিয়ে করা জায়েজ। সতী-সাধ্বী নারী বলতে এমন নারীকে বুঝায় যে, ব্যভিচারের লিপ্ত হয়নি। উপরের আলোচনা হতে আমরা যা জানতে পারলাম: ১. মুশরিকা নারীকে বিয়ে করা জায়েয নাই। ২. কিতাবধারী ইহুদী ও খ্রীষ্টান নারীকে বিয়ে করা বৈধ। ৩. কিতাবধারী নারীগণ ব্যভিচার হতে পুতপবিত্র হতে হবে। এবার প্রশ্নকারী আপনি চিন্তা করুন, যে মুসলমান লোকটি কোন শ্রেণীর নারীকে বিয়ে করেছে। আর হ্যাঁ বিয়ের উদ্দেশ্য থাকতে হবে যে, ক্রমশঃ কিতাবধারী মহিলাকে ইসলামের দাওয়াত দিবো। আর সন্তান-সন্তনি বাবার ধর্মের অনুসারী করে গড়ে তুলতে হবে। যদি স্ত্রী এমন শর্ত দেয় যে, সন্তান আমার ধর্মের অনুসরণ করবে, সেই ক্ষেত্রে এমন নারীকে বিয়ে না করাই উত্তম। মনে রাখতে হবে যে, কোন মুসলিম নারীর জন্য খ্রীষ্টান বা ইহুদী পুরুষকে বিয়ে করা জায়েয নাই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মেয়েটি যদি মুসলমান হয়. তাহলে বিয়ে করা যাবে. কোন অসুবিদা নেই, সন্তান রাসূল (সঃ) বলেছেন সকল মানুষ ইসলামের উপর জন্ম গ্রহন করে. এখন মা বাবা সন্তানকে. মুসলিম বানায় হিন্দু বানায়. বোদ্ধ বানায়. ইত্যাদি। সন্তান অন্য ধম পালন করলে দায়ী থাকবে মা বাবা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ