(রাঃ) বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য দু‘আ করা
হয়। সাথে সাথে তাঁর প্রতি সম্মানও প্রদর্শন
করা হয়। এ ধরনের বাক্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে
আমাদের সালফে সালেহীনদের থেকে
নির্দিষ্ট একটি নিয়মও চলে আসছে। আর
তাহলো, আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মাদ
সা. এর নামের শেষে ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম’ বলা। অন্যান্য নবী-রাসূলগণ ও
ফিরিশতাদের ক্ষেত্রে শুধু ‘আলাইহিস
সালাম’ বলা। সাহাবায়ে কিরাম এর ক্ষেত্রে
‘রাযিয়াল্লাহু আনহু’ বলা। আলিম উলামা, পীর
মাশায়িখদের যারা ইন্তিকাল করেছেন,
তাদের বেলায় ‘রাহমাতুল্লাহি আলাইহি’
বলা। কাজেই এর ব্যতিক্রম করা মাকরূহ।
কদাচিত যদি হয়ে যায়, তাহলে গুনাহ হবে না।
তবে এ ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকা জরুরী।-
ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫/৩১৫, আল-মুহীতুল
বুরহানী: ৬/৪০, ফাতাওয়া খানিয়া: ৪/৩৭৭।
রাযিয়াল্লাহু আনহু বাক্যটির অর্থ হলো, আল্লাহ তাঁর উপর সন্তষ্ট হয়েছেন। এ দৃষ্টিকোণ থেকে একমাত্র সাহাবীদের নামের ক্ষেত্রেই এ বাক্যটি ব্যবহার করা যাবে; অন্য কারো নামের ক্ষেত্রে নয়। কারণ সাহাবীদের উপর আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির ব্যাপারটি কুরআন-হাদীের সুস্পষ্ট বক্তব্য দ্বারা প্রমাণিত। অন্যদের ক্ষেত্রে প্রমাণিত নয়। তবে প্রার্থনা অর্থ বিবেচনায় ধর্মীয় অঙ্গনের বড় বড় ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাক্যটি ব্যবহারের অবকাশ রয়েছে। মুহাদ্দিসীনে কেরামের রচনায় সাহবী ব্যতীত অন্যান্য বড় বড় ব্যক্তিদের নামের ক্ষেত্রে এ বাক্যটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ইমাম নববী রহ. আলআযকার গ্রন্থে এ বিষয়িটি স্পষ্ট করেই বলেছেন। প্রার্থনা উদ্দেশ্য হলে বাক্যটির অর্থ হবে আল্লাহ তা্আলা তাঁর উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান/যাক।