কুরআন-হাদীছের আলোকে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, চার মাজহাবের ইমামগণ ও হক্কানী উলামায়ে কেরাম ছবি তোলাকে নাজায়েয, হারাম ও কবীরাহ গুনাহ বলেছেন| বিশেষ করে হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে কঠোর মনোভাব পোষণ করেন| উপমহাদেশের বড় বড় মাদ্রাসা ও ফতোয়া বিভাগের মুফতীবৃন্দ ছবি তোলাকে নাজায়েয বলেই ফতোয়া দিয়েছেন| আমাদের আকাবিরগণের মতও এটাই| ✔ তথ্যসূত্রঃ মাসিক মুহীনুল ইসলাম, মে/২০০৮

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামে যাবতীয় প্রকার ছবি তোলা,  মূর্তি বানানো নিষেধ করা হয়েছে বিশেষ করে প্রাণির। কারন পরকালে এসব ছবি বা মূর্তি তার  সৃষ্টিকর্তার কাছে জীবন চাইবে এবং পিছনে  পিছনে ঘুরে বেড়াবে | যখন তা পারবে না  তখন ছবি, প্রতিকৃতি, বা মূর্তি  এবং তার  সৃষ্টিকর্তা সহ সেগুলোকে জাহান্নামে নিক্ষেপ  করা হবে | তাই সাবধান !  তবে সরকারী ভাবে যেহেতু ছবি ছাড়া কোন  কাজ করা যাচ্ছে না তাই সেই ব্যাপারটা  সরকারের উপর বর্তাবে, অনেক আলেম  ওলামা তাই মন্তব্য করেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, পৌত্তলিকতার সূত্রপাত মূর্তি ও ফটোর মাধ্যমে ঘটেছে। এ কারণেই ইসলাম মূর্তি ও ফটোকে সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করেছে। যারা ফটো তোলে ও তোলায় তাদেরকে মালউন (অভিশপ্ত) এবং আল্লাহপাকের নিকট সর্বনিকৃষ্ট বলে মন্তব্য করা হয়েছে। বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদীসে হযরত আয়শা রা. বলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু-শয্যায় শায়িতাবস্থায় তাঁর স্ত্রী উম্মে সালমা ও উম্মে হাবীবা মারিয়া নামক গির্জায় অংকিত ফটোর কথা বর্ণনা করলে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শীর মুবারক উঁচু করে বলেন- “খৃষ্টান-ইহুদীরা তাদের নেকলোক মৃত্যুবরণ করলে কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করে তাতে ফটো অংকিত করে। এরা আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট।” অন্য এক হাদীসে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- “যারা ফটো তোলে, তারা কিয়ামতের দিন সর্বাধিক কঠোর আযাবে আক্রান্ত হবে।” এ সমস্ত হাদীসের কঠোর বাণীর কারণে মুসলিম উম্মাহর ফকীহ ও মুফতীগণ সর্বসম্মতভাবে সর্বপ্রকার ফটোকে হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। বক্ষমাণ পুস্তিকাটি মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান সাহেবের লিখিত শরীয়তের মজবূত দলীল-সমৃদ্ধ একটি অভূতপূর্ব গবেষণা নিবন্ধ। এতে কুরআন-হাদীস ও শরীয়তের অন্যান্য দলিলের আলোকে সব ধরনের ও ছবি তথা প্রাণীর স্থির ছবি, ভিডিও ছবি, স্থির ও ভিডিও কার্টুন ছবি ইত্যাদির সর্বদিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইসলামী ব্যক্তিত্বদের চিন্তা ও উদ্ধৃতিও এতে সন্নিবেশিত হয়েছে। হযরত মুহিউস সুন্নাহ দা. বা. কেবল এদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষস্থানীয় একজন আলেমই নন; ইলমী গভীরতা, আমলী মাধুর্য আর যুগ সমস্যা সম্পর্কে সূক্ষ্মদৃষ্টি তার ব্যক্তিত্বের অনন্য বৈশিষ্ট্য। আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে তিনি হযরত হাকীমুল উম্মত থানভী রহ.-এর সর্বশেষ খলীফা মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ. এর অতি নির্ভরযোগ্য স্নেহভাজন খলীফা। তার দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞা রচনাটিকে সমৃদ্ধ ও উচ্চ মানে পৌছে দিয়েছে। আশা করি মানুষের বিভ্রান্তি ও চিন্তার অস্থিরতা দূরীকরণে এ পুস্তিকাটি বিরাট সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। -প্রকাশক সূচীপত্র ফটো সম্পর্কে রাসূল সা. এর বাণী ফটো সম্পর্কে মিশরী আলেমদের মতামত দেওবন্দের ওলামাদের মতামত আবুল কালাম আজাদের অভিমত সর্বসাধারণের প্রতি নমনীয়তার বিধান উমুমে বালওয়ার অর্থ উপকার এবং অপকার উপকার হাসিলের শর্ত ফটো চিত্রের অপকারিতা প্রয়োজনের মাপকাঠি প্রয়োজনের প্রকারভেদ প্রয়োজনীয়তার ব্যাখ্যা ফটোর প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা ফটোর ধর্মীয় ক্ষতি ফটোর চারিত্রিক প্রতিক্রিয়া কার্টুন ছবির হুকুম বিধি-নিষেধের মানদণ্ড কার্টুন ছবির ক্ষতির দিকসমূহ ইল্লাত এবং মুসলিহাত স্বভাবের গরমিল খোদায়ী সাহায্যের পূর্বশর্ত দ্বীন-ধর্মের প্রতি অবহেলার পরিণাম গোনাহের মজলিসে হাজিরী মসজিদে বিবাহ-শাদী ঈদগাহের পবিত্রতা জানাযার নামায ফটোর প্রচার-প্রসার ওলামাদের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী দ্বীনের বিকৃতির পথ রাজনৈতিক নেতার প্রতি সফলতার পথ ফটো সম্পর্কে সতর্কবাণী পূর্বকথা ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন-বিধান। কুফর,নেফাক, শিরক, বেদআত, মুনাফেকী, গুমরাহী, মুনকারাত ইত্যাদি গোনাহ ও অন্যায়কে ইসলাম সামান্যতম প্রশ্রয় দেয় না। একথা স্বতঃসিদ্ধ যে, একমাত্র ইসলামের অনুশীলনের মাধ্যমেই মানুষ ইহকাল ও পরকালের শান্তি এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا ۚ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ “এই পরকাল আমি তাদের জন্য নির্ধারিত করি, যারা দুনিয়ার বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে ও অনর্থ সৃষ্টি করতে চায় না।” ( সূরা কাসাস ঃ ৮৩) ইসলাম মানুষের আমল-আখলাকের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। একারণেই পাপাচার, অপরাধ প্রবণতা, ফিৎনা-ফাসাদ ইত্যাদি ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। শিরক ইসলামের দৃষ্টিতে সর্বাপেক্ষা গুরুতর ও অমার্জনীয় অপরাধ। আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَىٰ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُمْ بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ ۚ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُمْ بِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا “নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তার সাথে কাউকে শরীক করে। এ ছাড়া যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।” (সূরা নিসা : ৫৮) ফটো সম্পর্কে রাসূল সা. এর বাণী ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, পৌত্তলিকতার সূত্রপাত মূর্তি ও ফটোর মাধ্যমে ঘটেছে। এ কারণেই ইসলাম মূর্তি ও ফটোকে সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করেছে। যারা ফটো তোলে ও তোলায় তাদেরকে মালউন (অভিশপ্ত) এবং আল্লাহপাকের নিকট সর্বনিকৃষ্ট বলে মন্তব্য করা হয়েছে। বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদীসে হযরত আয়শা রা. বলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু-শয্যায় শায়িতাবস্থায় তাঁর স্ত্রী উম্মে সালমা ও উম্মে হাবীবা রা. মারিয়া নামক গির্জায় অংকিত ফটোর কথা বর্ণনা করলে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শীর মুবারক উঁচু করে বলেন- اولئك إذا مات فيهم الرجل الصالح “খৃষ্টান-ইহুদীরা তাদের নেকলোক মৃত্যুবরণ করলে কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করে তাতে ফটো অংকিত করে। এরা আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট।” অন্য এক হাদীসে হযরত আয়শা রা. বলেন, হরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে ছিলেন, এই সময়ে আমি আমার দরজায় ফটোযুক্ত একটি পর্দা টানাই। তিনি সফর থেকে ফিরে রুমে লটকানো পর্দা দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং বলেন হে আয়শা! তোমার জানা থাকা উচিত যে, কিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা অধিক আযাবে আক্রান্ত হবে তারা যারা আল্লাহর সৃষ্টজীবের ফটো অংকন করে নিজের প্রভুত্ব প্রকাশ করে। (বুখারী, মুসলিম) মুসলিম ও মুসনাদে আহমাদের হাদীসে বলা হয়েছে- إن اشد الناس عذابا يوم القيامة المصورون “যারা ফটো তোলে, তারা কিয়ামতের দিন সর্বাধিক কঠোর আযাবে আক্রান্ত হবে।” এ সমস্ত হাদীসের কঠোর বাণীর কারণে মুসলিম উম্মাহর ফকীহ ও মুফতীগণ সর্বসম্মতভাবে সর্বপ্রকার ফটোকে হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। সূত্র :http://alor-nishan.com/viewtopic.php?id=1746

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ