এটা কবীরাহ গুনাহ, শাস্তি হচ্ছে জাহান্নাম, ,,, এব্যাপারে হাদিসের ভাষা হচ্ছে, , باب إِثْمِ مَنْ كَذَبَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَنْصُورٌ، قَالَ سَمِعْتُ رِبْعِيَّ بْنَ حِرَاشٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَكْذِبُوا عَلَىَّ، فَإِنَّهُ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ فَلْيَلِجِ النَّارَ ". নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করার গুনাহ আলী ইবনুল জা‘দ (রহঃ)...... ‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার উপর মিথ্যা আরোপ করো না। কারণ আমার উপর যে মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। বুখারী হা, নং : ১০৭।
ইবন সা’দ ছিলেন আবদুল্লাহ একজন ওহী লেখক, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি মুরতাদ হয়ে যান এবং দাবি করেন যে, তিনি লেখার সময় ওহীর সাথে তার ইচ্ছামত কথা জুড়ে দিতেন। এটি ছিল রাসূল(সাঃ) এর প্রতি মিথ্যা আরোপ এবং এক ধরনের অবমাননা। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি আবার মুসলিম হয়ে যান এবং অত্যন্ত ভালো মুসলিম ছিলেন, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন। [আল-সারিম, ১১৫] এই হাদিসটির সঠিক ব্যাখ্যা হলো- রাসূল(সাঃ) এর প্রতি কোন অবমাননার ক্ষেত্রে দু’ধরনের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়; আল্লাহর অধিকার এবং বান্দার অধিকার। আল্লাহর অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সুস্পষ্ট; কারণ এক্ষেত্রে তাঁর আয়াত, তাঁর কিতাব এবং তাঁর নাযিলকৃত ধর্মের উপর নিন্দা আরোপ করা হচ্ছে। আর বান্দার অধিকারের বিষয়টিও সুস্পষ্ট; কারণ রাসূল(সাঃ) কে অপমান করা, তাঁর উপর মিথ্যা আরোপ করার শামিল। যেক্ষেত্রে আল্লাহর হক্ব এবং বান্দার হক্ব উভয়ই জড়িত থাকে, সেক্ষেত্রে অপরাধী ব্যক্তি তওবা করলেই বান্দার হক্ব লঙ্ঘনের শাস্তি মাফ হয়ে যায় না। উদাহরণস্বরূপ, ডাকাতি করার শাস্তির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, যদি একজন দস্যু কোন মানুষকে খুন করে, তবে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু যদি সে দস্যু ধরা পড়ার আগেই তওবা করে, তাহলে আল্লাহর যে হক্ব অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড আর কার্যকরী নয়। কিন্তু অন্যান্য মানুষের যে হক্ব অর্থাৎ ক্বিসাসের হুকুম তখনও কার্যকরী থাকে। এক্ষেত্রেও ঠিক একই ধরনের হুকুম প্রযোজ্য। যদি কোন ব্যক্তি রাসূল(সাঃ)-কে অপমান করার পর তওবা করে, তবে আল্লাহর হক্ব লঙ্ঘনের বিষয়টি আর উপস্থিত নয় কিন্তু রাসূল (সাঃ) এর হক্ব লঙ্ঘনের বিষয়টি তার তওবা করার পরও নিষ্পত্তি হয়ে যায়নি। যদি কেউ বলে, “আমরা কি তাকে ক্ষমা করে দিতে পারি না? কারণ রাসূল(সাঃ) তাঁর জীবদ্দশায় তো অনেককে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন”। এই কথার জবাব হলো- রাসূল(সাঃ) তাঁর উদ্দেশ্যে কটূক্তিকারীদের কাউকে কখনও ক্ষমা করে দিয়েছেন আবার কখনও করেননি। কিন্তু এখন তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর ক্ষমা করার বিষয়টি আর জেনে নেয়া সম্ভব নয় এবং অন্যদিকে এই মৃত্যুদণ্ড আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনদের হক্ব হিসেবে বিদ্যমান। তাই এই শাস্তি অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। [আল-সারিম আল-মাসলুল, ২/৪৩৮]
রাসূলের উপর মিথ্যারোপকারীর জন্য জাহান্নাম অবধারিত। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমসহ একাধিক হাদীসের বইয়ে বিষয়টি এসেছে- عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ لِلزُّبَيْرِ إِنِّي لَا أَسْمَعُكَ تُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا يُحَدِّثُ فُلَانٌ وَفُلَانٌ قَالَ أَمَا إِنِّي لَمْ أُفَارِقْهُ وَلَكِنْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ সহীহ বুখারী, হাদীস নং 107 সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 3 সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং 2659 সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং3651 সুনানে ইবনে মাযা, হাদীস নং30