আসসালামু আলাইকুম । আমআর ইদানিং কিছু সমস্যা আমি ফেস করছি যা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম , কিছুদিন যাবত আমি ভালভাবেই নামাজ আদায় করলাম , সবকিছুই ঠিক ছিল , কিন্তু হটাত আমি কিছু সমস্যা বুঝতে পারছি , সমস্যা গুল নিম্ন্রুপঃ ১। যেমন নামাজ পড়তে গেলে আমার ভিতর থেকে কে যেন বলে , নামাজ পড়ে কি করবি , কোন ধর্ম সঠিক তুই জানিস ? ২. রাসুল সাঃ ছিল কি ছিল না তুই জানিস , তাহ্লে নামাজ পরবি কেন ? ৩. যখন আমি নামাজ পড়তে থাকি তখন খারাপ খারাপ কথা আমার মনে ভাসতে থাকে , যা খুবি বিরক্তকর । ৪. খালি আল্লাহর তায়ালার বিরুধধে খারাপ কথা মনে আসে , যা আমি কল্পনা করতে চায়না তাও চলে আসে । ৫. এত খারাপ কথা মাথায় ঘুইরে যা ভাবিনা তাই খালি বিরক্ত করে । ৬. ইসলামের বিরুধধে খালি কথা ঘুরে ।, আমি আল্লাহর যিকির করি তখনও এসব খারাপ কথা মাথায় ভাসতে থাকে ।  এখন আমার প্রশ্ন হল ......।। আমার মাথায় যে এই খারাপ গুলা ঘুর ঘুর করে এতে কি আমার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে ? এবং আমি যে এইখানে আপনাদের কাছে এই গুলা তুলে ধরেছি , বিস্তারিত আলোচনা করেছি এতে কি আমার গুনাহ হবে ? এই সমস্যার সমাধান দিলে আপনাদের জন্য প্রান খুলে দোয়া করব ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ওয়ালাইকুমুস আসসালাম। আপনার যা অবস্থা তাতে এই ভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুত শির্ক করে ফেলবেন আপনি। শয়তান থেকে বাঁচতে সব সময় আল্লাহতালারর কাছে শয়তান থেকে বেঁচে থাকার প্রার্থনা করুন। সব সময় আল্লাহতালারর জিকির করুন। কোন সময় একা থাকবেন না। রুমে একা থাকবেন না। যখন অবসর পাবেন তখন ওয়ায শুনুন। নয়তো ঈমাম সাহেব এর সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলুন। হাদিস এর বই পড়ুন। সর্বোপরি আল্লাহতালার উপর ভরসা করুন এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহতালারর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

শয়তান থেকে আত্মরক্ষার দশটি উপায়ঃ ১) আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়া; ২) সুরা ফালাক ও সুরা নাস তেলাওয়াত করা; ৩) আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করা; ৪) সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা; ৫) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা; ৬) সুরা গাফির এর প্রথম তিন আয়াত তেলাওয়াত করা; ৭) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু, লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইইন কাদীর” একশত বার পড়া যার অর্থ – আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ৮) প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহকে স্মরণ করা ৯) ভাল ভাবে ওজু করা এবং সালাত আদায় করা; ১০) অনর্থক এদিক সেদিক খেয়াল করা, অসার কথা বলা, অতিরিক্ত খাওয়া ও অহেতুক লোকজনের সাথে মেলামেশা থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদেরকে সঠিকভাবে আমল কায়েমে করার তৌফিক দান করেন। 'আমিন'

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ