Facebook আমার কাছে নেসার মত লাগে,, এমন কি আমি কখন ১ঘন্টার জন্যও fb থেকে বের হই না, সারা দিন fb তে বসে থাকি,, এর জন্য আমার লেখাপড়া প্র‍ায় শেষের দিকে... এখন কি করব
Share with your friends
Call

ফেসবুক অ্যাডিকশন থেকে মুক্ত হতে হলে প্রথমেই স্বীকার করে নিন আপনি একজন ফেসবুক অ্যাডিক্ট। সমস্যা হল, ফেসবুক অ্যাডিক্টরা তাদের এই অ্যাডিকশনের কথা স্বীকার করতে চায় না, যেমনটা চায় না ড্রাগ অ্যাডিক্টরা। ফেসবুক অ্যাডিক্টদের যে সব আচরণের কথা এখানে উল্লেখ করছি, তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে সেসবের মনগড়া ব্যাখ্যা দিতে চায়। নিজে যে ফেসবুক অ্যাডিক্ট না, সাধারণ একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী সেটা প্রমাণ করতে উঠে-পড়ে লাগে। কিন্তু এখানে যে সব ফেসবুক অ্যাডিকশনের লক্ষণ উঠে আসছে সেসব যদি আপনার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবে নিজেকে ফেসবুক অ্যাডিক্টেড বলে স্বীকার করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। রোগমুক্ত হতে হলে আগে রোগটা চিহ্নিত করে নিতে হয়, তারপর চিকিৎসা। যদি মনে করেন আপনি এখনও ফেসবুক অ্যাডিকশনের শিকার হননি তবে এই অভাজনের পরামর্শগুলো আপনাকে নিরাপদ ফেসবুক ব্যবহারে সহায়তা করবে। ফেসবুক অ্যাডিকশনের লক্ষণ ও উত্তরণের উপায় ছাড়াও ফেসবুকে কি করা উচিত ও কি করা উচিত না সে বিষয়েও আলোকপাত করা হল br /> ১। ফেসবুককে আপনার জীবনের সমস্ত ধ্যানজ্ঞান মনে করবেন না। ফেসবুকের সাফল্য আপনার জীবনের প্রকৃত সাফল্য নয়। ফেসবুকের চেয়েও জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা আপনি এখন হয়তো অবহেলা করছেন, সেসব বিষয়ে নজর দিন। মনে রাখবেন, আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ফেসবুকের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২। ফেসবুকের অতি ব্যবহার হিংসা, বিদ্বেষ, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, ইত্যাদি ক্ষতিকারক মানসিক অনুভূতি সৃষ্টি করে। এমনকি আপনাকে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত করতে পারে, প্রকৃত কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। অতএব, এসব থেকে বাঁচতে হলে এখনই সাবধান হতে হবে। নতুবা পরে শুধু আফসোসই করতে হবে। ৩। যখন-তখন পিসিতে বিশেষত মোবাইলে ফেসবুক চেকিং আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করবে। আপনাকে বাস্তব জীবনের প্রতি উদাসীন ও অমনোযোগী করে তুলবে। অন্য কিছুতে সহজে মন বসাতে পারবেন না। ফেসবুক বন্ধুদের সাথে কানেক্টেড থাকতে গিয়ে বাস্তব সম্পর্কগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। তাই চিন্তা করে দেখুন যা করছেন তা কতটুকু ভালো করছেন। ৪। আপনি আসলে যা না ফেসবুকে তা সাজার ভাণ করবে না। বিভিন্ন ভাণ ধরে আপনি হয়তো আপাতত মজা পাচ্ছেন। কিন্তু এই ভাণ ধরে থাকার ফলে আপনাকে পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার রোগে ধরবে। কিংবা ইতিমধ্যে হয়তো আপনি দ্বৈত ব্যক্তিত্বজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। ফেসবুকে নিজেকে অতি আকর্ষণীয়, বুদ্ধিমান, এন্টারটেইনিং, মহাজ্ঞানী হিসেবে প্রমাণ করতে গিয়ে আপনি বিভিন্ন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন, যা আপনার ব্যক্তিত্বকে সঙ্কটে ফেলছে। ৫। ফেসবুকে যারা ঘনঘন ঢু মারে তারা একটা ঘোরের মধ্যে থাকে। ঘনঘন ফেসবুকে ঢু মারবেন না। বারবার নোটিফিকেশন চেক করবেন না। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করুন। তা না হলে আপনার মানসিক ধৈর্য ও স্থিতি হ্রাস পাবে। দিনে এক ঘণ্টার বেশি সময় ফেসবুকে ব্যয় না করাটা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। ৬। প্রতিদিন একবার অবধারিতভাবে বা একদিনে অনেক বার স্ট্যাটাস আপডেট করতেই হবে তা না হলে অনলাইনে আপনার অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে- এমন অস্বাস্থ্যকর সংকীর্ণ চিন্তা এক্ষুণি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন। লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার যে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি মানুষের আছে সেটা লাগাম ছাড়া হতে দিবেন না। নয়তো এক সময় আবিষ্কার করবেন একা থাকার যে স্বাভাবিক ক্ষমতা আছে সেটা হারিয়ে ফেলছেন। নির্জনতা আপনার কাছে নিদারুণ অসহ্য লাগবে। ৭। ফেসবুকে মিথ্যা বা অসত্য বা বানোয়াট বা অর্ধসত্য বা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কথা বলার চর্চাটা বেশি হয়। নিজেকে জাহির করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এসব হয়তো আপনাকে অন্যের কাছে তথাকথিত জনপ্রিয় করছে, কিন্তু আসলে আপনি নিজের কাছে নিজেই ছোট হচ্ছেন। নিজের প্রতি সৎ থাকুন। আত্মসম্মান বজায় রাখুন। ৮। এমন কোন ছবিতে কাউকে ট্যাগ করবেন না, যে ছবিটি তার নয়। অযথা লোকজনকে ট্যাগ করা বন্ধ করুন

Talk Doctor Online in Bissoy App