শরিয়তের দৃষ্টিতে দাঁড়ি না রাখা আমার্জনীয় অপরাধ। আল্লাহ্পাকের উপর পূর্ণ আস্থা ও আল্লাহ্পাকের ধমক সম্পর্কে পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করলে, সব মুসলমানের পক্ষেই দাঁড়ি রাখা সম্ভব। যার দিলে আল্লাহ সোবহানাতা’আলার ভয় বিদ্যমান, একমাত্র সেই ব্যক্তি দাঁড়ি রাখতে সক্ষম। যাদের অন্তরে মানুষের ভয় বিদ্যমান, তারা কখনো দাঁড়ি রাখতে পারে না। এ ধরণের লোক মুখে মুখে যত শক্তিই দেখাক, আসলে সে মানুষের ভয়ে প্রচন্ড ভীতু। দাঁড়ি রাখলে অমুকে কি বলবে বা মনে করবে অথবা ভাবীদের আসর থেকে বঞ্চিত হবার ভয়, কিংবা চাকুরি চলে যাবার ভয় - সবসময় তাকে ঘিরে রাখে। পরিপূর্ণ ইসলামিক জ্ঞানের অভাবে - নিজেকে দেখতে কেমন লাগবে অথবা দাঁড়ি রাখলে অন্যে কি মনে করবে ইত্যাদি বহু ধরনের শয়তানের ধোকায় মোহাবিষ্ট হয়ে অনেক মুসলমান ভাইয়েরা ওয়াজিব থেকে বঞ্চিত হয়ে চব্বিশ ঘন্টা গুনাহে জর্জরিত হচ্ছে। এটাই একমাত্র গুনাহ, যা নাকি বান্দার খাতায় রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা লেখা হচ্ছে।
দেখেন ভাই দাঁড়ি না রাখা কবিরা গুনা আর রাখা সুন্নাত। নবির সুন্নাত। এই সুন্নাতের অবমানোনা করা উচিত নয়। দাঁড়ি না রেখে নামাজ পরলে আপনার নামাজ পরাটা হবে কিন্তু আল্লাহ দরবারে কবুল হবে না। হাদিসে আসছে যে দাঁড়ি কাটে বা রাখে না। তার 24 টা ঘুন্টা গুনা হতে থাকে। যেমন: নামাযের সময় ঘুমের সময় হজ করার সময় ইত্যাদি। অতএব বলা যাই দাঁড়ি না রাখা বড়ই ক্ষতির কাজ। দাঁড়ি রাখতেই হবে। যে ব্যাক্তির মুখে দাঁড়ি থাকবে না তাকে রাসুল শাফায়াত করবে না। আর রাসুলের সাফায়াত ছারা কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না।