ছেলেদের স্বর্ণ - রুপা কোনটা পড়া যায়েজ ও কি পরিমান ? ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আমার জানামতে রূপা পরা যায় তবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেকের মতে স্বর্ণ একে বারি এ যায়েজ না ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, পুরুষের জন্য সোনার আংটি ও রেশমজাত কাপড় ব্যবহার করা হারাম।

হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তির আঙুলে সোনার আংটি দেখে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আগুনের অঙ্গার চায় সে যেন নিজ হাতে সোনার আংটি পরিধান করে।

তবে রুপা এর বিপরীত, রুপার দ্বারা পুরুষদের জন্য শুধু আংটি বানানোর বৈধতা আছে। হাদিসে পুরুষের জন্য রুপার আংটি পরার অনুমতি দিলেও তা ততটা গুরুত্ব বহন করে না।

পুরুষদের জন্য আংটির মধ্যে কেবলমাত্র রূপার আংটি ব্যবহার করা জায়েয আছে। তবে তা এই শর্তে যে, রূপার পরিমাণে এক মিসকালের চেয়ে কম অর্থাৎ সাড়ে চার মাশার চেয়ে কম হতে হবে। গ্রামের হিসাবে এক মিসকালের পরিমাণ হল ৪.৩৭৪ গ্রাম। (ফাতাওয়া কাযী খানঃ ৩/৪১৩)।

আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদা (রাহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। বুরাইদা (রাঃ) বলেছেন, এক ব্যক্তি লোহার আংটি পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এলে তিনি বলেনঃ তোমার কাছ থেকে জাহান্নামবাসীদের অলংকার ফেলে দাও। সে ফিরে গিয়ে আবার পিতলের আংটি পরে তার নিকটে এলে তিনি বললেনঃ কি ব্যাপার! আমি তোমার হতে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি। এবার সে ফিরে গিয়ে সোনার আংটি পরে তার নিকটে এলে তিনি বললেনঃ কি ব্যাপার! আমি তোমাকে জান্নাতীদের অলংকার পরা দেখতে পাচ্ছি? তখন সে বলল, আমি কিসের আংটি বানাব? তিনি বললেনঃ এক মিসকালের (সাড়ে চার মাসা) কম রূপা দিয়ে আংটি বানাও।

(সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৭৮৫, মিশকাতঃ ৪৩৯৬, আদাবু যিফাফঃ ১২৮ হাদিসের মানঃ যঈফ। কিন্তু আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব।)।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

পুরুষের জন্য স্বর্ণ হারাম কিন্তু নারীর জন্য নয়। কেননা আলী ইবনু আবুতালিব রাঃ. বলেন, আমাকে রাসূল (সাঃ) স্বর্ণের আংটি পরতে, রেশমী পোশাক পরতে, রুকু ও সিজদায় কুরআনের আয়াত পরতে এবং হলুদ রং এর পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে তিরমিযী, হা- ১৩/১৭৩৭)

এর কারণ হচ্ছে মানুষের সৌন্দর্যের জন্য স্বর্ণ হচ্ছে সর্বাধিক মূল্যবান বস্তু। বস্তুটি সৌন্দর্য ও অলংকার হিসেবে ব্যবহার করার জন্যে। আর এটি পুরুষদের দরকার নেই। অর্থাৎ পুরুষ এমন মানুষ নয় যে, তাকে অন্যের সাহায্য নিয়ে পরিপূর্ণ হতে হবে বরং তার পুরুষত্বের কারণে নিজেই পরিপূর্ণ একজন মানুষ। তাছাড়া নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য পুরুষের সৌন্দর্য্য অবলোকন করারও দরকার নেই। কিন্তু নারী এর বিপরীত। নারী অপূর্ণ, তার সৌন্দর্যকে পূর্ণতা দান করা দরকার। এ কারণে সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার প্রয়োজন দেখা যায়। যাতে করে তার এই সৌন্দর্য অন্য মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য নয় বরং স্বামী স্ত্রীর মাঝে সদ্ভাব সৃষ্টি করার জন্য।

আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা নারীর জন্য স্বর্ণ দ্বারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হালাল করেছেন। আর পুরুষের জন্য স্বর্ণ হারাম করেছেন। আল্লাহ তাআলা নারীর প্রকৃতির বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, নারী অলংকারে মণ্ডিত হয়ে লালিত-পালিত হয় এবং তর্ক-বির্তককালে স্পষ্ট বক্তব্যে অসমর্থিত। (সূরা যুখরুফ- ১৮)

আর এভাবেই শরীয়তে পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার না করার রহস্য সুস্পষ্ট হয়ে গেল। শরীয়তের সীমা রেখার মধ্যে পুরুষের জন্য রৌপ্য ব্যবহার বৈধ্য রয়েছে। সাহাবী আনাস রাঃ. বলেন, রাসূল (সা.) এর আংটি ছিল রুপার এবং তাতে লাল রংয়ের পাথর বসানো ছিল। (সুনানে তিরমিযী, হা- ১৪/১৭৩৯)

যে সমস্ত পুরুষ স্বর্ণ ব্যবহারে অভ্যস্ত, তারা নিজেদেরকে নারীর কাতারে শামীল করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে নিজ হাতে বা গলায় জাহান্নামে জ্বলন্ত অঙ্গার পরিধান করছে।আসা করি বুঝতে পারছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ