মেরিন ইঞ্জিনিয়ার কর্মীর চাহিদা বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ ও যোগ্য লোকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শিপিং শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি অপার সম্ভাবনার । এই শিল্পে অবদান রাখতে চান? আর যদি থাকে সমুদ্র জয় করার ইচ্ছা তো মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যান।
ভর্তি যোগ্যতা
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করতে হবে এবং দুটিতেই জিপিএ থাকতে হবে ৩.৫ এ ছাড়া গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞানে আলাদা করে ৩.৫ পয়েন্ট এবং ইংরেজিতে ৩ গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে।
শারীরিক যোগ্যতা
উচ্চতা ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে দরকার পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। তবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও নটিক্যাল সায়েন্স পড়তে হলে চোখের জন্য ছয় বাই ছয় থাকতে হবে। একই সঙ্গে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে কলেজে ভর্তি হতে হবে। একই সঙ্গে মেডিকেল টেস্টও করতে হবে।
কোথায় পড়া যাবে
বাংলাদেশ সরকারী মেরিন একাডেমিতে ২৭৫ আসনের ২০টি সিট নারীদের জন্য বরাদ্দ।
খোঁজ নিতে পারেন প্রাইভেট মেরিটাইম একাডেমি ও কলেজে
সম্ভাব্য খরচ
সরকারী কলেজে খরচ পড়বে ৬- ৭ লাখ টাকা। প্রাইভেট মেরিটাইম একাডেমি ও কলেজ ভেদে ৪ লাখ ১০ হাজার থেকে ১৪ লাখ টাকা খরচ হবে।
কাজের ক্ষেত্র
তিন বছরের কোর্স শেষে একজন ক্যাডেট লাভ করবেন প্রি-সি মেরিন (মার্চেন্ট মেরিন) সার্টিফিকেট। সমুদ্রগামী জাহাজ ছাড়াও দেশি-বিদেশি নৌ বন্দর, জাহাজ ব্যবস্থাপনা সংস্থা, পাওয়ার প্লান্টেও কাজের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া রয়েছে জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, দেশি-বিদেশি তেল কম্পানিসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাজের সুযোগ।
আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন-আইএমও হিসাব অনুযায়ী, যে দেশেই পড়াশোনা করেন না কেন, বিশ্বের যেকোনো দেশেই কাজ করার সুযোগ পাবেন।
পদোন্নতি
এ পেশায় দ্রুত পদোন্নতি হয়। জাহাজের সর্বোচ্চ পদ ক্যাপ্টেন বা চিফ ইঞ্জিনিয়ার হতে সময় লাগে গড়ে সাত থেকে আট বছর। বিভিন্ন সৈকত ব্যবস্থাপনা পেশাতেও নৌ অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।