(রাকিব) তার প্রচুর ধনসম্পদ আছে তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি নেই মানে কলেজ সার্টিফিকেট বা ডিগ্রী এসব নেই অর্থ্যাৎ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম তবে প্রচুর ধনসম্পদ আছে। অপর দিকে (রায়হান) সে বি.এস.সি/বি.সি.এস বা এরকম কিছু একটা পাশ। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক। তবে অর্থের খুবই ই অভাব বা চাকুরী নেই অথবা চাকুরি থাকলেও বেতন ভালো না বা তার চাকুরি পছন্দ না তবে সে অনেক শিক্ষিত। এখানে দুইজনের মাঝে কে বেশি সুখী এবং কার বেশি সম্মান বা কার অবস্থান কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এখানে দুইজনের মাঝে রায়হান  বেশি সুখী এবং রায়হান  বেশি সম্মান পান  ধন সম্পদের  চেয়ে  শিক্ষার  বেশি  সম্মান । শিক্ষা  ছাড়া আর কিছু নেই । শিক্ষাই  মানুষকে  অনেক  বড় করে  তুলে । যার শিক্ষা  নেই  মানে  তার  সাথে  কিছুই নেই । 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

আসলে আপনার এই প্রশ্ন দেখে কিছু না বলে আর পারছিনা আর তাই ভাবলাম প্রশ্নের উত্তরে কয়েক ভাবে লেখা যায় তবে আমি  বলছি আশা করি বুঝে নিবেন।

আপনার উক্ত প্রশ্নে দুইটি প্রশ্ন রয়েছে আমি আগে ১নং এ রাকিব এর ব্যাপারে লিখবো ও ২নং এ রায়হান এর ব্যাপারে লিখবো।

  1. আপনি বললেন রাকিবের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি নেই মানে কলেজ সার্টিফিকেট বা ডিগ্রী এসব নেই অর্থ্যাৎ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম তবে প্রচুর ধনসম্পদ আছে। আসলে মানুষের ধনসম্পদ থাকলেই যে  সে মানুষের কাছে সম্মান মর্যাদা বা সুখি হতে পারবে না তা কিন্তু নয়।  বা সে অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত হলেই যে সে সমাজে সুখি হতে পারবে না  বা সম্মান পাবে না তা মোটেও নয়। কেনো না মানুষের জীবনে সুখে থাকা, অন্যের কাছে সম্মান ও মর্যাদা পাওয়া   এসব ধনসম্পদ বা শিক্ষিত এর উপর নির্ভর করে না।
  2. আবার অন্য দিকে রায়হানের বি.এস.সি/বি.সি.এস বা এরকম কিছু একটা পাশ। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক। তবে অর্থের খুবই ই অভাব বা চাকুরী নেই অথবা চাকুরি থাকলেও বেতন ভালো না বা তার চাকুরি পছন্দ না তবে সে অনেক শিক্ষিত।  এই রায়হান ভাই শিক্ষিত হলেই যে সে সমাজে সম্মান মর্যাদা ও সুখে থাকতে পড়বে তা মোটেও নয় বা সে খুব শিক্ষিত তাই বলে তার সম্মান বেশি অশিক্ষিত এর চেয়ে তা কিন্তু নয় কেনো না মানুষের সম্মান মর্যাদা পাওয়া না পাওয়া শিক্ষিত হওয়া বা ধনসম্পত্তির উপর নির্ভরশীল নয়। তবে হ্যা একজন শিক্ষিত মানুষের সমাজে তার অবদান বেশি কারন তার মাঝে শিক্ষার আলো আছে যদি সে সুশিক্ষার অধিকারী হয়। আসলে সমাজে এমনো শিক্ষিত ব্যাক্তি আছে যারা অশিক্ষিত এর মত কথা বলে।
এখন আপনার প্রশ্নের উত্তরে আশি আপনি বললেন যে →দুইজনের মাঝে কে বেশি সুখী এবং কার বেশি সম্মান বা কার অবস্থান কি?
আসলে উক্ত কথার মাঝে হয়তো বুঝেছে আমি আপনার এই প্রশ্নের মাধ্যমে কি বুঝাতে চাচ্ছি। আসলে একজন মানুষ  সমাজে সুখে থাকতে চাইলে বা সবার কাছ থেকে সম্মান ,মর্যাদা ভালোবাসা পেতে চাইলে শুধু তার শিক্ষা ও ধনসম্পত্তির এর উপর নির্ভর করবে না কেনো না এখান ঐ ব্যাক্তির
  1.  আচার ব্যবহার কিরকম।
  2. কথা বলার সভাব কিরকম।
  3. লোকটার অহংকারী কিনা।
  4. লোকটি বাজে বা নেশাখোর কিনা।
  5. লোকটি আইনের কাছে অপরাধী কিনা।
  6. লোকটি তার বাবা মায়ের প্রতি কিরকম সহানুভূতি দেখায়।
  7. লোকটি সবার সাথে মিশতে পারছে কিনা।
  8. লোকটি ভদ্র, নম্র কিনা।
  9. লোকটি মানুষকে সম্মান করে কিনা
  10. লোকটি মানুষকে সব সময় ধমক দিয়ে কথা বলে কিনা বা তার কথায় মানুষ অসন্তুষ্ট হয় কিনা।
এছাড়ও আরো অনেক কিছুই নির্ভর করবে  যার মাধ্যমে একজন মানুষ সমাজে সুন্দর ভাবে সুখে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে ও সবার কাছ থেকে সম্মান মর্যাদা ও ভালোবাসা পাবে ইনশাআল্লাহ । 
মনে রাখবেন রায়হান শিক্ষিত বলেই যে সে সমাজে সম্মানি ব্যাক্তি হবে তা কিন্তু নয় আর রাকিব ভাই অশিক্ষিত কিন্তু তার ধনসম্পত্তি থাকলেই যে সে সমাজে সম্মানি ও সুখি  ব্যাক্তি হবেন তা কিন্তু মোটেও নয়।কাজেই একজন মানুষ সমাজে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে তার সকল দিক গুলোর উপর নির্ভর করবে।আর এয়ো মনে রাখবেন রায়হান শিক্ষিত হলেই কি হবে যদি সে অন্যকে সম্মান না করে তাহলে সে কিভাবে সম্মান আশা করে অন্য দিকে রাকিব একই।
কাজেই প্রশ্নকারী বুঝে নিবেন মানুষের ধনসম্পত্তি ও শিক্ষির উপর তার সুখের জীবন ও শান্তিতে বেঁচে থাকার প্রেরনা আশা করবেন না।
আশা করি আমার কথা বুঝতে পারছেন।
ভুল কিছু বললে মাফ করবেন।
ধন্যবাদ। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অবশ্যই রায়হান বেশি সম্মানিত।আর রাকিবের শিক্ষা নেই ফলে সে সম্পদ কোনো কাজে লাগাতে পারবে না।রায়হান তার শিক্ষা দিয়ে এগোবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আমরা বাংলাদেশের মানুষের শিক্ষার প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্যই হলো একটি ভাল চাকুরি। অর্থাৎ গোলামি করা। হতে পারে সেটা সরকারের গোলাম বা পক্ষান্তরে দেশের সমগ্র জনগণের গোলাম। আর নয়তো রাকিব সাহেবদের মতো কারো গোলাম। সে হিসাবে রাকিব সাহেবরাই সম্মানী মানুষ এবং সমাজের উঁচু স্তরের মানুষ। একজন বিসিএস ক্যাডার হয়েও দেখা যায় রাকিব সাহেবদের গোলামী করতে। 

আর সুখি মানুষ সেটি সম্পূর্ণই ভিন্ন একটি বিষয়। আল্পতে তুষ্ট হৃদয়ই সবচেয়ে সুখি। ধন্যবাদ
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ronu

Call

সুখঃ সুখ একটি মানসিক অনুভূতি। সুখকে বিভিন্ন ব্যাক্তিগণ বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। সুখ মনের একটি অবস্থা বা অনুভূতি যা তৃপ্তি, আনন্দ বা উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। 

  • রাকিবঃ রাকিবের প্রচুর ধন সম্পদ রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি নেই। তবে সে নিরক্ষর নয়। সে সুুুশিক্ষিত নয়। তার প্রচুর ধনসম্পদ থাকলেই যে  সে মানুষের কাছে সম্মান মর্যাদা বা সুখি হতে পারবে না তা কিন্তু নয়।  রাকিব অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত হলেই যে সে সমাজে সুখি হতে পারবে না  বা সম্মান পাবে না তা মোটেও নয়। অর্থ কখোনোই সুখ বয়ে আনে না। 
  • রায়হানঃ রায়হান একজন শিক্ষিত ব্যাক্তি। সে সুশিক্ষিত হওয়ায় দেশের উন্নতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। তবে তিনি অর্থকষ্ট এর সমস্যায় ভুগছেন। তার বেতন ভালো না। কিন্তু সে মানসিক প্রশান্তি থাকলে সুখী হতে পারে। 
সুখ অর্থ, বিত্তশালী অবস্থান, শিক্ষগত যোগ্যতা এগুলোর নির্ভর করে না। সুখী হওয়ার জন্যে মানসিক প্রশান্তি প্রয়োজন। সুখী হওয়ার জন্যে প্রয়োজনঃ
  • মানসিক প্রশান্তি। 
  • ভালোবাসা ও সৌহার্দতা। 
  • নিজের স্বাধীনতা। 
  • পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। 
  • সামাজিক বন্ধন। 
এগুলোর সবগুলো থাকলেই একজন ব্যাক্তি সুখী হতে পারবেন। কিন্তু রাকিব ও রায়হানের মধ্যে কেউই সুখী নন। রাকিব সাহেব বিলাসিতা করতে পারেন অর্থের মাধ্যমে। কিন্তু মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারবেন না। রায়হান শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সে অর্থের অভাব। অর্থ এর সাথে সুখের সম্পর্ক যুক্ততা নেই। সে হয়ত অর্থের জন্যে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারবে না। এর জন্যে কেউই সুখী হতে পারবে না। 
সম্মান লাভ অর্থ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর নির্ভর করবে। সম্মান লাভের যোগ্য ব্যাক্তির কিছু গুণ থাকা আবশ্যক
  • ভালো ও সুব্যবহার। 
  • অন্যের সাথে মিল বন্ধন। 
  • শান্ত, ভদ্র স্বভাব। 
  • দয়ালু মনোভাবের অধিকারী। 
  • অন্যের প্রতি সহায়তা প্রবণ মনোভাব। 
এগুলোর মাধ্যমেই একজন সম্মানের যোগ্য হতে পারেন। এক্ষেত্রে রাকিব ও রায়হান দুজনেই অগ্রাধিকার পাবেন। আপনি তাদের কিছু গুণ বর্ণনা করেন নি। তাই কে বেশি সম্মান পাবে তা সহজে বলা যায় না। উক্ত গুণগুলো যদি বিদ্যমান থাকে তাহলে সে সম্মান পাবে। (বর্তমানে সমাজে চাটুকার লোকের অভাব নেই। যারা অন্যের টাকা পয়াসাকে সম্মান করে।)  
কার অবস্থান কী তা উপরেই নির্ভরশীল। রায়হান শিক্ষিত সে সামাজিক ভাবে সমাজকে নিজের গুণ প্রকাশের মাধ্যমে উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। রাকিব তার অর্থ সম্পত্তি সঠিক ভাবে প্রয়োগ ও অন্যদের সহায়তা করতে পারেন। 
এছাড়ও আরো অনেক কিছুই নির্ভর করবে  যার মাধ্যমে একজন মানুষ সমাজে সুন্দর ভাবে সুখে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে ও সবার কাছ থেকে সম্মান মর্যাদা ও অবস্থান। সুতরাং, ধন সম্পত্তি ও শিক্ষার উপর সুখ, সম্মান, অবস্থা নির্ভর করে না   
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ