শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ঢেঁড়স সম্পর্কে কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য:

আমাদের দেশে জনপ্রিয় সবজিগুলোর মধ্যে ঢেঁড়স অন্যতম। ঢেঁড়স প্রধানত গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও এ দেশের আবহাওয়ায় প্রায় বারোমাস ঢেঁড়স চাষ করা সম্ভব। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি এটি চাষের জন্য বেশি উপযোগী। এটি Malvaceae গোত্রের সবজি, যার বৈজ্ঞানিক নাম (Abelmoschus eseulentus). ঢেঁড়সের সঙ্গে নারীর আঙুলের অবয়বে মিল থাকায় ইংরেজিতে একে lady’s finger বলা হয়।
দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই ঢেঁড়স জন্মে। বাংলাপিডিয়ার তথ্য মতে, বছরে প্রায় ৫,৩৯৯ হেক্টর জমিতে ঢেঁড়সের চাষ হয়। যার বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ১৭,৩২৫ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি এর গড় উৎপাদন প্রায় ১৬ মেট্রিক টন। এ সবজি ভিটামিন 'এ', 'বি', 'সি' ও আয়রনসমৃদ্ধ। তা ছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। এটি সেদ্ধ, ভর্তা, ভাজি বা মাছের সঙ্গে তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বহু পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই সবজি আয়োডিনের অভাবে সৃষ্ট গলগ- রোগ এবং মস্তিষ্ক ও হৃৎপি- দুর্বলতার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। প্রতিটি ঢেঁড়সে রাইবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, মুলো, টমেটো আর শিমের থেকে বহুগুণ বেশি। তা ছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, শুকনো কাশির জন্য এটি বেশ উপকারী।
পৃথিবীর অনেক দেশে এটি সবজির পাশাপাশি ফল হিসেবে গ্রহণ করে। ভারতে গুড় তৈরিতে আখের রসের সঙ্গে ঢেঁড়সের শেকড় ও কা-ের ব্যবহার প্রচলিত আছে। তুরস্কে এর বীজ কফির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পাকার পর এর খোসা ও কা- কাগজ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় যাদের হজমে সমস্যা তাদের এটি কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
 

অনেকেরই প্রিয় সবজি ঢেঁড়স। স্বাদের বাহার যেমন ভর্তা, ভাঁজি আর চচ্চড়িতে, কমতি নেই মাছের সঙ্গে ঝোলেও। গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় ঢেড়স। জনপ্রিয় সবজিগুলোর মধ্যে ঢেড়স অন্যতম। আবার কচি ঢেড়স ভালো করে শুকিয়ে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্যে সংরক্ষণ করা যায়।
ঢেড়স শুধু সবজিই নয় আছে অনেক পুষ্টিগুণও। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এবং ভিটামিন এ,বি এবং সি। আয়োডিনের অভাবে সৃষ্ট গলগন্ড, মস্তিষ্ক ও হৃৎপিন্ডের দুর্বলতা প্রতিরোধে ঢেড়স খুবই উপকারি একটি সবজি।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
ঢেড়সে রাইবোফ্লাবিনের পরিমাণ এতো বেশি, যা বেগুন, মুলা, টমেটো আর শিমের থেকেও বেশি। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ঢেড়স বেশ উপকারি। এজন্য বীজ ফেলে দিয়ে দু’তিনটা
কাঁচা ঢেড়স প্রায় ৪৫০ গ্রাম পানিতে এমনভাবে সেদ্ধ করুন যাতে এক কাপ পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে। এবার পানিটা ছেঁকে নিয়ে দুবার খাবেন একঘন্টা পর পর। এতে প্রস্রাব-পায়খানা উভয়ই পরিস্কার হবে।
রক্তচাপ কমায়
ঢেড়স রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকলে কালো জামের বীজ চূর্ণ করে এক গ্রাম পরিমাণ চূর্ণের সাথে তিন-চারটে কচি ঢেড়স সেদ্ধ পানির সঙ্গে ক’দিন খেলে ব্লাড সুগার কমে যাবে।
কাশি দূর
ঢেড়স খেলে খুসকুসে কাশির উপকার হয়। সেক্ষেত্রে বীজ ফেলে দিয়ে কয়েকটি কাঁচা ঢেঁড়স রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। পাঁচ/ছয় গ্রাম ঢেড়সের শুকনা গুঁড়া আর চিনি দিয়ে বড়ি বানাতে হবে। বড়ি চুষে খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাওয়া যাবে।
প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দূর
ঢেড়স প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দুর করতেও সহায়ক। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলেও অনেক সময় প্রস্রাবের পরিমাণ কম হতে পারে। এমনটি হলে বীজ ফেলে দিয়ে ৩/৪টা কাঁচা ঢেড়স আধা সের পরিমাণ পানিতে সেদ্ধ করুন। পানি অর্ধেক পরিমাণ থাকতেই নামিয়ে ছেঁকে নিন। এই পিচ্ছিল পানি খেলে প্রস্রাব সরল হয় এবং পরিমাণেও বেড়ে যায়। কয়েকদিন এই পানি খেলে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণের সমস্যা দূর হয়।
বাংলাদেশে ঢেড়স কেবল সবজি হিসেবেই খাওয়া হয়। কিন্তু কোনো কোনো দেশে ঢেড়সের পাতাও সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে যাদের হজম শক্তি তেমন ভালো নয়, তাদের এ উপকারী সবজিটি বেশী খাওয়া উচিত নয়। ভারতে পরিষ্কার গুড় তৈরির জন্যে আখের রসের সঙ্গে ঢেড়সের শেকড় ও কান্ড ব্যবহার করা হয়। তুরস্কে এর বীজ কফির বিকল্প হিসেবে খাওয়া হয়।



ঢেঁড়স (Okra) Malvaceae গোত্রের সবজি (Abelmoschus eseulentus)। এ সবজি ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও লোহাসমৃদ্ধ। ঢেঁড়সে প্রতি ১০০ গ্রামে ভক্ষণযোগ্য অংশে আমিষ (১.৮ গ্রাম) ভিটামিন-সি (১৮ মিলিগ্রাম) খনিজ পদার্থ বিশেষ করে ক্যালশিয়াম (৯০ মিলিগ্রাম), লোহা (১ মিলিগ্রাম) ও আয়োডিন রয়েছে।
এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যারোটিন, ফলিক এসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড।
বেশ কয়েকটি রোগে ঢেঁড়স খুবই উপকারী। ঢেঁড়সে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার রোগ সৃষ্টিকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করে এ রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। হাঁপানিতে খুব ভালো কাজ করে ঢেঁড়স। রোগটির হারবাল চিকিৎসায় ঔষুধ হিসেবে ঢেঁড়স ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া ঢেঁড়স বীজের তেল শ্বাসকষ্ট কমাতে পারে। ব্লাড সুগার কমাতে এর বিকল্প নেই। প্রতি একশ’ গ্রাম ঢেঁড়সে শূন্য দশমিক শূন্য সাত মিলিগ্রাম থায়ামিন, শূন্য দশমিক শূন্য ছয় মিলিগ্রাম নিয়াসিন ও শূন্য দশমিক শূন্য এক মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন রয়েছে। যা ডায়াবেটিস রোগীর স্নায়ুতন্ত্রে পুষ্টি সরবরাহ করে সতেজ রাখে। ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর আঁশ যা কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে। সহজে হজম হয় বলে বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে।
নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে সহজেই রক্তশূন্যতা দূর হয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে এর ফলেট উপাদানটি গর্ভের শিশুর সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।
ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। এর মধ্যে রয়েছে আঁশ, ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া রয়েছে আরো অনেক গুণ। হেলদি ফুড টিম দিয়েছে ঢেঁড়সের ১০ গুণের কথা, যা জানার পর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ঢেঁড়স রাখতে চাইবেন আপনি।

এক গ্লাস পানিতে ২-৩ টি ঢেঁড়স সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে এই পিচ্ছিল পানি পান করলে ডায়াবেটিস ও প্রেসারের রোগীদের জন্য খুবই উপকার হয়।
১. বাজে কোলেস্টেরল কমায়
ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন; যা রক্তের বাজে কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে।
২. গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ তৈরির জন্য ভালো
ঢেঁড়স গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরিতে সাহায্য করে, মিসক্যারেজ হওয়া প্রতিরোধ করে।
৩. ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে
ঢেঁড়স ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
৪. শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে
এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঢেঁড়স বেশ উপকারী।
৫. কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
ঢেঁড়স কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ঢেঁড়সের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।
৬. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
ঢেঁড়স রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া আরো প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ; যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
৭. উচ্চমাত্রার আঁশ
ঢেঁড়সে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ আঁশ। এটা হজমে সাহায্য করে। পেকটিন অন্ত্রের ফোলাভাব কমায় এবং অন্ত্র থেকে বর্জ্য সহজে পরিষ্কার করে।
৮. চুলের যত্নে
ঢেঁড়স চুলের কন্ডিশনার হিসেবে বেশ ভালো। এটি খুশকি দূর করে এবং শুষ্ক মাথার ত্বকের জন্য উপকারী।
৯. বিষণ্ণতা দূর করে
ঢেঁড়স বিষণ্ণতা, দুর্বলতা এবং অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
১০. দৃষ্টি ভালো রাখে
ঢেঁড়সে আছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, লিউটিন; যা চোখের গ্লুকোমা, চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ঢেঁড়সঃ ঢেঁড়শ (অন্য নাম ভেন্ডি) মালভেসি পরিবারের এক প্রকারের সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি তুলা, কোকো ও হিবিস্কাসের সাথে সম্পর্কিত। ঢেঁড়শ গাছের কাঁচা ফলকে সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। 

ঢেঁড়শের বৈজ্ঞানিক নামঃ Abelmoschus esculentus; অথবা Hibiscus esculentus L 

বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাসঃ 

জগৎ      : Plantae

বিভাগ    : Magnoliophyta

শ্রেণী       : Magnoliopsida,Rosids

বর্গ          : Malvales

পরিবার   : Malvaceae

গণ          : Abelmoschus

প্রজাতি    : A. esculentus


উৎস,নাম ও বিস্তৃতিঃ ঢেড়শকে ইংরেজিতে বলা হয় ওকরা (Okra)। আমেরিকার বাইরের ইংরেজিভাষী স্থানে এটি লেডিজ ফিঙ্গার (Lady's Fingers) নামেও পরিচিত । কোনো কোনো স্থানে, যেমন আমেরিকার কিছু অংশ এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এটি গাম্বো (gumbo) নামেও খ্যাত, যা এসেছে এর পর্তুগিজ নাম "quingombo," থেকে, যার আদি উৎস হলো পূর্ব আফ্রিকীয় শব্দ "quillobo,"


ওকরা নামটি পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এসেছে।আফ্রিকার বান্টু ভাষায় এটাকে বলা হয় কিঙ্গুম্বো। আরবি ভাষায় এর নাম বামিয়া । দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এটিকে ভেন্ডি বা ভিন্ডি বলা হয়।

ঢেঁড়শের আদি নিবাস ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি এলাকায়। সেখান থেকে কীভাবে এটি অন্যত্র ছড়িয়ে যায়, তা জানা যায় না। মিশরীয় ও মূর জাতির বিভিন্ন রচনায় ১২শ ও ১৩শ শতকে আরবি ভাষায় ঢেঁড়শের কথা উল্লেখ রয়েছে। এতে ধারণা করা যায় যে, প্রাচ্য হতেই এটি সেখানে এসেছে। সম্ভবত ইথিওপিয়া হতে লোহিত সাগর বা আরব উপদ্বীপের নিকটবর্তী বাব-আল-মান্দিব প্রণালী পেরিয়ে এটি আরবে ও পরে ইউরোপে যায়। ১২১৬ সালে এক স্পেনীয় মূর জাতির ব্যক্তির লেখায় এর উল্লেখ রয়েছে। মিশর ভ্রমণকালে এই মূর তার রচনায় উল্লেখ করেন, স্থানীয় ব্যক্তিরা ঢেঁড়শের ফল আটার সাথে মিশিয়ে খেতো।


আরব থেকে ঢেঁড়শ ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোতে, ও পরে পূর্বদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতবর্ষের প্রাচীন ভাষাগুলোতে এই গাছটির নামের উল্লেখ নেই, তা থেকে ধারণা করা যায়, খ্রিস্টের জন্মের পরেই কেবল এই গাছটি ভারতবর্ষে আসে। আটলান্টিক মহাসাগরের দাস বাণিজ্যের অংশ হিসেবে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোর মাধ্যমে ঢেঁড়শ আমেরিকা মহাদেশে আসে। । ১৬৫৮ সাল নাগাদ ব্রাজিলে এর উপস্থিতির উল্লেখ পাওয়া গেছে। ১৬৮৬ সাল নাগাদ এটি সুরিনামে পৌছে যায়।


উত্তর আমেরিকাতে, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্বাংশে ঢেঁড়শের আগমণ ঘটে ১৮শ শতকের শুরুর দিকে। ১৭৪৮ সালে এটি উত্তরে ফিলাডেলফিয়া এলাকাতেও চাষ করা হতো। টমাস জেফারসনের রচনায় উল্লেখ রয়েছে, ১৭৮১ সালে ভার্জিনিয়াতে ব্যাপকভাবে ঢেঁড়শের চাষ করা হতো। 


চাষাবাদঃ   চাষ করার সময়ে প্রথমে এক রাত ধরে ১-২ সেমি জলে ঢেঁড়শের বীজ ভিজিয়ে রাখা হয়। ৬ দিন থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে অঙ্কুরোদগম হয়। ঢেঁড়শের চারার প্রচুর জলের দরকার হয়। পরাগায়ণের ১ সপ্তাহের মধ্যেই ঢেঁড়শের ফল পেড়ে নিতে হয়, নতুবা এটি আঁশযুক্ত হয়ে পড়ে। 


যেসব সবজি সবচেয়ে বেশি খরা ও তাপ সহ্য করতে পারে, তাদের ঢেঁড়শ অন্যতম। শুকনো শক্ত মাটিতেও এটা টিকে থাকে।


ঢেঁড়শের ফলের ভেতরে পিচ্ছিল পদার্থ থাকে, ফলে রান্না করার পরে পিচ্ছিল তরল বেরিয়ে আসে। এটা এড়ানোর জন্য ঢেঁড়শকে ভাজা হয়।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ