NaiemIalam

Call

♥♥বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহীম ♥♥ তিনি যেহেতু পরিপূর্ণ ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী, তাই কোন কিছুই তাকে অক্ষম করতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿إنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾ ‘‘আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাবান’’ (সূরা আল বাকারা: ২০)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿وَكَانَ اللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ مُّقْتَدِرًا﴾ ‘‘আল্লাহ সব জিনিসের উপর শক্তিশালী’’ (সূরা আল কাহাফ: ৪৫)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعْجِزَهُ مِن شَيْءٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ إِنَّهُ كَانَ عَلِيمًا قَدِيرًا﴾ ‘‘আকাশ মন্ডলীতে ও পৃথিবীতে আল্লাহকে অক্ষম করে দেবার মতো কোন জিনিস নেই। তিনি সবকিছু জানেন এবং সব জিনিসের উপর ক্ষমতাশীল’’ (সূরা আল ফাতির: ৪৪)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ﴾ ‘‘তার কুরসী আসমান ও যমীন পরিব্যপ্ত হয়ে আছে। আর আসমান ও যমীনকে ধারণ করা তার জন্য মোটেই কঠিন নয়। আর তিনি সমুন্নত, মহান’’ (সূরা আল বাকারা: ২৫৫)। এখানে لَايَئُوْدُهُ অর্থ হলো মোটেই কঠিন হয় না, ভারী অনুভব হয় না, তাকে অপারগ করে না। এখানে আল্লাহ তা‘আলার পবিত্র সত্তা হতে যা নাকচ করা হয়েছে, তার বিপরীত বিশেষণ পূর্ণরূপে তার জন্য সাব্যস্ত বলেই তা নাকচ করা হয়েছে। অনুরূপ কুরআন ও সুন্নাহয় আল্লাহ তা‘আলাকে যেসব বিশেষণ থেকে মুক্ত ও পবিত্র করা হয়েছে, তার প্রত্যেকটির ক্ষেত্রেই একই কথা। যা নাকচ করা হয়েছে, তার বিপরীতটি পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত বলেই সে নাকচ এসেছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا﴾ ‘‘তোমার রব কারো প্রতি যুলুম করেন না’’ (সূরা আল কাহাফ: ৪৯)। তিনি যেহেতু আদল বা ন্যায়বিচারের বিশেষণে পূর্ণরূপে বিশেষিত তাই তিনি যুলুমকে নিজের সত্তা থেকে অস্বীকার করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা সূরা সাবা’র ৩ নং আয়াতে বলেন, ﴿لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَلَا أَصْغَرُ مِن ذَٰلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ﴾ ‘‘তার কাছ থেকে অণু পরিমাণ জিনিস আকাশ সমূহেও লুকিয়ে নেই এবং পৃথিবীতেও নেই। অণুর চেয়ে ছোট হোক, কিংবা তার চেয়ে বড় হোক, সবকিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা রয়েছে’’। তার ইলম যেহেতু পরিপূর্ণ, তাই তার ইলম থেকে আসমান-যমীনের কোন কিছুই লুকিয়ে নেই। সূরা ক্বফের ৩৮ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَلَقَدْ خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَمَا مَسَّنَا مِن لُّغُوبٍ﴾ ‘‘আমি আকাশ-পৃথিবী এবং তার মধ্যকার সব জিনিসকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছি অথচ তাতে আমি ক্লান্ত হইনি’’। তার ক্ষমতা যেহেতু পরিপূর্ণ ও সার্বভৌম তাই ক্লান্তি ও কষ্ট তার কাছে আসতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা আয়াতুল কুরসীতে (সূরা আল বাকারা: ২৫৫) আরো বলেন, لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ‘‘তন্দ্রা ও নিদ্রা তাকে স্পর্শ করতে পারে না’’। তার হায়াত যেহেতু পরিপূর্ণ এবং তিনি যেহেতু সবকিছুর পরিপূর্ণ ধারক, তাই তার পবিত্র সত্তা থেকে তন্দ্রা ও নিদ্রার ধারণাকে নাকচ করা হয়েছে। সূরা আন‘আমের ১০৩ নং আয়াতে বলেন, لَّا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ ‘‘দৃষ্টিশক্তি তাকে আয়ত্ত করতে পারে না’’। তার বড়ত্ব, সম্মান ও মহত্ত্ব যেহেতু পূর্ণাঙ্গ, তাই তাকে দৃষ্টির মাধ্যমে আয়ত্ত ও পরিবেষ্টন করা অসম্ভব। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার পবিত্র সত্তা থেকে যেসব বিষয় নাকচ করা হয়েছে, তার বিপরীতটি পূর্ণরূপে তার জন্য সাব্যস্ত করার জন্যই তা করা হয়েছে। অন্যথায় শুধু নাকচ করাতে কোন প্রশংসা হয় না।[1] যে নাকচ করাতে কোনো প্রশংসা হয় না তার উদাহরণ স্বরূপ কবির এ কথাটি পেশ করা যেতে পারে। কবি একটি গোত্রের নিন্দা করতে গিয়ে বলেন, قُبَيِّلَةٌ لَا يَغْدِرُونَ بِذِمَّةٍ... وَلَا يَظْلِمُونَ النَّاسَ حَبَّةَ خَرْدَلِ ‘‘তাদের গোত্র এত ছোট যে, তারা কোন অঙ্গীকার ভঙ্গ করে না এবং মানুষের উপর অণু পরিমাণ যুলুমও করে না। এ লাইনের পূর্বের এবং পরের লাইনে যা উল্লেখ করা হয়েছে এবং গোত্রের লোকদেরকে বুঝানোর জন্য قبيلة শব্দকে ‘তাসগীর’ তথা ক্ষুদ্রতা বাচক শব্দের দ্বারা উল্লেখ করাকে যদি গাদ্দারী ও যুলুম নাকচ করার সাথে মিলানো হয়, তাহলে বুঝা যাবে যে, এখানে তাদের অপারগতা, অক্ষমতা ও দুর্বলতা বর্ণনা করা উদ্দেশ্য। গাদ্দারী ও যুলুম পরিহার করার মধ্যে যুলুম ও গাদ্দারী করার উপর তাদের পরিপূর্ণ ক্ষমতা থাকা বুঝায় না এবং তাদের প্রশংসাও বুঝায় না। কারণ তারা ক্ষমতা না থাকার কারণে যুলুম ও গাদ্দারী ছেড়ে দিয়েছে। ক্ষমতা থাকার পরও যদি ছেড়ে দিতো, তাহলে তারা প্রশংসার হকদার হতো। অন্য কবি বলেছেন, لَكِنَّ قَوْمِي وَإِنْ كَانُوا ذَوِي عَدَدٍ... لَيْسُوا مِنَ الشَّرِّ فِي شَيْءٍ وَإِنْ هَانَا ‘‘আমার গোত্রের লোকের সংখ্যা অনেক হলেও তারা যুলুমের প্রতিশোধ গ্রহণ করে না। যদিও তা তুচ্ছ ব্যাপারে হয়ে থাকে’’। এখানে যুলুম প্রতিরোধ না করার মাধ্যমে যখন তাদের নিন্দা করা হয়েছে তখন জানা গেল যে, তাদের অক্ষমতা ও দুর্বলতার কারণেই তারা প্রতিশোধ নেয় না। কারণ প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা থাকার পরও যদি কেউ যালেমকে ক্ষমা করে দেয়, তখনই সে ক্ষমা করা প্রশংসাযোগ্য হয়।[2] ♥♥♥♥♥ (ভাই আপনার কাছে এই আপ্যাস টা থাকলে অনেক অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ্ সহীহ হাদীস দ্বারা এই আপ্যাস টা http://www.hadithbd.com/shareqa.php?qa=8874)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Galibvlo

Call

ভালা কথা বলছিনা 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহ্ (আরবি: الله‎‎) একটি আরবি শব্দ, ইসলামধর্মানুযায়ী যার দ্বারা "বিশ্বজগতের একমাত্র স্রষ্টা এবং প্রতিপালকের নাম" বোঝায়।"আল্লাহ" শব্দটি প্রধানতঃ মুসলমানরাই ব্যবহার করে থাকেন। মূলতঃ “আল্লাহ্” নামটি ইসলাম ধর্মে বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তার সাধারণভাবে বহুল-ব্যবহৃত নাম; এটি ছাড়াও মুসলমানরা তাকে আরো কিছু নামে সম্বোধন করে থাকে যেমন খোদা। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনে আল্লাহর নিরানব্বইটি নামের কথা উল্লেখ আছে; তার মধ্যে কয়েকটি হল: সৃষ্টিকর্তা, ক্ষমাকারী, দয়ালু, অতিদয়ালু, বিচারদিনের মালিক, খাদ্যদাতা, বিশ্বজগতের মালিক প্রভৃতি।

তবে আরবের খ্রিস্টানরাও প্রাচীনকাল থেকে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করে আসছেন। বাহাই, মাল্টাবাসী, মিজরাহী ইহুদি এবং শিখ সম্প্রদায়ও "আল্লাহ" শব্দ ব্যবহার করে থাকেন।

ইসলাম ধর্মমতে "রব" বা "প্রতিপালক" ও "সৃষ্টিকর্তা" একজনই। তাকে আরবি ভাষায় "একক প্রতিপালক" বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ আল্লাহ(আরবি: ‎الله‎‎) বলে সম্বোধন করা হয়‎‏, যাকে বিশ্বজগতের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও প্রভু বলে ইসলাম ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন।

ইসলাম ধর্মে আল্লাহ্ হলেন একটি নৈবর্তিক ধারণা, যা দ্বারা সমগ্র বিশ্ব জগতের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী সৃষ্টিকর্তা এবং প্রভুকে বুঝানো হয়। ইসলামের প্রধান ঐশী ধর্মগ্রন্থ কুরআনে স্রষ্টাকে আল্লাহ্ নামে ডাকা হয়েছে। "আল্লাহ" শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হল "একক প্রতিপালক" (নির্দিষ্টভাবে একক উপাস্য, উপাসনার যোগ্য একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা)"। অন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্মের (ইহুদী ও খ্রিস্টান) মত ইসলামেও "একক প্রতিপালক" (আল্লাহ্) কে একমাত্র সর্বোচ্চ সত্তা, সর্বোচ্চ ও অসীম ক্ষমতার অধিকারী এবং অসীম পরিমাণ উত্তম গুণে গুণাণ্বিত বিশ্বজগতের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং মানুষের একমাত্র উপাসনাযোগ্য সত্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।। আল্লাহ শব্দটি আরবি ভাষায় লিঙ্গ পার্থক্যবিহীন। আরবি ভাষী খ্রিষ্টান ও ইহুদীরাও "সুনির্দিষ্ট/একক ঈশ্বর" বোঝাতে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন, আর "ইলাহ্" (আরবি: إله‎‎) শব্দটি আরবিতে যেকোন উপাস্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে, আল্লাহ তা'আলার আসমাউল হুসনা হলো মোট ৯৯ টি।আল্লাহ তা'আলা তোমাদেরকে এ সকল নামের মাধ্যমে তার নিকট দোয়া প্রার্থনা করতে আদেশ করেছেন।যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র এ গুণবাচক ৯৯টি নাম মুখস্হ করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অন্য এক বর্ণনায় আছে, 'যে ব্যক্তি ৯৯টি গুণবাচক নাম মুখস্থ করবে এবং সর্বদা পড়বে, সে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করবে।' ---সহীহ মুসলিম।

ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:

আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্ব্বী নেই;তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;তার কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;তিনি সার্বভৌম অর্থাৎ কারো নিকট জবাবদিহি করেন না;তিনি কোন ব্যক্তি বা জিনিসের উপর নির্ভরশীল নন, বরং সকলকিছু তার উপর নির্ভরশীল;তিনি কারো সহায়তা ছাড়াই সবকিছু সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন;কিছুই তার উপরে বা সঙ্গে তুলনীয় নয়;বিদ্যমান কিছুই নেই যা সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর পরাধীন নয়;কেউ প্রতিরোধ করতে পারেন না, যা আল্লাহ প্রদান করে, আর কেউ প্রদান করতে পারেনা যা তিনি প্রতিরোধ করে;শুধুমাত্র আল্লাহই কারো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে, এই ক্ষমতা অন্য কেউ রাখে না;তার কোনও অভাব নেই, তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন;নিদ্রা, তন্দ্রা ও ক্লান্তি আল্লাহকে স্পর্শ করে না;তার অনুরূপ কেউ নেই।

তথ্যসূত্র:উইকিপিডিয়া।



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ