দেখুন, সকলের দৃষ্টিভংগি সমান নয়। আমি ছেলেদের দিয়েই উদাহারণ টানি। দেখা যায়, কোন ছেলে চুলে রাহুল কাট দিয়েছে আবার কোন ছেলে দিয়েছে বব কাট, আবার কোন ছেলে দিয়েছে রোনাল্ডো কাট আবার কেউ মাথা ন্যারা করে রাখতেই পছন্দ করে (যেমন, ভারতীয় কম্পোজার শান্তনু মৈত্র), আবার কেউবা মাথায় পট্টি বেধেঁ রাখাটাকেই শ্রেয় মনে করে, আবার কেউ ষন্ডা মার্কা ছাট দিতে পছন্দ করে। এই যে চুলের ছাট নিয়ে বললাম (একজন মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায় সে তার কৈশোরে এক ধরণের ছাট পছন্দ করে আবার যুবক বয়সে এসে আর তার কৈশোরের ছাটটা ভাল ঠেকে না, আবার মধ্য বয়সে এসে অন্য ছাটের প্রতি আকর্ষিত হয় কিংবা বৃদ্ধ বয়সে এসে যখন মাথার চুল পুরো সাদা হয়ে যায় তখন আর চুলে কলব দিতেও পছন্দ করেন না) তা বয়সের হেরফের অনুযায়ী একজন ব্যক্তিত ক্ষত্রেই তারতম্য হতে পারে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিষয়টিই ব্যক্তির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে। এবার আমাদের মেয়েদের উদাহারণ টেনে বলি। দেখবেন, অনেক মেয়ে রয়েছে সাজতে খুব পছন্দ করে, সাজার পর তাকে কেমন দেখা গেল সেটা সে বিবেচনা করে না। আবার অনেক মেয়ে কেবল যতটুকু প্রয়োজন কেবল ততটুকুই সাজ সেজে থাকে। আবার কোন মেয়ে রয়েছে সে কোন ধরণের সাজ গ্রহণ করে না। তবে মেয়েদের মধ্যে ১ম শ্রেণীর মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। যারা মনে করে সাজলেই তাকে খুব সুন্দর দেখায় আসলে বাস্তবে তা নয়। এবার প্রসঙ্গে আসি। কে কাকে কিভাবে মূল্যায়ন করলো তা বিবেচনায় না নিয়ে বরং আপনি আপনার মতোই থাকুন। উপরের উদাহারণ গুলো এজন্যই দেয়া। একজন ছেলের চুলের কাট যেমনই হোক না কেন, তার প্রিয়তমা কিন্তু তার চুলের ছাট দেখে নয় বরং সে মানুষ হিসেবে কতটুকু যোগ্য সেটিই বিবেচনা করে থাকে। তেমনি একজন ছেলের কাছেও নিশ্চয়ই মেকাপ করে একটি মেয়ে যে সৌন্দর্য অর্জন করলো তার সে তথা মেয়েটি প্রকৃত অর্থে কতটুকু সুন্দর সেটিই বিবেচনা করে থাকে। তা না হলে পৃথিবী কোন অসুন্দর কিংবা অমলিন মেয়ে কোনদিনই কোন পুরষ সঙ্গি খুঁজে পেত না। যে কোন ছেলে মেয়ের ক্ষেত্রে বাহ্যিক জৌলুস যদি প্রদান বিবেচ্য বিষয় হয় সে দম্পতির বা যুগলের জন্য আর যাই হোক সাময়িক সুখ আশা করা গেলেও দীর্ঘ্যমেয়াদি কিছু আশা করা যায় না। একজন মেয়ে যাকে বা যে পুরুষকে বা তার সঙ্গির মাঝে যে যোগ্যতাগুলো দেখতে চায় তা অনেকটা এরকম, সে তথা মেয়েটির দায়িত্ব সেই ছেলেটি নিতে পারবে কিনা, সঠিক সময়ে সঠিক নিরাপত্তা দিতে পারবে কিনা, তার ভবিষ্যত প্রজন্মের সঠিক রক্ষনাবেক্ষণকারী হতে পারবে কিনা, তাকে বুঝতে পারবে কিনা, যেখানে ভালবাসা প্রয়োজন সেখানে ভালবাসা দিতে পারবে কিনা, আবার যেখানে মৃদু কিংবা কড়া শাসন প্রয়োজন সেটি সে করতে পারবে কিনা এমন বিষয়গুলো। আপনি দেখুন, আপনার মাঝে উল্লেখিত গুণগুলো রয়েছে কিনা? যদি না থাকে সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করুন। আপনাকে কোন মেয়ে কিভাবে দেখলো কি না দেখলো তাতে আপনার কি বা যায় আসে? বরং আপনার সংগি একজন কে আল্লাহ অবশ্যই আপনার জন্য নির্বাচিত করে রেখেছেন, তার নিকট আপনি যোগ্য পুরুষ হয়ে উঠতে পারলেন কিনা সেটি বিবেচ্য। কি লিখলাম বুঝতে পারছি না। লিখাটা অনেকটাই অগোছালো হয়ে গেলো। তারপরও আমি যা বুঝাতে চেয়েছি তা যদি আপনি বুঝতে পারেন সেখানেই আমার সার্থকতা। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ