আপনি নিকটস্থ দোকান থেকে ওর স্যালাইন বা রাইস স্যালাইন কিনে এনে নির্দেশনা অনুসারে পানিতে মিশিয়ে পান করুন। প্রতিবার মলত্যাগের পর পান করুন। স্যালাইন নিয়মিত ভাবে পান করার চেষ্টা করুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করুন। এতে শরীরের পানি শুন্যতা দূর হবে। বেশি পরিমাণে পানি, জুস ও অন্যান্য পানীয় পান করুন। তবে ক্যাফেইন, রং চা এবং দুধ চা পান করবেন না। এরফলে আপনার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে। জুস হিসেবে ঘরোয়া ভাবে তৈরি ফলের জুস পান করুন। ফলের জুস পান করলে পানি শুন্যতার সমস্যা হবে না। পাতলা পায়খানা কমে যেতে থাকলে কিছুটা শক্ত ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে শুরু করুন। এ জাতীয় খাবার আপনার শারীরিক উন্নতিতে সহায়তা করবে। পরিমিত পূষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। খাবার আগে ও মলত্যাগের পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। কাঁচা কলা পায়খানা স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে। কাঁচা কলা ভর্তা, তরকারি ইত্যাদি খাবার খান। কাঁচা কলা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খেতে পারেন। কিছু দিনের জন্য দুগ্ধজাত, চর্বিযুক্ত, আঁশযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পরিহার করুন। এগুলো আপনার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না। স্বাভাবিক মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। কয়েক দিনের ভেতরে উন্নতি না হলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ডায়রিয়াবিরোধী ওষুধ
ডায়রিয়াবিরোধী ওষুধ ব্যবহারে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সংক্রামিত পাক-আন্ত্রিক প্রদাহ থাকলে এসব ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে অথবা শিশুদের আমাশয়ের ক্ষেত্রে এসব ওষুধ ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে।
সাধারণভাবে ডায়রিয়াবিরোধী ওষুধের মধ্যে লোপারামাইড বেশি ব্যবহৃত হয়। তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে চার মিলিগ্রাম একত্রে, তারপর প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর দুই মিলিগ্রাম দেওয়া যেতে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধটি দেওয়া যাবে না।